২০২৩ সালটা খুবই কষ্টদায়ক ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য। ওই বছরের জুনে ইংল্যান্ডের দ্যা ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শিরোপা খোয়ায় তারা। একই বছরের ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের ফাইনালে আবারও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে তৃতীয় বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন ভাঙে ভারতের।
তবে এক বছরের মধ্যে আইসিসির তৃতীয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলে শিরোপা ঘরে তুলে ভারত। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেখানে প্রোটিয়াদের হারিয়ে দীর্ঘ ১১ বছর পর আইসিসির কোনো আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া।
আর এই শিরোপা দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে একটা যুগেরই শেষ হলো। শিরোপা জয়ের ম্যাচ দিয়েই নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতি টেনেছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং রবীন্দ্র জাদেজার মতো সিনিয়র তিন ক্রিকেটার। একইসঙ্গে শেষ হয়েছে কোচ রাহুল দ্রাবিড় অধ্যায়ও।
শিরোপা জেতার মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়েছে ‘দ্য ওয়াল’–এর। নতুন কোচের জন্য এরইমাঝে অবশ্য খোঁজ করা শুরু করেছে। নতুন কোচের তালিকায় শুরুতে অনেকের নাম শোনা গেলেও এই মুহূর্তে টিকে আছে একজনের নাম।
এবারের আইপিএলের কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর ) শিরোপা জয়ে মাস্টার মাইন্ড হিসেবে আখ্যা পায় গৌতম গম্ভীর। এতে করেই তার নামটা উচ্চারিত হতে থাকে জোরেশোরে। তারই ধারাবাহিকতায় ধারণা করা হচ্ছে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই সদস্য হতে যাচ্ছেন পারেন দ্রাবিড় উত্তরসূরী।
এবার এমন গুঞ্জনের মাঝে নতুন করে ঘি ঢাললেন বিসিসিআইয়ের সভাপতি রজার বিনি। গম্ভীরের কোচ হওয়ার গুঞ্জনে তাকে বেশ ইতিবাচকই শোনা গেল, ‘গম্ভীরের প্রচুর অভিজ্ঞতা। ও দায়িত্ব নিলে ভারতীয় ক্রিকেটের ভালোই হবে। ওর অভিজ্ঞতা ভারতের প্রয়োজন। ভারতের হয়ে সব ধরনের ক্রিকেট খেলেছে গম্ভীর। এমন এক জনকেই ভারতের কোচ হিসাবে প্রয়োজন।’
কোচ হিসেবে গম্ভীরকে নিয়োগের জল্পনা বেড়ে যায় খোদ গম্ভীরের এক বক্তব্যে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সাবেক এই ওপেনা বলেছিলেন, ‘ভারতীয় দলের কোচ হতে পারলে ভাল লাগবে। দেশের কোচ হওয়ার থেকে বড় গর্বের কিছু হয় না। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের প্রতিনিধি হওয়া যায় কোচ হলে।’
ঠিকানা/এএস