Thikana News
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাড়ি কেনাবেচায় থাকতে হবে সতর্র্ক

বাড়ি কেনাবেচায় থাকতে হবে সতর্র্ক


আমেরিকায় আসার পর নিজে থাকার জন্য একটি বাসা কিংবা বাড়ি কিনতে চান বেশির ভাগ মানুষ। এটা তার অন্যতম মৌলিক মানবিক চাহিদার মধ্যে পড়ে। তা ছাড়া এখানে বাসা ভাড়া এতটাই বাড়ছে যে মানুষ আর কুলিয়ে উঠতে পারছে না। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য থাকছে না। এ কারণে অনেকেই প্রতিনিয়ত বাড়তি ভাড়ার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারছেন না। ফলে একজন ভাড়াটিয়াকে প্রতিনিয়ত হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে হচ্ছে বাসা ভাড়ার জোগান দিতে গিয়ে। তবু কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। কারণ তিনি যে পরিমাণ বাসা বা বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন, এটি তার তেমন কোনো কাজেই আসছে না। কেবল থাকছেন এটাই। কারণ ভাড়ার দায় মেটাতে মেটাতে বাড়ির কর্তা ক্লান্ত। অনেক পরিবারেরই এমন অবস্থা যে দুজনের আয়েও সংসার চালাতে পারছেন না। উল্টো তাদের আয়ের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ চলে যাচ্ছে বাসা ভাড়ায়। ফলে মাস শেষে তেমন কোনো অর্থ হাতে থাকছে না। যতটুকু থাকে তা দিয়ে সন্তানদের লেখাপড়া করানো, নিজের খরচ চালানো ও পরিবারের খাবারের খরচ, যাতায়াত ও পোশাকের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। যারা সরকারের সহায়তা নিচ্ছেন অর্থাৎ স্ন্যাপ নিচ্ছেন, অর্ধেক ভাড়ায় সাবওয়েতে চলাফেরা করতে পারছেন, মেডিকেইড পাচ্ছেন তারা কিছুটা সহায়তা পেলেও যারা মেডিকেইড ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছেন না, তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। ফলে তারা বেশি ইনকাম করার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ দুটি কাজ করছেন।
করপোরেট জব যারা করেন, তাদের কথা ভিন্ন কিন্তু যারা বাংলাদেশি মালিকানাধীন কিংবা বাংলাদেশি আমেরিকান মালিকাধীন সাধারণ ও স্মল বিজনেস কোম্পানিতে চাকরি করছেন, তারা যতটুকু বেতন পান তা-ই। এর বাইরে আর কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। নেই কোম্পানির হেলথ ইন্স্যুরেন্স, ৪০১ (কে) সুবিধা, যাতায়াত ভাড়া ও ট্যাক্স ফি নেওয়ার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নেই। তারা কোনো সাহায্য পাচ্ছেন না, উল্টো তাদের খরচ বেড়েই চলেছে। এই অবস্থার মধ্যেও মানুষ অনেক কষ্ট করে বাসা ভাড়া দিয়ে থাকছে।
ভুক্তভোগী এমন কিছু মানুষের কাছ থেকে জানা গেছে, বেসমেন্টে বাচ্চা নিয়ে থাকার কোনো অনুমতি নেই। সেখানে চুলা বসানোর নিয়ম নেই। বেসমেন্টে বসবাস করতে হলে যেসব নিয়ম মানতে হবে, এমন অনেক বেসমেন্টে মানা হচ্ছে না। অনেক বাড়িওয়ালা অনুমোদিত বেসমেন্টগুলো বেশি অর্থে ভাড়া দিচ্ছেন। নিরুপায় অসহায় মানুষগুলো বাধ্য হয়ে সেটি ভাড়া নিচ্ছেন। তার পরও সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকছেন। অনেকেই এক কিংবা দুই বেডরুমের বাসা নিয়ে চার থেকে ছয়জন কিংবা আটজন থাকছেন। কারও কোনো প্রাইভেসি থাকছে না। সন্তানদের কোয়ালিটি লাইফ লিট করার সুযোগ দিতে পারছেন না। কোনো রকমে দিন পার করছেন। অনেকেই বলেছেন, সারা দিন কাজ শেষ করার পর মানুষ ঘরে ফেরে শান্তির আশায় কিন্তু ঘরে এতটুকু জায়গা নেই, যেখানে গিয়ে কেবল বিছানায় ওঠা ছাড়া। ঘরে মানুষ গিজগিজ করে। এ কারণে সারা দিনই বাইরে থাকি। কেবল ঘুমের সময় হলে ঘরে গিয়ে ঘুমাই। একজন বলেন, ঘরে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। ফলে একজনের সঙ্গে আরেকজনের সারাক্ষণ ঝগড়া লেগেই থাকে। এ কারণেই বাসায় ফিরতে ইচ্ছে করে না। বাইরেই থাকি। এ ধরনের কষ্টে অনেকেই জীবন যাপন করছেন।
