Thikana News
২২ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় লাগাম 

দর্শনার্থী ধরে রাখতে  নাচ-গানেই প্রাধান্য

দর্শনার্থী ধরে রাখতে  নাচ-গানেই প্রাধান্য নিউইয়র্ক : বইমলোর একটি স্টলে ঠিকানার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও সাবেক এমপি এম এম শাহীনসহ নিউইয়র্কের বিশিষ্ট লেখক-কবি-সাহিত্যকরা।
আয়োজকদের খামখেয়ালিপনার কারণে নিউইয়র্ক বইমেলার মঞ্চে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানই বেশী প্রাধান্য পাচ্ছে। মেলায় দর্শনার্থী ধরে রাখতে নাচ-গানকেই  ধন্বন্তরী ভাবা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনারের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হচ্ছে না। - এমন অভিযোগ করেছেন মেলাপ্রেমীরা। 
অন্যদিকে খোদ মেলার আয়োজক মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরন নবী বইমেলার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বইমেলায় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠানে যে সময় দেওয়া হয় তা যথেষ্ট নয়। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 
বইমেলায় আসা প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই বলেছেন, নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা সবসময় সফল হয় প্রবাসী বাঙালিদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণে। তারাই বইমেলার প্রাণ। নতুন প্রজন্মেরও উপস্থিতি বাড়ছে প্রতিবছর। তাদের জন্য থাকছে নানান আয়োজন। এসব থেকে নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারছে। প্রবাসী বাঙালিরা জানতে পারছে মুক্তিযদ্ধের সঠিক ইতিহাস। বইমেলায় যত আয়োজন, তা থেকে শেখার সুযোগ আছে আরো। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছেন না। 
তারা বলছেন, বইমেলার প্রতিটি অনুষ্ঠানই মানসম্মত। কিন্তু দর্শক কোনটি পছন্দ বা গ্রহণ করবে তা আয়োজকদের মাথায় রাখা উচিত। অনেক পর্ব হয়েছে যেগুলোতে উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। অথচ সময় ছিল যথেষ্ট। আবার কোনো অনুষ্ঠানে দর্শকের আগ্রহ ছিল, কিন্তু আলোচনার গভীরে যাবার আগেই সময়ের লাগাম টেনে ধরা হয়েছে। 
১৫ জুলাই শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে মাত্র ৪৫ মিনিট নির্ধারিত ছিল একুশ থেকে একাত্তর শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অথচ এই অনুষ্ঠানে যারা আলোচক ছিলেন তাদের একেকজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ কন্যা শারমিন আহমদ, নর্থ ক্যারোলিনা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবিএম নাসির উদ্দিন, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অ্যালাবামার অধ্যাপক দেলোয়ার আরিফ। সভাপতিত্ব করেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরন নবী। সঞ্চালনা করেন ফাহিম রেজা নূর। 
এই আলোচনা অনুষ্ঠানটি দর্শকেরা খুব আগ্রহ সহকারে আলোচকদের বক্তব্য শুনছিলেন। কিন্তু বাধ সাধে সময়। পেছন থেকে বার বার লাগাম টেনে ধরা হয়। একপর্যায়ে সব আলোচকই বিষয়ের গভীরে পৌঁছার আগেই আলোচনা থামিয়ে  দেওয়া হয় । একপর্যায়ে সভাপতি বলতে বাধ্য হন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুষ্ঠানের সময় বাড়িয়ে দিতে। 
এদিকে বইমেলার চারদিনে ৫৬টি পর্ব রাখা হয়েছিল। এত বেশী পর্ব না রেখে মানসম্মত পর্ব রাখার প্রতি অনেকে মত প্রকাশ করে বলেছেন, সংখ্যা নয়, ভালো অনুষ্ঠান কম হলে দর্শক বরং তা মনে রাখবে। 

কমেন্ট বক্স