বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ইউর ড্রিম হোম কেয়ারের কর্নধার মোহাম্মদ আজিজ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি সেন্টারে ৪ জুন রাতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আজিজ তার ইউর ড্রিম হোম কেয়ার নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন।
মোহাম্মদ আজিজ বলেন, মিসবাহ আবদীনের কাছ থেকে ইউর ড্রিম হোম কেয়ার ২০২২ সালের ৪ আগস্ট আইনজীবীর মাধ্যমে আমি ক্রয় করি। সেই সময় মিসবাহ আবেদীন আমার কাছে গোপন করে যে, আইআরএস’র কাছে এই প্রতিষ্ঠানের বকেয়া ৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার। পরবর্তীতে আমি তা পরিশোধ করি। অথচ এখন তারা ভিন্ন কথা বলছেন। তারাও আমার কাছে হোম কেয়ার বিক্রি করেছেন।
মোহাম্মদ আজিজ বলেন, মিসবাহ আবদীন এবং ফরিদা ইয়াসমীন মাননীয় আদালতে যে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন, তার শুনানীতে মাননীয় আদালত আমাদের দেয়া তথ্যেরভিত্তিতে তাদের দাবি (মিসবাহ- ফরিদা) নাকচ করে দেয়। সেই ডকুমেন্ট আমার কাছে রয়েছে। যা আপনারা চাইলে আমি দিবো। মাননীয় আদালতে সত্যের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, তার প্রতি আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধাশীল।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আজিজ বলেছেন, সাপ্তাহিক আজকাল’র কম্যুনিটিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী সংবাদ পরিবেশন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করছি। সম্মানিত প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা, আপনারা এই প্রবাসে বাংলাদেশী কম্যুনিটিকে প্রাণবন্ত রেখে এই কম্যুনিটি বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। সে জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আজকে আমার আমন্ত্রণে সংবাদ সম্মেলনে আসার জন্য আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
মোহাম্মদ আজিজ বলেন, নিউইয়র্কের সাংবাদিক বন্ধুদের সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। এই সম্পর্ক আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আমি কখনো চিন্তা করিনি এই ধরনের পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলবো। কিন্তু আমি ব্যবসায়ীক কারণে সংবাদ সম্মেলনে করতে বাধ্য হয়েছি।
গত ২৪ মে ২০২৪ তারিখে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আজকাল’এ ইউর ড্রিম হোম কেয়ার’কে কারণ দর্শাও নোটিশ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচার করে। সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আজিজ দাবি করেন, এই পুরো সংবাদটি মিথ্যা, বানায়োট, মানহানিকর ও বিভ্রান্তিমূলক। রিপোর্ট দেখে মনে হয়েছে সংবাদটি আমার এবং আমার প্রতিষ্ঠান ইউর ড্রিম হোম কেয়ারের বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্র। এই মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদটি আমার প্রতিষ্ঠানের সুনামের ও ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। সেই সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্মানহানীও হয়েছে। আজকাল যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার সম্মানহানীতে নেমেছে তার আরেকটি জলন্ত প্রমাণ পরবর্তী সপ্তাহেই গত ৩১ মে ২০২৪ সংখ্যায় ‘আজিজের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ’ শিরোনামে আরেকটি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে। সেই রিপোর্টে প্রবাসের মাদার সংগঠন হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটিকেও হেয় প্রতিপন্ন করেছে। বাংলাদেশ সোসাইটি চলে গঠনতান্ত্রিকভাবে। সেই গঠনতন্ত্রকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মনগড়া, কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করেছে। তাদের উদ্দেশ্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন নয়, আমার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার বহি:প্রকাশ।
