Thikana News
০৭ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে ইসলামপন্থীদের প্রশ্ন

বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে ইসলামপন্থীদের প্রশ্ন
জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়েই সরকারবিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করা এবং চলতি বছরের মধ্যেই তা তীব্র আকারে রূপায়ণের পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। তবে রাজপথের আন্দোলনের অন্যতম মুখ্য শক্তি জামায়াতে ইসলামী রহস্যজনকভাবে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে। সমমনা ইসলামি দলগুলোর মধ্যে চার-পাঁচটি এই পর্যায়ে বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলনে যাওয়ারই পক্ষপাতী নয়। এরা সরকারবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষেও নয়। তবে বিএনপির একক নেতৃত্ব মানতে রাজি নয় তারা। বিএনপির মূল নেতৃত্বকে রাজপথে আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকার শর্ত দিয়েছে তারা। ইসলামি দলগুলোর পক্ষ থেকে এ কথাও বলা হয়েছে, তারেক রহমান যদি বিএনপির মূল নেতা হন, তাহলে তাকে পলাতক জীবন থেকে বেরিয়ে রাজপথে জনসম্মুখে আসতে হবে। জেল-জুলুম মোকাবিলা করতে হবে। বিএনপি এবং কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃস্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামায়াতে ইসলামী ছাড়াও সকল ইসলামি দল ও ধর্মীয় সামাজিক পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় তাদের সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগঠিত করার পক্ষে বিএনপি এবং তার কিছু সহযোগী। রাজনৈতিক, আর্থসামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনসমূহের সঙ্গে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কথা বলেছেন। দলগত ও জোটগত এসব আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে বিএনপির নেতারা এখনো মুখ খোলেননি। ঈদের পর সরকারবিরোধী আন্দোলনের বড় কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলা হলেও ছোটখাটো কিছু কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা-ও ইসলামপন্থী ও বামপন্থী দলগুলো বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে, এমনকি প্রত্যেকে দলগতভাবেও পালন করছে না। তারা বিএনপির নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করার নামে বিএনপি ও একান্ত সহযোগীদের পলায়নবর্তিতার ঘটনা নতুন করে মঞ্চস্থ হতে দেখতে চায় না তারা। চরমোনাই পীরের ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্ত ভিত রয়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচন নিয়ে সরকার ও সরকারি দলের সঙ্গে তাদের বড় রকমের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সেই দূরত্ব পুরোপুরি লাঘব না হলেও অনেকটাই কমে গেছে। বরিশালের আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে চরমোনাইর পীরের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। পীর সাহেবের শর্ত ও পরামর্শমাফিক যা যা করণীয় করা হয়েছে। বিএনপি এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে চরমোনাইর পীরের দলকে তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ আন্দোলনে শরিক করতে চেয়েছিল। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন থেকে বিএনপির নেতাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাদের আসল নেতা কে। সেই নেতা পলাতক হয়ে থাকলে তাকে রাজপথে আন্দোলনের নেতৃত্বে আসার জন্য বলা হয়। হেফাজতে ইসলামের একাংশকে টানতে চেষ্টা করছে বিএনপি। তাদেরও একই কথা। বিএনপির নেতৃত্বহীনতা, দুর্বল নেতৃত্বের যোগ্যতা, দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা। একই সুরে কথা বলেন অপর কয়েকটি ইসলামি দলের নেতারাও। অন্যদিকে বামধারার দলগুলোর নেতারা জামায়াতসহ ধর্মীয় দলসমূহের সঙ্গে বিএনপির সখ্য নিয়ে গভীর সন্দেহ প্রকাশ করেন। তারা জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কচ্ছেদ এবং তা প্রকাশ্যে ঘোষণার শর্ত দিয়েছেন। বিএনপির জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে বা অভিন্ন কর্মসূচিতে রাজপথে থাকার বিপক্ষে তারা। তবে জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে সরকার পতনের আনন্দোলন নতুন করে শুরু করতে আপত্তি নেই মাহমুদুর রহমান মান্না এবং আ স ম আবদুর রবের।

কমেন্ট বক্স