Thikana News
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আমেরিকার প্রথম ম্যাচে একঝাঁক রেকর্ড

গ্রুপ পর্বেই চ্যালেঞ্জের মুখে!

গ্রুপ পর্বেই চ্যালেঞ্জের মুখে!


দুই সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ডালাস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে সহ-অধিনায়ক অ্যারন জোন্সের ঝড়ে কানাডার বিপক্ষে নিজেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচনা ম্যাচেই রেকর্ডগড়া জয় পায় টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক আমেরিকা। গত ১ জুন শনিবার ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র ১৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় কানাডাকে। আগে ব্যাট করে নভোনিত ধালিওয়াল ও নিকোলাস কিরটোনের হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে রেকর্ডগড়া ১৯৪ রান তোলে কানাডা। জবাবে অ্যারন জোন্স ও আন্দ্রিয়েস গাউসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৭.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করে বড় জয় তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ২০১৪ আসরে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নেমে ১৯৩ রান করে রেকর্ড গড়েছিল নেদারল্যান্ডস। অভিষেক কোনো দলের সেই রেকর্ড ভেঙে নেদারল্যান্ডসের চেয়ে ১ রান বেশি করলে কানাডাকে পেছনে ফেলে আরেক রেকর্ড গড়ে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখল স্বাগতিকরা।
কানাডার দেওয়া ১৯৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দলীয় ৪২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। তৃতীয় উইকেটে গুস ও জোনস জুটি বেঁধে দলের সব শঙ্কা দূর করে দেন। ম্যাচের সময় যতই বাড়ছিল, এ দুই ব্যাটার খোলস ছেড়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাচ্ছিলেন। তৃতীয় উইকেটজুটিতে দুজন মিলে তুলেছেন ১৩১ রান। ওভারপ্রতি রান এসেছে ১৪.২৯ গড়ে, যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেকোনো সেঞ্চুরি জুটির সর্বোচ্চ রানরেট। শেষ পর্যন্ত দলীয় ১৭৩ রানে গুসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নিখিল দত্ত। তার আগে গুস ৪৬ বলে ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন। চতুর্থ উইকেটে কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন অ্যারন জোনস। তিনি ৪০ বলে ১০ ছক্কা ও ৪ চারে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ শেষে জোনসের ৬ রানের আক্ষেপ থেকে গেল। কোরি অ্যান্ডারসন অপরাজিত থাকেন ৩ রানে। ৬ জুন দ্বিতীয় ম্যাচে ভেন্যু ডালাসেই পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র।
আইসিসির ইতিহাসে এবারই প্রথম ২০ দল নিয়ে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আয়োজক দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ খেলবে দুটি দেশে। প্রথম দুটি ম্যাচ খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস ও নিউইয়র্কে। যেখানে টাইগারদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী দুই দল শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ছাড়া গ্রুপ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টনে নামবেন শান্তরা। এই দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে।
আসরটিতে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে আগামী ৮ জুন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। মূল পর্বের পূর্বে ১ জুন নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে গা গরমের ম্যাচে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স ছিল হতশ্রী। বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে শেষ পরীক্ষাতে আরও একবার ব্যাটিং লাইনআপ মুখ থুবড়ে পড়ায় বিশ্বকাপের আগে অস্বস্তি বাড়ল নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। আইসিসির অফিশিয়াল ওয়ার্মআপ ম্যাচে ভারতের ১৮২ রানের জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ দলের এই বিবর্ণ পারফরম্যান্স দেশ ও প্রবাসে আলোচিত হচ্ছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে- গ্রুপ পর্বের চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে পারবে কি বাংলাদেশ!
এদিকে ডি গ্রুপে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে প্রথম ম্যাচে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৩ জুন সোমবার নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়াদের বোলিং তোপে ১৯ ওভার ১ বলে ৭৭ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা, যা তাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। তবে মাত্র ৭৮ রানের মামুলি টার্গেট তাড়া করতে নেমে বেশ বেগ পেতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। যদিও শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে জয় নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন ব্যাট হাতে কেউ সুবিধা করতে পারেননি। দলের পক্ষে কুশল মেন্ডিস সর্বোচ্চ ৩০ বলে করেন ১৯ রান। এ ছাড়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস করেন ১৬ বলে ১৬ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এনরিখ নরকিয়া নেন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট। এ ছাড়া কাগিসো রাবাদা ও কেশভ মহারাজ নেন ২টি করে উইকেট।
৭৮ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জোড়া উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। রেজা হেনড্রিকস ২ বলে ৪ ও এইডেন মার্করাম ১৪ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। তাদের বিদায়ের পর স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুইন্টন ডি কক। তবে দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে প্রোটিয়ারা। ডি কক ২৭ বলে ২০ ও স্টাবস ২৮ বলে ১৩ রান করে আউট হন। এরপর হেনরিখ ক্লাসেন ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে সাবলীলভাবে ব্যাটিং করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ২২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্লাসেন ২২ বলে ১৯ ও মিলার ৬ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। লঙ্কানদের পক্ষে হাসারাঙ্গা নেন ২টি উইকেট। এই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে একই স্টেডিয়ামে আগামী ১০ জুন বাংলাদেশ লড়বে। ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে।