প্রথম সংবাদের বিষয়বস্তু নিয়ে আমি কথা বলতে চাই। ঐ সংবাদে মিসবাহ আবদীন ও ফরিদা ইয়াসমীনের করা আমার ও আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এক মামলার বিকৃত বয়ান উপস্থাপন করা হয়েছে। মিসবাহ আবদীন এবং ফরিদা ইয়াসমীন মাননীয় আদালতে যে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন, তার শুনানীতে মাননীয় আদালত আমাদের দেয়া তথ্যেরভিত্তিতে তাদের দাবি (মিসবাহ- ফরিদা) নাকচ করে দেন। সেই ডকুমেন্ট আমার কাছে রয়েছে। যা আপনারা চাইলে আমি দিবো। মাননীয় আদালতে সত্যের পক্ষে যে রায় দিয়েছেন, তার প্রতি আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু সাপ্তাহিক আজকাল মাননীয় আদালতের নিষ্পত্তির বিষয়টি পুরোপুরি এড়িয়ে গেছে এবং উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট এবং মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে কম্যুনিটিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এই অবস্থায় আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক স্বার্থে আইনজীবীর দ্বারস্থ হয়েছি। ইতিমধ্যে আমি আমার আইনজীবীর মাধ্যমে (গত ৩০ মে ২০২৪) সাপ্তাহিক আজকাল’র প্রকাশক এবং সম্পাদককে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছি। সেই সাথে মানহানীর মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা, মিসবাহ আবদীনের কাছ থেকে ইউর ড্রিম হোম কেয়ার ২০২২ সালের ৪ আগস্ট আইনজীবীর মাধ্যমে আমি ক্রয় করি। সেই সময় মিসবাহ আবেদীন আমার কাছে গোপন করে যে, আইআরএস’র কাছে এই প্রতিষ্ঠানের বকেয়া ৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার। পরবর্তীতে আমি আইআরএস এর পাওনা পরিশোধ করি। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা, আমার প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। সেই নোটিশের নিষ্পত্তিও হয়েছে। কিন্তু আজকাল’র প্রকাশক এবং সম্পাদক শাহ নেওয়াজের বিরুদ্ধেতো বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা চলছে। প্রয়োজনে আগামীতে সেগুলোও আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আজিজ এর সাথে তার পুত্র ফয়সাল আজিজ এবং সরওয়ার খান বাবু উপস্থিত ছিলেন। তারাও বক্তব্য রাখেন।
মোহাম্মদ আজিজ সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, আমি ইউর ড্রিম হোম কেয়ার কোম্পানীর মালিক। আমি সৎভাবে জীবন যাপন করি। কারো কাছ থেকে টাকা নেওয়া আমার উদ্দেশ্য না। আমার আল্লাহর রহমতে অনেক কিছুই আছে। তিনি বলেন, শহনেওয়াজ সাহেব মেজবাহ আবেদনীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছেন। এটি প্রতিহিংসামূলক। মেজবাহ আবেদীন আমার সাথে যা করেছেন ঠিক করেননি।
মোহাম্মদ আজিজ বলেন, আইআরএস যখন আমার ৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার হিসাব থেকে লেবী বসিয়ে নিয়ে নেয় তখন মেজবাহকে ফোন করি। তখন মেজবাহ দেশে চলে গেছে। এই কারণে তখন তাকে পাইনি।
আইআরএস বিষয় তিনি খবর নিয়ে গিয়েছিলেন কিনা এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি মেজবাহ এর কথা বিশ্বাস করেছি। মেজবাহ এর তখন ৬৯ ক্লায়েন্ট আছে। এই কারণে আমি ভেবেছি বাকি থাকলে কত বাকি থাকবে। আর বাকি থাকলে তা দিয়ে দিব। কিন্তু বিপুল পরিমাণ বকেয়ার পরিমাণ বলেনি। কারণ তিনি হোম কেয়ারের কোনদিনই ট্যাক্স দেননি।
তিনি বলেন, আমি যখন ইউর ড্রিম হোম কেয়ার কিনি, তখন মেজবাহ আবেদীন এর সাথে আমার সেল এগ্রিমেন্ট হয়। আমি বকেয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেননি আইআরএস তার কাছে অর্থ পায়। তিনি ৬০ হাজারের একটি লোন আছে বলছে। আমি চিন্তা করছি ছোট লোন। মেজবাহ না দিলে আমি দিয়ে দেব। ডিডে সব কিছু লেখা আছে। ডিডে লেখা আছে ৩ তারিখ এর আগ পর্যন্ত কিছু থাকলে তিনি তার বকয়ো পরিশোধ করবেন। সেই হিসাবে আগের সব বকেয়া মেজবাহ আবেদীন পরিশোধ করবেন।
আমি ইউর ড্রিম হোম কেয়ারের বাড়ির মালিক। সেই বাড়ির মালিক কোম্পানীর বলে আমি। এখন মেজবাহ আবেদীন ওই বাড়িতে থাকতে চান। আমি ওই বাড়ি বিক্রি করে তাকে উচ্ছেদ করতে চাই না। তবে তিনি সব কিছু বিক্রি করে দিয়েছেন। আমি বাড়িরও মালিক। কিছু বাড়ি আমাকে পেতে হবে।
তিনি বলেন, আজকালকে আমি আর কোন প্রতিবাদ দিতে যাব না। আমার আইনজীবী যেভাবে বলবেন, সেই ভাবে কাজ করবো।
