Thikana News
১৮ অক্টোবর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪


 

নির্বাচন নিয়ে নানামুখী পরিকল্পনা

নির্বাচন নিয়ে নানামুখী পরিকল্পনা


সাংবিধানিক বিধিব্যবস্থা অনুযায়ী যথাসময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পাদন করে চলেছে। সরকারের সহেযাগিতায় যাবতীয় কাজ শেষ করার পরই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ছয় মাসের যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারে। সাংবিধানিক সে বিধান অনুযায়ী কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোন সময়টা বেছে নেওয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্তভাবে স্থির করা হয়নি। বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে এবং না-ও আসতে পারে দুই রকম সম্ভাব্য অবস্থা হিসাবে নিয়েই নির্বাচনের বিকল্প তারিখ নিয়ে ভাবা হচ্ছে। আগামী আগস্ট মাসের শেষ ভাগে তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। সে অনুযায়ী নির্বাচন হবে অক্টোবরে। বিএনপি বা কোনো দল নির্বাচন আসুক আর না আসুক, এই সময় ধরেই প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গুছিয়ে আনছে নির্বাচন কমিশন। তবে অন্যতম রাজনৈতিক শক্তি বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য সরকারের দিক থেকেই চেষ্টা করা হবে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মহলকে প্রভাবিত করতে সরকার উল্লেখযোগ্য কিছু ছাড় দেওয়ারও পরিকল্পনা করছে। বিএনপিসহ অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করেই তা চূড়ান্ত করা হবে। বিএনপি আলোচনা ও সমঝোতার পথ এড়িয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বর্জন করলে সরকার নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ীই নির্বাচন করবে। আর বিএনপির আচরণে এর ব্যতিক্রম হলে পরিস্থিতি ভিন্ন রূপ নেবে। বিএনপির দিক থেকে কোনো দাবি এলে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণা করবে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন হবে মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের এই বিকল্প পরিকল্পনা দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট সব মহলকেই অবহিত রাখা হবে, যা বিএনপিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে। বিশেষ করে, এই ঘটনা বিদেশিদের সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিতে ভূমিকা রাখবে।
বিএনপির নেতৃস্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচন প্রশ্নে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিএনপি নির্বাচন পিছিয়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে নেওয়ার দাবি করতে পারে। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য দলগতভাবে এবং প্রার্থীরাও ব্যক্তিগতভাবে প্রচার-প্রচারণা ও জনমত সংগঠিত করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাননি অজুহাতে বিএনপি তফসিল পুনর্ঘোষণার দাবি জানাবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে পরবর্তী সংসদে আইনগত সংশোধনী আনার কথাও বলা হবে। কিন্তু সরকার তৃতীয় দফা তফসিল ঘোষণায় না গিয়ে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানে উদ্যোগী হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক আইনগত বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে তার প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণের জটিল কাজ তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করবে। নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং অফিসারসহ সব নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় হাত দেবে কমিশন। বিরোধীদের আস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনী এলাকায় বর্তমানে কর্মরত অফিসারদের বড় অংশকে বদলি করা হবে। এ ব্যাপারে বিএনপিসহ বিরোধীদের দাবি পূরণ করতে দ্বিধা করবে না কমিশন। কারণ, বর্তমানে যেসব অফিসার রয়েছেন, তাদের সবাই সরকারদলীয়, সরকার সমর্থক ও সরকারের একান্ত অনুগত। যাকেই জেলা-উপজেলায় বদলি করে আনা হবে, তাদের সবাই সরকারের স্বার্থরক্ষায় আন্তরিকভাবে নিবেদিত। মাঠ প্রশাসনে শতভাগ সরকার ও সরকারি দলের বিশ্বস্ত, অনুগত থাকায় নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত নয় সরকার। পুলিশ প্রশাসনে থানা, জেলা, কেন্দ্রীয় পর্যায়ে শতভাগ সরকার সমর্থক ও সরকারের একান্ত অনুগত বিশ্বস্তরা থাকায় সরকারি মহল নিরাপদ রয়েছে।

কমেন্ট বক্স