যারা ভালো চাকরি করেন, ভালো উপার্জন করেন, তারা সহজেই বাসাবাড়ি কিনতে পারেন। নিউইয়র্কে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষেরাও একটি বাসা বা বাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখেন। মনে করেন, কোনোভাবে একটি ডাউন পেমেন্ট দিয়ে বাসা কিংবা বাড়ি কিনতে পারলেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে পারবেন। কিন্তু অনেকেই কেনার আগে বুঝতে পারেন না কেনার পর কত ঝক্কি-ঝামেলা। যিনি প্রথমবার কেনেন, তার তো পদে পদে ঠকার শঙ্কা থেকেই যায়।
সূত্র জানায়, সবাই বাসা-বাড়ি কিনে লাভবান হন, বিষয়টি এমন নয়। অনেকেই ঠকেন, প্রতারিত হন। তার পরও একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই খোঁজেন। বাসা-বাড়ি কেনার ডাউন পেমেন্টের অর্থ জমান আর স্বপ্ন দেখতে থাকেন। তবে বাসা-বাড়ি কেনা খুব সহজ নয়। অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। নিজের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে বাসা-বাড়ি খুঁজে কিনতে হলে ভালো কিছু মানুষ ও পেশাজীবী দরকার। সবার আগে একজন ভালো রিয়েলটর পাওয়া খুব দরকার। যিনি একজন ভালো রিয়েলটর পান, তার কাছ থেকে সব ধরনের সহযোগিতাই পান। কিন্তু যদি কেউ ভালো ও অভিজ্ঞ রিয়েলটর না পান, তাহলে তার ভোগান্তির শেষ থাকে না। ফলে পদে পদে তার ঠকার ও ভুল করার শঙ্কা থাকে। বাড়ি বিক্রেতারা চান ক্রেতার কাছ থেকে কীভাবে বেশি অর্থ নিতে পারেন। এমন ঘটনাও আছে, আসকিং প্রাইজের চেয়েও বেশি দামে ক্রেতাকে বাসা কিংবা বাড়ি কিনতে বাধ্য করা হয়। আবার অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসের চেয়ে বেশি দামে কিনতেও বাধ্য করা হয়। অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস কম হলে চুক্তিমূল্যের মধ্যে যে ব্যবধান, এর অর্ধেক ক্রেতা দেবেন আর বাকি অর্ধেক বিক্রেতা ছাড় দেবেন- এমনটি বললেও শেষ পর্যন্ত তা হয় না। ক্রেতার ওপর ওই দামেই নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন রিয়েলটর। এটা বেশি হয়, যখন একজন ক্রেতা একটি বাড়ি খুবই পছন্দ করে ফেলেন এবং নেবেনই বলে সিদ্ধান্ত নেন।
সূত্র জানায়, একজনের একটি বাসা খুবই পছন্দ হয়। তিনি বাসাটি কিনতে চান। চুক্তিও হয়। চুক্তি হওয়ার সময় কোনো ক্লজ লেখা হয়নি যে বাড়ির অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস যা আসবে তার চেয়ে কন্ট্রাক্ট প্রাইস কম হলে বা বেশি হলে কী হবে। সাধারণ কন্ট্রাক্ট প্রাইসের চেয়ে বাড়ির দাম অ্যাপ্রাইজালে বেশি আসে না, বরং কমই আসে। কারণ অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসটি করা হয় ব্যাংক কিংবা লোন কোম্পানির তরফ থেকে একটি তৃতীয় পক্ষ দিয়ে, যাতে এর সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়। সেটি হচ্ছে বাস্তব বাজার দাম। এ কারণে অ্যাপ্রাইজাল কোম্পানি যে জায়গায় বাসা কিংবা বাড়িটি বিক্রি