প্রতিহিংসার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি ছোট কমিউনিটি। আপনি যাকে বন্ধু মনে করেন সে কি আপনার প্রকৃত বন্ধু? আসলে তা না। হোম কেয়ার করে ভাত খেতে আসিনি। এই টাকা দিয়ে আমাকে চলতে হবে, এমন নয়। আল্লাহ তালা আমাকে সেই অবস্থায় রাখেননি। হোম কেয়ারটি নেয়ার পর আমি ৪ মিলিয়ন ডলার এর পেছনে ঢেলেছি। আমার ছেলেকে বলেছি আমি তোমাদেরকে যতটুকু দিয়ে যাবো তা দিয়ে তোমরা চলতে পারবে।
আমি ইন্সুরেন্স কোম্পানী থেকে হোম কেয়ারের জন্য ঘন্টায় ২৪ ডলার করে পাইনি। এরপরও আমি সেটি অফার করেছি। সবসিডি দিয়েছে।
মোহাম্মদ আজিজ বাংলাদেশ সোসাইটি, জালালাবাদ এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। তার বিরুদ্ধে উঠা সব অভিযোগের জাবাব দেন।
তিনি আরো বলেন, আমি আজিজ যদি বেঁচে থাকি আর আমার সন্তান যদি জীবতি থাকেন তাহলে কোন দিন ইউর ড্রিম হোম কেয়ার বন্ধ হবে না।
৪৪ বছরে আমি কত আয় করেছি আর অন্যরা দুই চার বছরে কত ডলার আয় করছে তা আমি জানি।
আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে যে, মিথ্যাচার করেছে এই জন্য মাফ চাইতে হবে কমিউনিটির কাছে। আমার ও আমার ছেলে ফয়সাল আজিজের কাছে মাফ চাইতে হবে। লিখতে হবে, পত্রিকায় যেভাবে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই ভাবে বড় করে লিখিত আকারে মাফ চাইলে আমি মাফ করে দিবো।
মিডিয়ার সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে এম এ আজিজ বলেন, আমার কথা আপনারা লিখবেন কি লিখবেন না, জানি না। তবে আপনারা সবাই সত্যর পক্ষে থাকুন। তিনি মিডিয়ার সবার প্রতি তার ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এবং সত্যটাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার অনুরোধ করেন।
আমি মামলার কোন নোটিশ পাইনি-শাহনেওয়াজ
‘আজকাল কোন মিথ্যে খবর পরিবেশন করেনি’
গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট এবং আজকাল এর প্রকাশক ও সম্পাদক শাহনেওয়াজ বলেন, আমার নেতৃত্বাধীন ‘আজকাল’ কোন মিথ্যে সংবাদ পরিবেশন করে না। আজকাল মোহাম্মদ আজিজ ও ইউর ড্রিম হোম কেয়ারের বিরুদ্ধে কোন মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করেনি। তাছাড়া আমার সাথে তার কোনদিন কোন বিরোধও ছিল না। ৪ জুন সন্ধ্যায় মোহাম্মদ আজিজ সংবাদ সম্মেলন করেন। এই সময়ে শাহনেওয়াজ ও তার ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষ নবান্ন পার্টি সেন্টারের সামনে অবস্থান করছিলেন। অপর দিকে সংবাদ সম্মেলন শুরু করার জন্য মোহাম্মদ আজিজ তার লোকজন নিয়ে মামাস পার্টি হলের সামনে অবস্থান নেন। নামাজের পরে মোহাম্মদ আজিজ সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন।
শাহনেওয়াজ এর কাছে মোহাম্মদ আজিজ এর সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এম এ আজিজ সাহেব আমার বিরুদ্ধে কেন সংবাদ সম্মেলন করবেন বা করছেন এমন কোন কিছু আমি দেখিনা। কারণ তার সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। তাছাড়া বাংলাদেশ সোসাইটির সব নেতাকে নিয়ে আমি কোন কথা বলিনি। এবং কারো সম্মানও আমি হানি করিনি। আমি আজিজ সাহেব এর উদ্দেশ্যে একটি কথা বলেছি।
শাহনেওয়াজ বলেন, আজকাল পত্রিকায় মোহাম্মদ আজিজ এর বিরুদ্ধে ও ইউর ড্রিম হোম কেয়ার বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে কোন কথাই মিথ্যে নয়। আমি বলি ইউর ড্রিম হোম কেয়ার এর ব্যাপারে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে তা সত্য।
আর এখানে বলে রাখা প্রয়োজন মোহাম্মদ আজিজ যে দাবি করছেন তিনি ইউর ড্রিম হোম কেয়ারের পুরোটারই মালিক, এটা ঠিক না। কারণ আমি যতদূর জানি মেজবাহ আবেদীন এর ইউর ড্রিম হোম কেয়ার প্রতিষ্ঠানটি একটি ডিবিএ। আর এই ডিবিএ এর অধিনে মেজবাহ আবেদীন সব কিছু করেছেন। আমি যতখানি জানি যে , ইউর ড্রিম হোম কেয়ার এর একটি অংশ ৪০ শতাংশ বিক্রি করেছেন। আর বাকি ৬০ শতাংশও এখন মালিকানা দাবি করছেন। কিন্তু এটা ঠিক না। কারণ আমি জানি যে মেসবাহ আবেদীনের বাড়ি, হোম কেয়ারসহ অনেক কিছু ডিবিএর নামে। ফলে তিনি যখন হোম কেয়ারের ৪০ শতাংশ বিক্রি করেছেন তখন ডিবিএর সব কিছুর কারণে এখন মোহাম্মদ আজিজ সব দাবি করছেন। সেই সব নথিপত্রও আমাদের কাছে আছে।
শাহনেওয়াজ এর কাছে মোহাম্মদ আজিজ এর আজকাল এর বিরু