Thikana News
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দলের পক্ষ থেকে আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি: শান্ত

দলের পক্ষ থেকে আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি: শান্ত


দলের পক্ষ থেকে আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি : শান্ত

আগের সব বিশ্বকাপের অবস্থা হিসেব করলে এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল। সাত ম্যাচে তিন জয় সেই পরিসংখ্যানই বলবে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সেরা আটে বাংলাদেশ। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্স বলছে অন্য কথা। এত হতশ্রী ব্যাটিং বাংলাদেশ সমর্থকরা শেষ কবে দেখে মনে করতে পারবে না। বোলিং বিভাগ নিজেদের মেলে ধরতে পারলেও ব্যাটিং আর ফিল্ডিংয়ে ছিল যা তা অবস্থা। এমন হতাশায় ভরা বিশ্বকাপে নিজেদের সামগ্রিক পারফরম্যান্স নিয়ে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের ম্যাচ শেষে ব্যাটিং ব্যর্থতা মেনে নিয়ে কয়েকবার ‘সরি’ বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
 
সুপার এইটের প্রথম দুই ম্যাচে হার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতে গেলে সেমিফাইনালের আশা একটু হলেও বেঁচে থাকত। সেন্ট ভিনসেন্টে মঙ্গলবার বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে আফগানদের আটকানো গেছে ১১৫ রানে। এই অবস্থায় হিসেব দাঁড়ায় ১২.১ ওভারে এই রান তাড়া করতে পারলেই অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানকে টপকে তারাই পেত সেরা চারের টিকেট।

কিন্তু হতশ্রী ব্যাটিংয়ে তাও সম্ভব করে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। এমনকি সান্ত্বনার জয়টা নিয়েও মাঠ ছাড়তে পারেনি শান্ত-সাকিবরা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে আট রানে হেরেছে তারা। ৪৯ বলে ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দলের পরাজয় দেখেন লিটন কুমার দাস।

চলতি বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ৬৪ রানের পর এটিই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। এছাড়া দুটি করে চল্লিশছোঁয়া ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। এতেই স্পষ্ট দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার সামগ্রিক চিত্র।

সাত ম্যাচ মিলিয়ে একশর বেশি রান করতে পেরেছেন শুধু চার ব্যাটসম্যান। ১২৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ১৫৩ রান নিয়ে সবার উপরে আছেন হৃদয়। বাকি স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইকরেট ১১০ ছুঁতে পারেনি। লিটন, শান্ত, তানজিদ হাসান, মাহমুদউল্লাহরা ব্যাট করেন একশরও নিচে স্ট্রাইক রেটে।

স্বাভাবিকভাবেই ব্যাটসম্যানদের ব্যক্তিগত ব্যর্থতার ছাপ পড়েছে দলের স্কোরেও। সাত ম্যাচে মাত্র একটিতে দেড়শ ছুঁতে পেরেছে বাংলাদেশ। সেটিও তুলনামূলক দুর্বল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপাল ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১১০ রানও করতে পারেনি শান্তর দল।

আজ বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে সামগ্রিকভাবে নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘বিশ্বকাপের পুরো যাত্রা সম্পর্কে বলব, আমরা দল হিসেবে বাংলাদেশের সব সমর্থককে হতাশ করেছি। যারা আমাদের খেলা অনুসরণ করেন, সবসময় অনুসরণ করেন তাদের ‘লেট ডাউন’ করেছি। আমি দলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইছি । আমরা ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে দেশের মানুষকে ভালো কিছু দিতে পারিনি। এটার জন্য আমরা সরি। সামনের দিকে আমাদের এটাই চেষ্টা থাকবে, কীভাবে এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারি।’

হতাশার মাঝেও ইতিবাচক হিসেবে বলা যায় রিশাদ হোসেনের কথা। প্রথমবার কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে লেগ স্পিনার খেলানোর সুফল পুরোটাই পেয়েছে বাংলাদেশ। সাত ম্যাচে তরুণ লেগ স্পিনারের শিকার ১৪ উইকেট। ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ৭.৭৬।

রিশাদের প্রশংসায় শান্ত বলেন, ‘ইতিবাচক দিক অবশ্যই বোলাররা... তারা সবাই খুবই ভালো বোলিং করেছে। রিশাদ এ রকম একটা টুর্নামেন্টে এসে সবগুলা ম্যাচে ভালো বোলিং করেছে। বেশ কিছু ইতিবাচক দিকও ছিল। তবে ব্যাটিং দিক থেকে আমরা সমর্থকদের হতাশ করেছি। দেশের মানুষকে আমরা বলতে গেলে কষ্ট দিয়েছি। তবে এটাও আমি বলতে চাই, চেষ্টার কমতি ছিল না। শতভাগ দিয়ে সবাই চেষ্টা করেছে। সবাই নিজের কাজে সৎ ছিল। তবে দিন শেষে আমরা পারিনি। তাই এটার জন্য দলের পক্ষ আবারও সরি।’

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স