ঠিকানা রিপোর্ট 
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী ৩০ মে। ১৯৮১ সালের এইদিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন।
জিয়াউর রহমান আমৃত্যু যুদ্ধ করেছেন ক্ষুধা, দারিদ্র্য, শ্রেণিবৈষম্য ও নিরক্ষতার বিরুদ্ধে। জাতিকে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছেন তিনি। রক্তস্নাত স্বাধীন বাংলাদেশকে তিনি গণতন্ত্রের আস্বাদ দিয়েছেন।
জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। এরপর ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী থানার বাগবাড়ীর মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ছিল ‘কমল’। তার বাবা মনসুর রহমান কলকাতায় একজন কেমিস্ট হিসেবে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন। শৈশব ও কৈশরের একটি সময় গ্রামে কাটিয়ে তিনি বাবার সঙ্গে কলকাতায় এবং দেশ বিভাগের পর করাচিতে চলে যান। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ভর্তি হন। ১৯৫৫ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে একটি কোম্পানির অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী যখন নিরস্ত্র জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পর চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন জিয়াউর রহমান।
প্রতি বছর এ দিনটি জিয়াউর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকী হিসেবে পালন করে বিএনপি। শোকাবহ এই দিনটি স্মরণে প্রবাসেও দোয়া মাহফিল, আলোচনাসভা ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
এদিকে জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে নিউইয়র্কে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, খাবার ও তবারক বিতরণ করা হয়। দিবসটিতে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগ ছাড়াও জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর উদ্যোগে দুপুর ২টায় স্থানীয় নবান্ন রেস্টুরেন্টের সামনে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ করা হবে। এ লক্ষ্যে দেওয়ান মনিরকে আহ্বায়ক, সারওয়ার খান বাবু কে প্রধান সমন্বয়কারী এবং আমানত হোসেন আমানকে সদস্য সচিব করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আহ্বায়ক কমিটিতে আরো রয়েছেন- মোশারফ হোসেন সবুজ, আফতাব জনি, শামস্ জনি, কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, আশরাফুজ্জামান আশরাফ, সেলিম আহমেদ ও ইকতারুজ্জামান রতন (যুগ্ম-আহ্বায়ক); রফিকুল ইসলাম ডালিম, ফারুক হোসেন মজুমদার, মিজানুর রহমান মিজান, প্রফেসর মনিরুল ইসলাম খান, মফিজুর রহমান, জীবন শফিক, মাহবুবুর রহমান ও হামিদুজ্জামান রকি। (সমন্বয়কারী); এ সিদ্দিক পাটওয়ারী, মনিরুল ইসলাম মনির, জাহাঙ্গীর আলম জয়, ইঞ্জিনিয়ার মাঈন উদ্দিন, মোহাম্মদ রইচ উদ্দিন, ওয়াহিদুজ্জামান নিলু এবং এস এম ফরমান হোসেন (যুগ্ম-সদস্য সচিব)।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন- আবুল কাশেম, মো. গিয়াস উদ্দিন, মোশারফ হোসেন সবুজ, এজেডএম জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাইফুল ইসলাম, সুলতান নাসির উদ্দিন রতন এবং নীরব হক।
সহযোগিতায় রয়েছেন : মীর নিজামুল হক, মো. মানিক বাবু, আলমগীর খান আলম, পিয়ার আহমেদ, মহসিন ননী, শেখ নোমান পলাশ, ফরহাদ রেজা, এম রহমান, আসাদুল ইসলাম আসাদ, মিয়া মো. দুলাল, শাহীন এইচ চৌধুরী, ওয়াসীম খন্দকার, ইফতি খান টিপু, নেহার সিদ্দিকী, শফিউদ্দিন মিয়া, আশরাফ উদ্দিন ঠাকুর, জেড আর চৌধুরী, মো. শামীম চৌধুরী, শাহাদাৎ হোসেন রাজু, গোলাম ফারুক শাহীন, এমআর খন্দকার সেন্টু, প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, বোরহান উদ্দিন, রুহুল আমিন সরকার, বক্সার সেলিম, বিদ্যুৎ দাস, জে মোল্লা সানি, সৈয়দ এমএ রেজা, ভিপি জসিম উদ্দিন, মাজহার রবিন, নাসিম আহমেদ, মাহবুবুর রহমান মুকুল, মোবারক হোসেন সজল, নূর ইসলাম বর্ষন, সৈয়দ এনায়েত আলী, নাজমুল আলম, সৈয়দ এনাম আহমেদ, জাহিদ আহমেদ খান, মাজহারুল ইসলাম জনি, সাইদুর খান ডিউক, কাজী বাবুল, বাবুল জামান, সৈয়দ মাহমুদ বাদশা, আরিফ মল্লিক, রফিকুল ইসলাম, রবিন এইচ চৌধুরী, এমডি কামাল উদ্দিন, জামান তুহিন, মাসুদ করিম মিলন, রাউফুল ইসলাম লিটন, আমজাদ হোসেন, আবুল কালাম, সাইফুল ইসলাম লিটন, ফরিদ খন্দকার, মো. হুমায়ুন কবির, লাল মিয়া (মহসিন), মশিউর রহমান (বীর মুক্তিযোদ্ধা), হুমায়ুন কবির, হাবিবুর রহমান, মাসুদ রানা, আনোয়ার পলাশ, বাদল মির্জা, আল মামুন সবুজ, রাইমুল ইসলাম প্রিন্স এবং হাসান আহমেদ।
জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর সভাপতি শাকিল মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আলম নমী দল নিরপেক্ষ সর্বজনীন এই অনুষ্ঠান সফল করতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি: নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির উদ্যোগে ৩০ মে বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সেইসাথে তবারক বিতরণ করা হবে। অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানের কর্মজীবন উপর আলোচনা করা ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিষয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়াও দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলবেন। সেই সাথে জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাবেন। পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে দেশে সঠিক গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার অনুরোধ করবেন। প্রবাসীরা যাতে দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আরো ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারেন নেই সব বিষয়গুলোও তুলে ধরা হবে। অনুষ্ঠান সফল করার জন্য নিউইয়র্ক বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিক প্রস্তুতি সভাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে তারা আলোচনা করছেন কিভাবে অনুষ্ঠান সফল করবেন। গত ২২ মে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির প্রস্তুতি সভা হয়েছে। ২৬ মে নিউইয়র্ক বিএনপির এই সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি কমিটির সভা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন গিয়াস আহমেদ, প্রধান অতিথি থাকবেন আলহাজ্জ্ব আব্দুল লতিফ সম্রাট, গেস্ট অব অনার থাকবেন জিল্লুর রহমান জিল্লু, প্রধান বক্তা মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম, নিউইয়র্র্ক মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধান সমন্বয়কারী হুমায়ূন কবির, সদস্য সচিব দেওয়ান কাউসার, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আশরাফ হোসেন, নীরা রাব্বানী, সমন্বয়কারী নাইমুল করিম টিপু, যুগ্ম সদস্য সচিব এম এ কাইয়ূম। সার্বিক তত্বাবধানে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার তাজুল ইসলাম।
এই আয়োজনের সাথে রয়েছেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মো: অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো: আরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রইস উদ্দিন।
নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জ্যামাইকা শাখার কর্মীসভা : গত ২৬ মে রোববার নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জ্যামাইকা শাখার কর্মীসভা জ্যামাইকায় অবস্থিত স্টার কাবাব রেস্টুরেন্টের পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা এবং সঞ্চালক হিসাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সুযোগ্য সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম।
অনুষ্ঠানে জ্যামাইকা বোরো/শাখা কমিটি গঠন এবং আগামী ২ জুন অনুষ্ঠিতব্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভাপতির নিদের্শনামূলক বক্তব্য দিয়েই কর্মীসভা শুরু হয়।
বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নব নির্বাচিত সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন, নব নির্বাচিত সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান হোসাইন, নব নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন মৃধা।
আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আমলাক হোসেন ফয়সাল, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন নাসির, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফ চৌধুরী, সাবেক সদস্য শরীফ চৌধুরী পাপ্পু, সাবেক সদস্য ফারদিন রনি প্রমুখ।
সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপির নিবেদিত প্রাণ এবং যারা নিয়মিত দলের মিটিং মিছিলে অংশগ্রহণ করবেন তারাই দলের বিভিন্ন কমিটিতে থাকবেন এবং তিনি আগামী ২ জুন রোববার অনুষ্ঠিতব্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সঞ্চালক মোহাম্মদ বদিউল আলম বলেন আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে এবং সকলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে আগামীতে সকল কমিটি গঠন করা হবে।
কর্মীসভায় আরো উপস্থিত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ হলেন নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জোহরা বেগম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ জহির, সাবেক সদস্য আব্বাস উদ্দিন, সাবেক সদস্য নাজমুল করিম কিরন, অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন, মোঃ রাকিব হোসেন, মোঃ মিজানুর রহমান মানিক চেয়ারম্যান, মোঃ মজিবর রহমান, বাহারুল ইসলাম রমিজ, মোঃ সোহেল রানা, মোহাম্মদ আজিজ, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম , মোঃ বেলায়েত হোসেন, আজিজুল হাওলাদার, খোকন সাহা সহ আরো অনেকে।