হয়, সেই মহল্লাতে এর আগে সমসাময়িক সময়ে একই সমান বাসা কিংবা বাড়ি কেমন দামে বিক্রি হয়েছে, সেটি তুলে ধরে। কিছু রিয়েলটর আছেন যারা মুখে বলেন অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস যা আসবে সেই হিসেবে দাম যদি বেশি হয়, তাহলে ক্রেতা চুক্তির দামের চেয়ে অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসের যে বেশি দাম এসেছে সেখান থেকে অর্ধেক দেবেন আর বাড়ি বা বাসার মালিক ওই দামের অর্ধেক ছাড় দেবেন। ফলে দুই পক্ষই ছাড় দিয়ে এটি করবেন। কিন্তু ওই ব্যক্তির বেলায় সেটি হয়নি।
ভুক্তভোগী একজন জানিয়েছেন, তার বাসা যে দামে কন্ট্রাক্ট হয়েছিল, এর চেয়ে অনেক কম দামেই ব্যাংক অ্যাপ্রাইজাল করে। সেখানে যে দাম ধরা হয়েছে, তা বাসার চেয়ে অনেক কম। আগে রিয়েলটর বলেছিলেন, যদি বাসার দাম চুক্তিতে বেশি ধরা হয়, তাহলে পরে অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসে যেটি আসে, সেটি কম হলে ক্রেতা দেবেন অর্ধেক বেশি আর বিক্রেতাও কম নেবেন অর্ধেক। যখন ৩৫ হাজার ডলার অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস কম দাম আসে, তখন রিয়েলটর বেঁকে বসেন। তিনি ক্রেতার ওপর চাপ দিতে থাকেন, যে দামে চুক্তি আছে সে দামেই নিতে হবে। কারণ তার কাছে ক্যাশ দিয়ে কেনার মতো আরও ক্রেতা আছেন। ক্রেতা সময় চাইলে তাকে বলা হয়, নিলে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, না হলে সময় দেওয়া হবে না। ক্রেতার যেহেতু বাসাটি পছন্দ হয়েছে, তাই তিনি কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি। অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসের চেয়ে চুক্তির দামের যে ব্যবধান ছিল, এর অর্ধেক দাম দিয়েই কিনতে চেয়েছিলেন কিন্তু রিয়েলটর অনেকটাই ক্রেতাকে সময় না দিয়ে বাধ্য করেন চুক্তির দামের চেয়ে ১০ হাজার ডলারে কম কিনতে। ক্রেতা বাধ্য হয়ে বাজার দামের বেশি এবং ব্যাংকের দামেরও বেশি অর্থ দিয়ে তা কেনেন।
এ বিষয়ে রিয়েলটর আসিফ চৌধুরী বলেন, অনেক সময় এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয় ক্রেতাদের। সেখানে কোনো উপায় থাকে না। এ কারণে একটি বাসা বা বাড়ি পছন্দ হলে নেবেনই, ক্রেতাদের এমন মনোভাব না থাকাই ভালো। যদি বাসা বা বাড়িটি তার খুব পছন্দ হয় এবং অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস কম আসে, সে ক্ষেত্রে চুক্তির দামের সঙ্গে অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসের যে দাম সেই দাম বেশি হলে অর্ধেক তিনি দেবেন আর বিক্রেতা অর্ধেক ছাড় দেবেন। কোনোভাবেই অনেক বেশি দাম দিয়ে কেনা ঠিক হবে না। তিনি বলেন, ক্রেতাদের এটাই বলব, আসকিং প্রাইস তো আছেই। চুক্তির দামের সঙ্গে অ্যাপ্রাইজাল যদি সামান্য কম-বেশি হয়, তাহলে ভিন্ন। কিন্তু অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস অনেক কম হলে কোনোভাবেই অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসের চেয়ে বেশি দামে বাসা কিংবা বাড়ি না কেনাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র জানায়, যদি কন্ট্রাক্ট প্রাইসের চেয়ে অ্যাপ্রাইজাল প্রাইস অনেক কম হয় এবং বিক্রেতা যদি অর্ধেক দাম ছাড় দিতে রাজি না হন, তাহলে ওই ডিল কিল করে দিতে হবে। এতে সময় নেওয়ার কিছু নেই। তা ছাড়া এ ধরনের ক্ষেত্রে ক্রেতার অ্যাটর্নিকে এটা নিশ্চিত করতে হবে, তিনি