যুক্তরাষ্ট্রে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ১৬ জুন। যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপনের জন্য ইতিমধ্যে নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্টেটে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগেভাগেই ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিতে অনুমতি নেওয়া হচ্ছে। আগে ঈদ জামাতের জন্য এক দিনের জন্য ইন্স্যুরেন্স লাগলেও সব সময় নেওয়া হতো না। কিন্তু এবার ইন্স্যুরেন্সের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। যারা অনুমতির জন্য আবেদন করছেন, তাদেরকে ইন্স্যুরেন্স নিয়ে সেটি দিতে হবে। সেই সঙ্গে বড় ধরনের জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ ও সিটির পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে সতর্কতার সঙ্গে। ফিলিস্তিনের সমর্থনে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই বিষয়টিও সতর্কতার সঙ্গে দেখা হচ্ছে। মসজিদে ও ঈদ জামাতে যারা আসবেন, তাদের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মসজিদ পরিচালনা কমিটিগুলোও এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে। আয়োজকেরা শান্তিপূর্ণভাবে নিরাপদে সবার জন্য ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করছেন।
এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে বাজারে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা চলছে। গ্রোসারিগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকেই গ্রোসারিতে কোরবানির অর্ডার দিচ্ছেন। তবে অর্ডার আগেভাগে দিলেও এখনো দাম নির্ধারণ করা হয়নি, ঈদের দিনে এটা জানতে পারবেন। গ্রোসারির মালিকেরা বলেছেন, গত বছরের তুলনায় মাংসের দাম কিছুটা বাড়বে। এবার প্রবাসীদের ঈদ করার জন্য পরিবার নিয়ে দেশে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ এখন স্কুল খোলা। ফলে সামারের ছুটিতে অনেকেই দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে এবার টিকিটের দাম অন্য সব সময়ের চেয়ে বেশি।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন গ্রোসারিতে ঈদুল ফিতরের পর থেকেই কোরবানির অর্ডার নেওয়া শুরু হয়। এখনো অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। তবে আগেভাগে যারা কোরবানির অর্ডার দিয়েছেন, তারা ঈদের দিনই মাংস পাবেন। যারা পরে অর্ডার দিচ্ছেন, তারা ঈদের দিন মাংস সরবরাহ পাবেন না।
নিউইয়র্কে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মসজিদের পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে ঈদের নামাজের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। যেসব স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে, সেসব স্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ঈদের দিন মুসলমানরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বিভিন্ন ঈদের জামাতে নিউইয়র্কের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। জ্যামাইকা, জ্যাকসন হাইটস, কুইন্স ভিলেজ, হলিস, সাউথ জ্যামাইকা, ওজন পার্ক, রিচমন্ড হিল, পারসন্স, উডসাইড, এস্টোরিয়া, ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন, ম্যানহাটনের বিভিন্ন মসজিদ এবং নিউইয়র্ক স্টেটের বিভিন্ন এলাকায় যেখানে মুসলিম কমিউনিটি ও মসজিদ আছে, সেখানে ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নিউইয়র্ক ছাড়াও ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলেস, ফ্লোরিডা, মিশিগান, নিউজার্সি, কানেক্টিকাটসহ মুসলিম অধ্যুষিত স্টেট ও সিটিসমূহে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হবে।
কোথায়, কখন ঈদের জামাত
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে জ্যামাইকার টমাস এডিসন হাইস্কুলের মাঠে। সেখানে একটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সাড়ে সকাল আটটায়। এই জামাতে মহিলাদেরও নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রাখা হবে। ইতিমধ্যে সেখানে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করার জন্য কর্তৃপক্ষ অনুমোদনও পেয়েছে। যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে। সে ক্ষেত্রে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জামাতগুলো হবে সকাল ৮টা, ৯টা ও ১০টায়। এখানে পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুদের জন্যও নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে।
