Thikana News
০৪ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪
বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্বীকার

ফের বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ চুরি!

ফের বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ চুরি!
আবারও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটেছে! এবার ভারতীয় হ্যাকররা ডিজিটাল উপায়ে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে বলে জানা গেছে। গত ৭ মে রিজার্ভ চুরির এ ঘটনা ঘটে। ভারতের ‘নর্থইস্ট নিউজ’ নামের এক নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমন দাবি করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি বিষয়টিকে নাকচ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমে বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ ভুয়া একটি খবর।
এ বিষয়ে গত ১৪ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নতুন রিজার্ভ চুরি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় একটি পত্রিকা। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া খবর। আমাদের এখন ফেডের সাথে তিন স্তরের নিশ্চিতকরণ নীতি রয়েছে এবং লেনদেনের নিয়মিত পুনর্মিলন রয়েছে।
গত ১৪ মে ‘চলতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোটি কোটি ডলার চুরির পেছনে কী ভারতীয় হ্যাকাররা জড়িত?’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘নর্থইস্ট নিউজ’। এ নিউজেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়। তবে ঠিকানার পক্ষ থেকে এই নিউজের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
নর্থইস্ট নিউজের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অজ্ঞাতপরিচয় সন্দেহভাজন ভারতীয় হ্যাকাররা ডিজিটাল উপায়ে প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে। দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ‘চাঞ্চল্যকর’ চুরির বিষয়ে অবগত এবং তারা নীরবে এ ঘটনার তদন্ত করছে।
ভারত ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ভারতে হ্যাকারদের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করার চেষ্টা করলেও তারা তৃতীয় দেশ থেকে পরিচালিত হতে পারে এমন একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনাকে অস্বীকার করেননি।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফিলিপাইন থেকে অপারেট করা অজ্ঞাত হ্যাকাররা ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করেছিল। যা কিছু প্রাথমিক তদন্ত সত্ত্বেও সনাক্ত করা যায়নি।
ঐ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সরকারি আমলা সফলভাবে এ ঘটনা গোপন রেখেছিলেন।
তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চুরির বিষয়ে অবহিত করতেও ব্যর্থ হন। তিনি বিশ্বাস করেন যে অর্থ চুরি করে নেওয়া প্রযুক্তিগত ত্রুটির পরিণতি। তার কোনো ধারণা ছিল না যে অর্থ বের করার অনেক আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করানো হয়েছিল। 
বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি।
‘নর্থইস্ট নিউজ’-এ আরো বলা হয়, এমন একটি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে, যখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে রয়েছে। কয়েকজন কর্মকর্তা সন্দেহ করছেন, রিজার্ভ চুরির সংখ্যাটি ‘একক’ হতে পারে। যা আমদানি বিল নিষ্পত্তিতে ‘চরম অসুবিধা’ সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যাংক চুরির ঘটনায় সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে গত ১৩ মে নেট রিজার্ভ ছিলো ১৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। গত দুই সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল সদর দফতরে বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলেও এই নিউজে উল্লেখ করা হয়েছে।
নর্থইস্ট নিউজের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আট বছরে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে হ্যাকাররা ঢুকে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি করেছে। এর আগে ২০১৬ সালে ফিলিপাইনের হ্যাকাররা ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করেছিলো।
সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এবং সরকারি কর্মকর্তারা সফলভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা গোপন রেখেছিলেন।
আট বছরে এই দ্বিতীয়বারের মতো হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে ঢুকে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি করলো।



 

কমেন্ট বক্স