যাতে তার ডাউন পেমেন্টের জন্য অ্যাডভান্স হিসেবে অ্যাটর্নি বা ল’ ফার্মের নামে এসক্রো ফান্ডে জমা দেওয়া চেকের অর্থ ফেরত পান। অনেকেই বাসা-বাড়ি কেনার সময় বিক্রেতার রিয়েলটরকেই নিজের রিয়েলটর করেন। মনে করেন, দুজনের রিয়েলটর একজন হলে সুবিধা হবে। কিন্তু এখানে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, বিক্রেতার রিয়েলটর ক্রেতার না নেওয়াই ভালো। কারণ ক্রেতার রিয়েলটর তার ক্রেতার স্বার্থ দেখবেন, বিক্রেতার রিয়েলটর চাইলেও ক্রেতার স্বার্থ দেখতে পারবেন না। কারণ তিনি বিক্রেতার সর্বোচ্চ স্বার্থ দেখার জন্য চুক্তি করছেন। ফলে সে অনুযায়ী তিনি কাজ করবেন। তা ছাড়া বিক্রেতার রিয়েলটর নিলে তিনি যেভাবেই হোক সেটি বিক্রি করতে চাইবেন। দোষত্রুটি কিছু থাকলেও ইচ্ছে করে বলবেন না। কিন্তু ক্রেতার নিজের রিয়েলটর থাকলে তিনি সেটি দেখতে ও জানতে পারবেন।
সূত্র আরও জানায়, অ্যাপ্রাইজাল প্রাইসের বেশি দামে বাড়ি কিনলে মর্টগ্রেজও আসবে বেশি। এ ছাড়া আরও অনেক খরচ আছে, সেগুলোও গুনতে হবে। একটি বাড়ি বা বাসা কেনার আগে অবশ্যই তা পছন্দ হলে সেটি ইন্সপেকশন করতে হবে। একজন ইন্সপেক্টর কখনো ক্রেতার রিয়েলটর দিয়ে ঠিক করা উচিত হবে না। এটি করতে হবে নিজের রিয়েলটর অথবা নিজের ইন্সপেক্টর দিয়ে। তিনি একটি বাসা-বাড়িটি কোন অবস্থায় রয়েছে, সেটা বলবেন। কী কী রিনোভেশন করা দরকার, সেগুলোও রিপোর্টে লিখবেন। রিপোর্টে বড় ধরনের কোনো ভুল থাকলেও ইন্সপেক্টরের কাছে ৯০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার সুযোগ আছে। একটি বাসা-বাড়ি ইন্সপেকশন হয়ে যাওয়ার পর সেটি একজন কন্ট্রাক্টরকে দেখাতে হবে। তিনি কাজের নমুনা দেখে বাজেট দেবেন। কেউ কেউ আছেন সবকিছু নতুন লাগাতে চান, সেটি ভিন্ন। কিন্তু যারা কেবল প্রয়োজনীয় মেরামত করতে চান, তারা একজন কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে ঠিক করে নেবেন তিনি কী কী কাজ করাতে চান। এতে কত খরচ হবে, সেটিও ধারণা করতে পারবেন। এ থেকে তিনি বুঝতে পারবেন, কত ডলার দিয়ে বাসা বা বাড়ি কিনছেন আর কত ডলার তার খরচ হবে। সব মিলিয়ে তিনি একটি হিসাব করতে পারবেন। কত দিন লাগবে সেটাও ঠিক করতে পারবেন। আর বাসা মেরামত করার কাজ শেষ হওয়ার পথে হলে তিনি যেখানে থাকেন, সেখানেও নোটিশ করতে হবে। ক্লোজিং করার পরপরই পুরোনো জায়গায় নোটিশ করা ঠিক হবে না। কারণ নতুন রেনোভেশন করার জন্য সময় লাগতে পারে। কাজ সময়মতো শেষ নাও হতে পারে। এ কারণে রেনোভেশনের কাজ শেষ হয়ে এলে পুরোনো জায়গায় কমপক্ষে এক থেকে দুই মাস সময় দিয়ে নোটিশ করতে হবে, যাতে আগের বাড়িওয়ালা কোনো বিপদে না পড়েন।
সব মিলিয়ে একজন ক্রেতাকে অনেক সতর্ক থাকতে হবে। ক্রেতাকে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক সাবধানী হতে হবে। একটি লোনের আবেদনই যথেষ্ট নয়। একাধিক লেন্ডারের অফার নিতে হবে। এর মধ্যে যেটি সবচেয়ে ভালো, তাদের কাছ থেকে লোন নিতে হবে। বিক্রেতার তেমন কোনো লোকসান হয় না। কারণ তিনি সাধারণত তার কেনার দামের চেয়ে অনেক বেশি দামেই মার্কেট ভ্যালুতে বিক্রি করবেন। আর বিক্রেতা ক্লোজিংয়ের সময়ে সবকিছু বুঝিয়ে দেবেন, ক্রেতা বুঝে নেবেন। ক্লোজিং শেষ হলে বিক্রেতার দায়িত্ব এখানেই শেষ। ক্রেতার কাজ সেখান থেকেই শুরু। বাড়ির চাবি পেলেন, স্বপ্ন পূরণ হলো, সেই সঙ্গে অনেক দায়দায়িত্ব এল।

কমেন্ট বক্স