Thikana News
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

২০২৪ সালে চাঁদে যাচ্ছে মেমোরি ডিস্ক

থাকবে মানুষের ২৭৫টি ভাষা
২০২৪ সালে চাঁদে যাচ্ছে মেমোরি ডিস্ক
আমাদের জীবন থেকে স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য অনেকেরই নিশ্চয় টাইম ক্যাপসুল বানানোর কথা মনে আছে। পৃথিবী থেকে ৩ লাখ ৮৪ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাঁদ। এবার চাঁদের বুকেই সংরক্ষণ করা হবে মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি। আইস্পেস, একটি জাপানি চন্দ্র অন্বেষণ সংস্থা যা মহাকাশে আরও বেশি মানুষের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে চাঁদে মানুষের ভাষা সংরক্ষণ করার জন্য তারা জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে। জাপানের হাকুটো-আর মিশন ২, যা চাঁদের পৃষ্ঠে একটি রোবোটিক ল্যান্ডার পাঠাবে। মিশনের উদ্দেশ্য হবে চন্দ্রপৃষ্ঠে ২৭৫টি ভাষা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক নিদর্শন সম্বলিত ইউনেস্কোর তৈরি একটি ‘মেমোরি ডিস্ক’ সরবরাহ করা। পৃথিবীতে মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য ভবিষ্যতে হুমকির সম্মুখীন হলে এটি আমাদের মানবতার একটি অংশকে বাঁচিয়ে রাখার একটি প্রচেষ্টা হবে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।

ভাষাগুলি ইউনেস্কোর সংবিধানের প্রস্তাবনার অংশ হবে যা ‘বিশ্ব ঐক্য, ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং সংস্কৃতি সংরক্ষণের অংশ হবে। আইস্পেস তার হাকুটো-আর মিশন ২-এর অংশ, তার রেজিলিয়েন্স চন্দ্র ল্যান্ডারে মেমরি ডিস্ক রাখবে এবং বর্তমান টাইমলাইন ধরে রাখলে ২০২৪ সালের শেষের দিকে এটি চাঁদে পৌঁছাবে। স্পেস-ইউরোপ-এর সিইও জুলিয়ান লামামি, এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভাষাগত বৈচিত্র্য বজায় রাখা এবং সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা ইউনেস্কোর উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। আমরা ঘোষণা করতে পেরে অত্যন্ত সম্মানিত যে আইস্পেস হাকুটো-আর মিশন ২ বিশ্বকে উপকৃত করার জন্য ইউনেস্কোর চন্দ্র মিশনে অবদান রাখবে।

আমরা হাকুটো-আর মিশন ২-এ অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৪ সালের শীত মরশুমে এই চন্দ্রাভিযানটি পাঠানো হতে পারে।
আইস্পেসের  প্রথম চন্দ্র ল্যান্ডার, হাকুটো-আর মিশন ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কোম্পানির মিশন ১-এ চালু হয়েছিল। যখন ল্যান্ডারটি ২৫ এপ্রিল ২০২৩-এ তার ঐতিহাসিক অবতরণের চেষ্টা করেছিল, তখন তার অনবোর্ড কম্পিউটার একটি ভুল উচ্চতা পরিমাপ গণনা করেছিল যার কারণে মহাকাশযানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। কোম্পানির দ্বিতীয় মিশন, হাকুটো-আর মিশন ২, ২০২৪ সালের শীতে কোনো এক সময়ে চালু হওয়ার কথা এবং এতে একটি মাইক্রো মুন রোভার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আইস্পেস ইতিমধ্যেই তার মিশন ৩ তৈরি করছে, যা ২০২৬ সালে লঞ্চের জন্য নির্ধারিত এবং এজেন্সির বাণিজ্যিক লুনার পেলোড সার্ভিসেস প্রোগ্রাম (CLPS) এর অংশ হিসাবে নাসা-নির্মিত বৈজ্ঞানিক পেলোডগুলি অন্তর্ভুক্ত করবে। এই মিশনটি কোম্পানির অ্যাপেক্স ১.০ চন্দ্রের ল্যান্ডারকে চাঁদে পাঠাবে, একটি বৃহত্তর মহাকাশযান যার ১১০০ পাউন্ড প্রজেক্টেড পেলোড বহনের ক্ষমতা রয়েছে। সূত্র: স্পেস ডট কম

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স