সেখানকার পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দিন মান্নান বলেন, এ বছর খোলা মাঠে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করার জন্য সিটি কিছু নতুন নিয়ম করেছে। এর মধ্যে রয়েছে যেখানে পাবলিক গেদারিং হবে, সেখানে অবশ্যই ইন্স্যুরেন্স থাকতে হবে। আগে ইন্স্যুরেন্স লাগত না। এবার থেকে লাগবে। এ ছাড়া আগে যে অনুমোদন আমরা ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পেতাম, সেটির অনুমোদন পেতে সময় লেগেছে। কারণ সিটি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই অনুমোদন দিচ্ছে। এখানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এবং কোনো জিনিস নষ্ট হলে সেটা সিটির দায়িত্ব ছিল, এবার আর তারা দায়িত্ব নেবে না। ফলে এক দিনের জন্য ইন্স্যুরেন্স নিতে হবে। কেউ যাতে নামাজের সময় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে বা কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেগুলোও সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করেই অনুমতি দিচ্ছে।
এস্টোরিয়ার আল আমিন জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল আটটায়। এস্টোরিয়ার ৩৬ স্ট্রিটে (৩৬ ও ৩৭ অ্যাভিনিউর মাঝে) জামাত হবে। আবহাওয়া খারাপ হলে মসজিদের ভেতরে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাতটায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল আটটায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল নয়টায় হবে। মহিলাদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৃতীয় জামাতে মহিলারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
আল আরাফা ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পরিচালনা পরিষদের সেক্রেটারি খন্দকার তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ৮৮-৪৯ ১৭৯ প্লেসে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত হবে সকাল সাড়ে ছয়টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল আটটায় এবং তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল নয়টায়। এ জন্য সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে প্রস্তুতি রয়েছে মসজিদে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করার। সে ক্ষেত্রে চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হতে পারে। বৃষ্টি হলে মসজিদে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ছয়টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল আটটায়, তৃতীয় জামাত সকাল নয়টায় এবং চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।
জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় নিউইয়র্ক ঈদগাহর উদ্যোগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে পাঁচটি। সকাল ছয়টা থেকে জামাত শুরু হবে। এরপর প্রতি এক ঘণ্টা পরপর ঈদের জামাত হবে। বৃষ্টি হলে কাবাব কিংয়ের দোতলায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পরপর পাঁচটি জামাতের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মাওলানা কাজী কাইয়্যূম। তিনি বলেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। যারা কোরবানি করবেন, তাদের জন্য প্রথম জামাত করব সকাল ছয়টায়। যাতে তারা নামাজ পড়ে দূরে কোথাও কোরবানি দিতে হলে সেখানে যেতে পারেন। বাকি চারটি জামাত এক ঘণ্টা পরপর হবে।
এদিকে জ্যাকসন হাইটসের মোহাম্মদী সেন্টারের উদ্যোগে ঈদের পরদিন স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে এবং যারা কোরবানি দিতে পারবেন না মনে করছেন, তাদের মধ্যে কোরবানির মাংস বিতরণ করা হবে। এই মাংস যারা বিতরণ করতে চান, তারা ঈদের পরদিন বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত জ্যাকসন হাইটসে মোহাম্মদী সেন্টারে কোরবানির মাংস দিতে পারবেন। মাংস বিতরণ করা হবে ছয়টা থেকে সাতটা পর্যন্ত। মাওলানা কাজী কাইয়ূম বলেন, কোরবানি ঈদের সময় অনেকেই কোরবানি দিতে পারেন না। দূরদূরান্ত থেকে মাংস নেওয়ার জন্য মানুষ আসেন। তারা খুশিমনে মাংস নিয়ে যান।
আল কুবা ইসলামিক সেন্টার অব জ্যামাইকার উদ্যোগে সাউথ জ্যামাইকার পিএস ৫০ স্কুলের মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। বৃষ্টি হলে ঈদের জামাত হবে তিনটি। সে ক্ষেত্রে প্রথম জামাত হবে সকাল সাড়ে সাতটায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে আটটায় এবং তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে নয়টায়। মসজিদের পরিচালনা পরিষদের সঙ্গে সম্পৃক্ত মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা বড় পরিসরে ঈদের নামাজের আয়োজন করছি। প্রায় দুই হাজার মানুষ এই নামাজে শরিক হবেন বলে আশা করছি। এলাকার সবাইকে আসার জন্য আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এলাকার বাইরে থেকেও অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন। বাংলাদেশ সোসাইটির একাধিক সাবেক নেতা ও আগামী নির্বাচনের প্রার্থী জামাতে যোগ দেবেন।
