Thikana News
০৪ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪
ফারাক্কা ও তিস্তা চুক্তি

মমতার অভিযোগ সঠিক নয়, পশ্চিমবঙ্গকে আগে জানিয়েছিল দিল্লি

মমতার অভিযোগ সঠিক নয়, পশ্চিমবঙ্গকে আগে জানিয়েছিল দিল্লি
ফারাক্কা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পর্কে বাংলাদেশ ও নয়াদিল্লির মধ্যে সমঝোতার ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গকে এড়িয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলেছেন, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সূত্র।

অতি সম্প্রতি নয়াদিল্লি সফর করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ সফরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ফারাক্কা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, আন্তঃরাষ্ট্রীয় এ ২ ইস্যুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে উপেক্ষা করে ঢাকার সঙ্গে সমঝোতা করেছে নয়াদিল্লি। এই নিয়ে গত কাল ২৪ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘‘আমি বুঝতে পেরেছি, ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ ফারাক্কা চুক্তি (১৯৯৬) পুনর্নবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে; যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হতে চলেছে। আপনি জানেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টনের পরিমাণ নির্ধারণের এই চুক্তির পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ওপর বিশাল প্রভাব রয়েছে।” পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এই ধরনের চুক্তিতে ‌‌সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।

তিস্তা প্রসঙ্গে চিঠিতে তিনি লেখেন, গত কয়েক বছর ধরে তিস্তায় পানির প্রবাহ কমে গেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে— যদি বাংলাদেশের সাথে পানি ভাগাভাগি করা হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ সেচের পানির অপ্রতুলতার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
 
“এছাড়া উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতেও তিস্তার পানির প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়,” ২৪ জুনের চিঠিতে লিখেছেন মমতা।
 
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই ফারাক্কা ও তিস্তা ইস্যুতে লিখিতভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই চিঠিতে ফারাক্কা চুক্তি নবায়ন ও এই সংক্রান্ত পর্যালোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে প্রতিনিধি পাঠাতে বলা হয়েছিল।

সেই আহ্বান মেনে গত বছর ২৫ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সেচ ও জলপথ দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে একটি কমিটি নয়াদিল্লিতে পাঠানোও হয়েছিল। তারপর গত ৫ এপ্রিল রাজ্য সরকারের সেচ ও জলপথ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে হলে পশ্চিমবঙ্গের পানির চাহিদা সংক্রান্ত কী কী দাবি কেন্দ্রীয় সরকারকে মানতে হবে— তা লিখিতভাবে জানান নয়াদিল্লিকে।

১৯৯৬ সালে ফারাক্কা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে। যে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে। সূত্র : ইন্ডিয়া টিভি

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স