অন্যদিকে শান্তরা অপর দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবেন নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে। তুলনামূলক কম শক্তির দল হলেও একেবারেই খাটো করে দেখার সুযোগ নাই এদের। কেননা গেল বছর ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। এ ছাড়া নেপালেরও সামর্থ্য রয়েছে ভয় ধরানোর। বলতে গেলে এই টুর্নামেন্টের পরের পর্বে যেতে হলে টাইগারদের বেশ চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিয়েই যেতে হবে। আর যদি তা করতে পারেন শান্তরা, তাহলে এবারের আসরই হবে টাইগারদের সেরা অর্জনের আসর।
সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচে শেষ হাসি নামিবিয়ার : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনেই দুর্দান্ত এক লড়াই দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। সমশক্তির ওমান-নামিবিয়া ম্যাচ গড়িয়েছে সুপার ওভারে। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে নামিবিয়া। সুপার ওভারে ওমানকে ১১ রানে হারিয়েছে তারা। ২ জুন রোববার বার্বাডোজে টস জিতে ওমানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নামিবিয়া। প্রথম ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ওমান। নামিবিয়ার বোলিং তোপে ১৯ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওমান। দলের পক্ষে খালিদ কাইল ৩৯ বলে ৩৪ ও জিসান মাকসুদ করেন ২০ বলে ২২ রান। নামিবিয়ার পক্ষে রুবেন ট্রাম্পলম্যান ৪টি ও ডেভিড উইজা নেন ৩টি উইকেট। ১১০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও নিকোলাস ডেভিন ও ইয়ান ফ্রাইলিঙ্কের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল নামিবিয়া। নিকোলাস ৩১ বলে ২৪ ও ফ্রাইলিঙ্ক ৪৮ বলে ৪৫ রান করেন। এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর ওমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান সংগ্রহ করে করতে সক্ষম হয় নামিবিয়া। ওমানের পক্ষে মেহরান খান নেন ৩টি উইকেট। সমতা থাকায় খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
সুপার ওভারে ডেভিড উইজা ও এরাসমুসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২১ রান সংগ্রহ করে নামিবিয়া। উইজা ৪ বলে ১৩ ও এরাসমুস করেন ২ বলে করেন ৮ রান। ২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উইজার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১ উইকেট হারিয়ে ১০ রান তুলতে সক্ষম হয় ওমান। ফলে ১১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নামিবিয়া।
উইন্ডিজকে কাঁপিয়ে হারল পাপুয়া নিউগিনি : পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে নিশ্চিতভাবে ফেভারিট ছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জয় পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে ক্যারিবিয়ানদের। যদিও কোনো অঘটন না ঘটিয়ে ৫ উইকেটের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ২ জুন রোববার  গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে পাপুয়া নিউগিনিকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাট করতে নেমে সিসে বাউয়ের ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান সংগ্রহ করে তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ বলে ৫০ রান করেন সিসে। এ ছাড়া অধিনায়ক আসাদ ভালা করেন ২২ বলে ২১ রান। ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে আন্দ্রে রাসেল ও আলজারি জোসেপ নেন ২টি করে উইকেট।
১৩৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ৮ রানে শূন্য হাতে ফিরে যান জনসন চার্লস। এরপর নিকোলাস পুরান ও ব্রান্ডন কিং মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। ৫৩ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। পুরান ২৭ বলে ২৭ ও কিং ২৯ বলে ৩৪ রান করে আউট হন। তাদের বিদায়ের পর রসটন চেজ ও রোভম্যান পাওয়েলের ব্যাটে জয়ের পথেই থাকে ক্যারিবিয়ানরা। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে ফেলে পাপুয়া নিউগিনি। তবে চেজের অপরাজিত ২৭ বলে ৪২ রানে ভর করে ৬ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
উগান্ডাকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু আফগানদের : প্রথমে ব্যাট হাতে তাণ্ডব। এরপর অগ্নিঝরা বোলিং। এতেই কুপোকাত প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা উগান্ডা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফ্রিকার দেশটিকে ১২৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে আফগানিস্তান।
৩ জুন সোমবার গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে আগফানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় উগান্ডা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানের বিশাল পুঁজি পায় আফগানরা। ফিফটির দেখা পেয়েছেন এই দুই আফগান ওপেনার। গুরবাজ ৪৫ বলে ৭৬ ও ইব্রাহিম করেন ৪৬ বলে ৭০ রান। উগান্ডার পক্ষে কসমাস কেউটা ও ব্রেইন মাসাবা নেন ২টি করে উইকেট।
১৮৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির তোপের মুখে পড়েন উগান্ডার ব্যাটাররা। ৪৮ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফ্রিকার দেশটি। একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে উগান্ডার ব্যাটিং লাইন ধসিয়ে দেন এই আফগান পেসার। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে ১৬ ওভারে ৫৮ রানে গুটিয়ে যায় উগান্ডা। দলের পক্ষে রবিনসন ওবুয়ে করেন সর্বোচ্চ ২৫ বলে ১৪ রান।

বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ম্যাচ পরিত্যক্ত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ধাক্কা খেল ইংল্যান্ড। বৃষ্টিতে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় স্কটল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হলো ইংলিশদের। মঙ্গলবার (৪ জুন) ব্রিজটাইমে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্কটিশরা। তবে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয়। লম্বা সময় পর শুরু হয় ম্যাচ। ইংলিশ বোলারদের বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন দুই ওপেনার মিচেল জোন্স ও জর্জ মুনসে। ৬ ওভার ২ বলে ৫১ রান তোলেন তারা। এরপর বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১০ ওভারে। বাকি ৩ ওভার ৪ বলে কোনো উইকেট হারায়নি স্কটল্যান্ড। এ সময়ে ৩৯ রান তোলেন দুই ওপেনার। জোন্স ৪৫ এবং মুনসে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ইনিংস বিরতিতে আবারও বৃষ্টি নামে। ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পায়নি ইংলিশরা। ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন অফিশিয়ালরা।

ক্যাচ মিসের মাশুল দিল নেপাল
ক্রিকেটের খুবই পুরোনো একটি কথা, ‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’। এই কথার মর্ম হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে নেপাল। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ লুফে নিতে না পারায় বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নেপালিদের। অন্যদিকে ৬ উইকেটের জয়ে শুভ সূচনা হলো নেদারল্যান্ডসের। ডি গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৯ ওভার ২ বলে মাত্র ১০৬ অল আউট হয় নেপাল। জবাবে শুরুতে দুই উইকেট হারালেও ৮ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় ডাচরা।
মঙ্গলবার (৪ জুন) ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে নেমেছিল নেপালিদের দল। এককথায় নেপালি সমর্থকে পরিপূর্ণ ছিল গ্যালারি। এর পরও উজ্জীবিত হতে পারেননি নেপালের ব্যাটাররা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্কোর বোর্ডে জমা করে মাত্র ১০৬ রান। যদিও অল্প রান নিয়ে ডাচদের চেপে ধরেছিল তারা। ক্যাচ মিসের সঙ্গে সহজ রান আউট মিস করায় হারতে হলো তাদের।

কমেন্ট বক্স