বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট থেকে স্বামী/স্ত্রীর নাম অপসারণ, দত্তক সন্তানের ক্ষেত্রে লিগ্যাল গার্ডিয়ানের নামঅন্তর্ভুক্তকরণ এবং কিউআর কোড অপসারণের বিষয়ে নতুন নিয়ম করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ই-পাসপোর্টের পার্সোনাল ডাটা ও ইমার্জেন্সি কন্ট্রাক্ট পেজে স্পাউস শব্দটিতে লিগ্যাল গার্ডিয়ান শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপন, কিউআর কোড অপসারণ এবং ঠিকানা অংশে দুটি লাইনের পরিবর্তে তিনটি লাইন সংযোজনের (প্রতি লাইনে ৪৮ ক্যারেক্টার) প্রযোজ্য সংশোধনীর কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। এটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এর আগে এনরোলমেন্ট সম্পন্নকারী আবেদনকারীদের ডেলিভারি স্লিপে স্পাউস নেম উল্লেখ থাকলেও ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পার্সোনালাইজেশনকৃত ই-পাসপোর্টের ডাটা এবং ইমার্জেন্সি কন্ট্রাক্ট পেজে স্পাউস নেমের পরিবর্তে লিগ্যাল গার্ডিয়ান নেম অপশনটি থাকবে।
ই-পাসপোর্ট লিগ্যাল গার্ডিয়ান নেম অন্তর্ভুক্তকরণের ক্ষেত্রে যেসব নথিপত্রের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো কাগজপত্রাদি গ্রহণপূর্বক আবশ্যিকভাবে ডকস্ক্যান করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে লিগ্যাল গার্ডিয়ানের অনাপত্তির (এনওসি) সনদ দিতে হবে। লিগ্যাল গার্ডিয়ানের জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্টের কপি দিতে হবে।
এ বিষয়ে যাতে কারও কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য বিশে^র সব দেশের বাংলাদেশ হাইকমিশন/রাষ্ট্রদূত/কনস্যুলার জেনারেলকে জানানো হয়েছে। বিদেশে যারা অবস্থান করছেন, তারা যেন ই-পাসপোর্ট করার সময় এই নীতি অনসুরণ করেন। পাশাপাশি প্রকল্প পরিচালক, ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রকল্প, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ঢাকাকে জানানো হয়েছে। পরিচালক ডাটা অ্যান্ড পার্সোনালাইজেশন সেন্টার, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, প্রধান কার্যালয়, আগারগাঁও, ঢাকা; পরিচালক/উপপরিচালক বিভাগীয় সকল পাসপোর্ট অফিস ও সকল ভিসা অফিস; উপপরিচালক/সহকারী পরিচালক সকল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুরক্ষা বিভাগসহ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হয়েছে।