নিউইয়র্কে প্রবাসী বিয়ানীবাজাবাসীর ফুলেল শুভেচ্ছায় সংবর্ধিত হলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সিলেট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। গত ৯ জুলাই রোববার রাতে ওজোনপার্কের দেশি সিনিয়র সেন্টারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধনার জবাবে নাসির উদ্দিন খান বলেন, আমি একটি রাজনৈতিক দলের মানুষ হলেও প্রবাসী বিয়ানীবাজারবাসী দলমত নির্বশেষে যেভাবে আমাকে সংবর্ধিত করলেন, তাতে আমি আপ্লুত, চিরকৃতজ্ঞ, আমি চিরদিন বিয়ানীবাজারবাসীর পাশে থাকবো।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে ঐতিহ্যবাহী সিলেট জেলার সকল উপজেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সাধ্যমত অবদান রাখার চেষ্টা করবো। তবে নাড়ির টানে বিয়ানীবাজারবাসীর সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করবো। তিনি যার যার অবস্থান থেকে নিজ নিজ এলাকাসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র সভাপতি বদরুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ বদরুল হক, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ট্রাস্ট্রি বোর্ড সদস্য ছদরুন নুর, সাবেক সভাপতি বদরুন নাহার খান মিতা, বিয়ানীবাজার সমিতির সভাপতি হাজী আব্দুল মান্নান, সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান বুরহান ও মকবুল রহিম চুনই, সংবর্ধনা কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা শামসুল আবদীন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাছিব মামুন, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর নুর হেলাল, ডা. মাহফুজুর রহমান খালেদ ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান চৌধুরী। যৌথভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংবর্ধনা কমিটির সদস্য সচিব মস্তফা কামাল ও যুগ্ম সদস্য সচিব আবদুল আলিম ও সরওয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ফজলুর রহমান। এরপর বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর সকল শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরবর্তীতে সংবর্ধিত অতিথি নাসির উদ্দিন খানের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন সারওয়ার হোসেন। এরপর তাকে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকাসহ প্রবাসে বিয়ানীবাজার উপজেলার বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়াও সংবর্ধনা কমিটির পক্ষ থেকে একটি ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে নাসির উদ্দিন খান বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই সিলেট বিভাগে সবচেয়ে বেশী উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের উন্নয়নে সবসময় আন্তরিক বলেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আধুনিক টার্মিনাল নির্মাণসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, আমি আমার সাধ্যমতো সিলেটের সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো, প্রয়োজনে দল ও সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দাবি জানানোর পাশাপাশি তদবির করবো।
অনুষ্ঠানে বক্তারা অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিনকে একজন সৎ, পরিশ্রমী ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, তিনি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার জন্য বিয়ানীবাজারবাসী গর্বিত। বক্তারা স্থানীয় নানা সমস্যা সমাধানের জন্য সংবর্ধিত অতিথির হস্তক্ষপ কামনা করেন। বিশেষ করে সিলেট শহরের যানজট, বিমানবন্দরে হয়রানী-ভোগান্তি প্রভৃতি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রাত পৌনে নয়টার দিকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠান চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। এতে সংবর্ধিত অতিথিসহ ৪১জন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সেন্টার ফর এনআরবি’র চেয়ারপার্সন সেকিল চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ শেখ মখলু, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহান আহমেদ টুটুল, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আতিক, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, বিয়ানীবাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মাহবুব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সাবেক সভাপতি মিসবাহ আহমেদ, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম, পেনসিলভেনিয়া স্টেট আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আলিম উদ্দিন, ব্রঙ্কস আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মুহিত, সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম মর্তুজা, নূরুল আম্বিয়া ও কামরুল উদ্দিন কমর, বেলাল আহমেদ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট সাঈদুর রব জামাল, মুন্না মোর্শেদ, আব্দুল হাসিব, আওয়াল হোসেন, ফয়সাল আলম, ফয়সল আহমেদ, শাহানাজ মুন্না, খায়রুল ইসলাম খোকন, জুয়েল আহমেদ, ফাজলে রাব্বী সেবুল, কমর উদ্দিন, শরাফ উদ্দিন লোদী, আব্দুল কদ্দুস টিটু, মহিউদ্দিন মনি ও আব্দুল জলিল চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শেখ শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।