লক্ষ্য ছিল একটাই—হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি হেরে সিরিজ খুইয়ে বসা বাংলাদেশের সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে ৫০ বল হাতে রেখেই ১০ উইকেটে জিতেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের ব্যবধানে কিংবা বেশি বল হাতে রেখে এটিই রেকর্ড জয় বাংলাদেশের। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মান বাঁচানোর মিশনে তাই অন্তত কিছুটা স্বস্তি মিলেছে টাইগার ড্রেসিংরুমে।
বাংলাদেশের বোলিং ইনিংস ছিল রেকর্ডময়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ এবং বাংলাদেশের সেরা বোলিং নৈপুণ্য দেখান মোস্তাফিজ। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৯ রানে শিকার করেন দেশের প্রথম বোলার হিসেবে ৬ উইকেট। আগের সেরা নৈপুণ্য ছিল ইলিয়াস সানির ১৩ রানে ৫ উইকেট।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসে সবচেয়ে কম খরুচে বোলিংয়ের কীর্তি ছিল ২০১৪ সালে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৪ ওভারে ৮ রান। ওই কীর্তি নিজের করে রিশাদ ৪ ওভারে দেন ৭ রান। উইকেট নেন ১টি।
ম্যাচে ১ শিকার ধরে সাকিব পূর্ণ করেন আন্তর্জাতিকে ৭০০ উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রান ও ৭০০ উইকেট শিকার করা পৃথিবীর একমাত্র ক্রিকেটার হলেন সাকিব আল হাসান।
এত সব কীর্তির মাঝে ৯ উইকেটে ১০৪ রানেই থামে যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংস। সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন আন্দ্রেস গুস।
রান তাড়ায় তানজিদ তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪২ বলে অপরাজিত ৫৮ রান আসে তার ব্যাটে। সৌম্য সরকার খেলেন ২৮ বলে ৪ চার ২ ছক্কায় অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস। দুজনের দ্বিতীয় ও বাংলাদেশের চতুর্থ শতরানের জুটিতে আসে ১০ উইকেটের সান্ত্বনার জয়। ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও ম্যান অব দ্য সিরিজ হন মোস্তাফিজুর রহমান।
ঠিকানা/এনআই