দারুস সালাম মসজিদে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। ১৪৮-১৬-৮৭ রোড, জ্যামাইকায় এই মসজিদের অবস্থান। ঈদের জামাতের জন্য সময় ঠিক করা হয়েছে সকাল সাতটায় প্রথম জামাত, দ্বিতীয় জামাত সকাল আটটায়, তৃতীয় জামাত সকাল নয়টায় এবং চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল দশটায়। প্রথম জামাত ব্যতীত অন্য সব জামাতে মহিলাদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইস্ট এলমহার্স্ট জামে মসজিদ অ্যান্ড মুসলিম সেন্টারের উদ্যোগে পিএস ১২৭ এর মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। একটি জামাতের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল সাড়ে আটটায়। বৃষ্টি হলে প্রস্তুতি হিসেবে মসজিদের ভেতরে দুটি ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই হিসেবে প্রথম জামাত হবে সকাল আটটায় ও দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল নয়টায়।
জ্যামাইকার আমেরিকান মুসলিম সেন্টারে ঈদের চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত ভোর ৫টা ৪৫ (মসজিদ), দ্বিতীয় জামাত সকাল ৬টা ৪৫ (মসজিদ), তৃতীয় জামাত সকাল ৮টা (রুফুস কিং) ও চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় (রুফুস পার্ক) অনুষ্ঠিত হবে।
জ্যামাইকার মসজিদ মিশনে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ও তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ওজনপার্কে আল ফুরকান মসজিদে খোলা আকাশের নিচে মসজিদের সামনে ৭৬ অ্যান্ড গ্লেনমোর অ্যাভিনিউতে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল আটটায় একটি, আরেকটি হবে সকাল নয়টায়। এ ব্যাপারে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বদরুল হোসেন খান বলেন, আমরা এবার ঈদের নামাজের আয়োজন করছি। দুটি জামাত মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত হবে।
ওজনপার্কের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে আল আমান মসজিদে। সেখানেও বিপুলসংখ্যক মানুষ জামাতে অংশ নেবেন। এ ছাড়া ওজনপার্কের ফুলতলী জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রুকলিনে বায়তুল জান্না জামে মসজিদ অ্যান্ড মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারের উদ্যোগে ব্রুকলিনের ৫৬৯ ম্যাকডোনাল্ড অ্যাভিনিউতে খোলা রাস্তায় ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম জামাত হবে সকাল ছয়টায়। আরেকটি জামাত হবে পরে। বৃষ্টি না হলে সেখানে ঈদের জামাত হবে দুটি। একটি হবে মসজিদের ভেতরে। যারা কোরবানি দেবেন, তাদের জন্য সকালের জামাত মসজিদের ভেতরে হবে। এ ছাড়া একটি জামাত হবে খোলা স্থানে। এটি হতে পারে সকাল সাড়ে আটটায়। বৃষ্টি হলে মসজিদের ভেতরে সবগুলো জামাত হবে। সে ক্ষেত্রে জামাত হবে পাঁচটি। নামাজ শুরু হতে পারে সকাল সাড়ে ছয়টায়।
বায়তুল ইসলাম মসজিদ অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারের উদ্যোগে ব্রঙ্কসে ঈদের জামাত শুরু হবে সকাল সাড়ে আটটায়।
ব্রঙ্কসে বাংলাবাজার জামে মসজিদের উদ্যোগে খোলা আকাশের নিচে ঈদের বিশাল জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বৃষ্টি হলে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে তিনটি। বৃষ্টি না হলে একটি বড় জামাত অনুষ্ঠিত হতে পারে।
রিয়াজুল জান্নাহ ইসলামিক সেন্টার ইনকের উদ্যোগে জ্যামাইকায় সকল মুসলমানকে নামাজ আদায় করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
ইকনা মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে সাতটায় আর দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে আটটায়।
ক্যাসেলহিল আইডিয়াল ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে ব্রঙ্কসের ২১০০-২১৪৬ টার্নবুল অ্যাভিনিউতে (প্লে গ্রাউন্ড) সকাল আটটায় একটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কমিটির শওকত জানান, আমরা খোলা আকাশের নিচে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করছি। এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। আমরা সবাইকে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ ছাড়া অন্যান্য মসজিদে খোলা স্থানে নামাজের সব প্র্রস্তুতি রয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টির জন্য প্রস্তুতি রয়েছে ঈদের নামাজ মসজিদের ভেতরে করার। সে ক্ষেত্রে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জ্যাকসন হাইটসে আল নূর ইসলামিক সেন্টার, আল নূর ইসলমিক সেন্টার শরিয়া বোর্ড নিউইয়র্ক, নর্থ ব্রঙ্কস ইসলামিক সেন্টার, পার্কচেস্টার জামে মসজিদ, বাংলা বাজার জামে মসজিদ, বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, মোহাম্মদী সেন্টার, দারুল উলমের উদ্যোগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।