২৭ জুন বাইডেন-ট্রাম্প প্রথম বিতর্ক। আয়োজক সিএনএন। বিতর্কে উত্তাপ থাকবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। একজন সিটিং প্রেসিডেন্ট এবং একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের মধ্যেকার এ বিতর্ক একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। বাইডেন ও ট্রাম্প দু’জনেই বিতর্কের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এতে অংশ নেয়ার জন্যে যোগ্যতা অর্জন করেননি, অর্থাৎ সিএনএন বেঁধে দেয়া শর্ত (১) অন্তত: ৪টি জরিপে ১৫ শতাংশ সমর্থন থাকতে হবে এবং (২) বিভিন্ন স্টেটে ব্যালটে নাম থাকতে হবে, যাতে ২৭০টি ইলেক্টরাল ভোট জেতার একটি ন্যূনতম সম্ভবনা থাকে।
শেষ সময়ে এসে বাইডেন ইমিগ্রেশন প্রশ্নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন। বলা হচ্ছে, তিনি বারাক ওবামার নীতি অনুসরণ করছেন। সেটি হচ্ছে, যারা দেশের ভেতরে আছে, তাদের বৈধ করে নেয়া এবং যারা আসতে চাচ্ছে তাদের আসাটা কঠিন করে দেয়া। নির্বাচনের জন্যে বাইডেনের কাছে বিশাল তহবিল আছে, কিন্তু নিউইয়র্কে ফৌজদারি আইনে দণ্ডিত হওয়ার পর ট্রাম্পের তহবিলেও প্রচুর অর্থ জমা পড়ছে, এবং তিনি বাইডেনকে ধরে ফেলছেন। মে ২০২৪-এ তিনি ১৭০ মিলিয়ন ডলার তুলেছেন, এর মধ্যে ৩০ মিলিয়ন শুধুই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চিত্র তারকাদের আয়োজিত এক ফান্ড-রেইজিং অনুষ্ঠানে লস-এঞ্জেলসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে আশংকা প্রকাশ করেছেন যে, ডেমোক্র্যাটরা সচেতন না হলে ট্রাম্প জিতে যেতে পারেন। ট্রাম্প জিতলে তিনি প্রতিশোধ নিতে পারেন বলেও তারা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। জর্জ ক্লুনি ও জুলিয়া রবার্টস আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ২৮ মিলিয়ন ডলার উঠেছে। শিল্পী-কুশলী ভরপুর এ অনুষ্ঠানে ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম, লস-এঞ্জেলস মেয়র কারেন ব্যাশ উপস্থিত ছিলেন, ফার্স্টলেডী জিল বাইডেনও মঞ্চে উপবেশন করেন। বাইডেন-ওবামা নিউইয়র্কে ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনার তীর্যক আলোচনা করেন। অন্যত্র এক অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্প আগের চেয়েও এখন অনেক বেশি বিপজ্জ্বনক।
ট্রাম্প অঙ্গীকার করেছেন যে, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে ৬ জানুয়ারি ২০২০ ক্যাপিটল হিল আক্রমন ঘটনায় দণ্ডিতদের মাফ করে দেবেন। তাঁর ক্যাম্পেইন জানিয়েছে, ট্রাম্প কেইস-বাই-কেইস বিষয়টি বিবেচনা করবেন। ট্রাম্পের বয়স ৭৮ হলো, তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী বয়োবৃদ্ধ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বয়সের সমালোচনা করে বাইডেনকে, ‘বুড়ো’ বলেছেন! ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছেড়েছেন ২০ জানুয়ারি ২০২১, দীর্ঘদিন পর গত ১৩ জুন ২০২৪ বৃহস্পতিবার তিনি আবার ওয়াশিংটন ডিসিতে যান। ওয়াশিংটনে রিপাবলিকান দলীয় নেতাদের সাথে আলোচনার জন্যেই তিনি রাজধানীতে যান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, সামনের নির্বাচনে রিপাবলিকানরা সিনেট ও হোয়াইট-হাউস দখল করবেন।
নিউইয়র্ক
২৩ জুন, ২০২৪