Thikana News
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
জালিয়াতির বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা গভর্নর হোকুলের : উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ী ও সেবাদানকারীরা

হোম কেয়ারে বিপর্যয়ের শঙ্কা

হোম কেয়ারে বিপর্যয়ের শঙ্কা
নিউইয়র্কবাসীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমার ডাইরেক্টেড পারসোনাল প্রোগ্রামের (সিডিপ্যাপ) হোম কেয়ার সার্ভিস নিয়ে ব্যাপক প্রতারণা ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সিটির গভর্নর ক্যাথি হোকুল ও নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি স্পিকার কর্ল হেস্টি সম্প্রতি ৮ বিলিয়ন ডলারের হোম কেয়ার কর্মসূচির দুর্নীতি বন্ধে নতুন একটি প্রস্তাব এনেছেন। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী হোমকেয়ার সেবা খাতকে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে স্টেট নিয়ন্ত্রণাধীন ডিপার্টমেন্ট অব হেলথের (ডিওএইচ) মাধ্যমে। গভর্নরের এই সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণায় উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন এই খাতের শত শত ব্যবসায়ী ও লক্ষাধিক সেবাদানকারী। এই ব্যবসায় প্রতারণা ঠেকাতে সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণায় গত ১৫ এপ্রিল আলবেনিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন হোম কেয়ার ব্যবসায়ীরা। তারা গভর্নরের প্রস্তাবের তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা এই প্রস্তাবকে জনস্বার্থবিরোধী আখ্যায়িত করে প্রস্তাবটি বাতিলের দাবি তুলেছেন। এ জন্য চলছে জোর লবিং। এদিকে একটি সূত্রে জানা গেছে, ডিওএইচের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খ্যাতনামা কয়েকটি হোম কেয়ার প্রতিষ্ঠান একযোগে মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে।
জানা গেছে, গভর্নর ক্যাথি হোকুল এই আইন কার্যকর করতে নিউইয়র্ক মেডিকেইড সেকশন ১১১৫-এ পরিবর্তন আনতে চান। এ জন্য স্টেট অ্যাসেম্বলিতে প্রয়োজন হবে ভোটের। নিউইয়র্ক স্টেটের নিম্ন কক্ষ অ্যাসেম্বলির ১৫০ সদস্যের মধ্যে সিংহভাগ সদস্যই ডেমোক্র্যাট। প্রস্তাবিত এই আইন পাস হলে হোম কেয়ার সার্ভিসে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের শঙ্কা। তারা বলছেন, গভর্নরের এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে দুই লক্ষাধিক ডিজঅ্যাবল ও বয়স্ক নিউইয়র্কবাসী সেবাপ্রাপ্তির ঝুঁকিতে পড়বেন। আর চাকরি হারাবেন লক্ষাধিক সেবাদানকারী। এতে কমিউনিটির সাধারণ গ্রাহকেরা পড়বেন ভোগান্তিতে।
সূত্র জানায়, চলতি সপ্তাহে নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল আগামী অর্থবছরের জন্য ২৩৭ বিলিয়ন ডলারের বাজেট ঘোষণা করেছেন। এর আগে গভর্নর ও স্টেট অ্যাসেম্বলি স্পিকার সিনেটের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাজেটের বিভিন্ন খাতে অপচয় রোধের সম্ভাব্য পন্থা নিয়ে আলোচনা করেন। এ পর্যায়ে মেডিকেইড তহবিল বৃদ্ধি এবং মেডিকেইড প্রতারণা কীভাবে বন্ধ করা যায়, এ বিষয়টি উঠে আসে আলোচনায়। আগামী অর্থবছরে হোম কেয়ার খাত থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার বাঁচানোর একটি প্রস্তাব করা হয়। গত ১১ এপ্রিল নিউইয়র্কের বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র নিউইয়র্ক পোস্টে এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়। গভর্নরের অফিস মেডিকেইড হোম কেয়ারের ৮ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করবে বলে খবরটিতে উল্লেখ করা হয়। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এ খাতের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, জর্জিয়া রাজ্যের আটলান্টা-ভিত্তিক পিপিএল ইনক নামের একটি ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস কোম্পানিকে এককভাবে মেডিকেইড বিল করে সিডিপ্যাপ সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পে করার অধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে কোম্পানিটি নিউইয়র্কের প্রায় ৭০০ হোম কেয়ার প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা পাবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী রিকোয়েস্ট ফর অফার (আরএফও) তালিকাভুক্ত না হলে ৯০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছে ডিওএইচ। ইতিমধ্যে নিউইয়র্ক স্টেটের ৪২টি প্রতিষ্ঠান আরএফও তালিকাভুক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশি মালিকানাধীন দুটি প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছে। অন্য হোম কেয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছে। যেসব হোম কেয়ার প্রতিষ্ঠান আরএফও তালিকায় স্থান পাবে না, তাদেরকে তালিকাভুক্ত হোম কেয়ারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে ডিওএইচ। আর যারা আরএফও অনুমতি পাবে, তারাই শুধু সিডিপিএপির (কনজ্যুমার ডাইরেক্ট পারসোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম) জন্য অনুমতি পাবে। যারা অনুমতি পাবে না, তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে আরএফও অনুমোদন নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে। যদিও আরএফও অনুমোদন নেওয়ার জন্য আপিল করা যাবে মর্মে স্টেট থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে আরএফও না থাকলে স্টেট কর্তৃপক্ষ শুধু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। রোগীরা চাইলে তালিকাভুক্ত অন্য যেকোনো হোম কেয়ারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেবা নিতে পারবেন।
হোম কেয়ার সেবার ক্ষেত্রে সিডিপ্যাপ অত্যন্ত জনপ্রিয় এক প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামের অধীনে অনেকেই হোম কেয়ার সেবা পাচ্ছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নিউইয়র্ক স্টেটের নিম্ন আয়ের বয়স্ক মানুষের জীবনধারা পাল্টে দিয়েছে এই হোম কেয়ার সার্ভিস (বাড়িতে যত্ন সেবা)। বাংলাদেশিসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ সিডিপ্যাপের অধীনে গ্রহণ করছেন হোম কেয়ার সেবা। বয়স্ক নারী-পুরুষ যারা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ, নিজের কাজ নিজে করতে অক্ষম এবং অল্প বয়সী অথচ কর্মক্ষম তারাও এই সেবা পাওয়ার যোগ্য। এ জন্য তাদেরকে হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে থাকার প্রয়োজন নেই। নিজ ঘরে বসেই পরিবারের সদস্য কিংবা প্রতিবেশীর মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করে থাকেন তারা। সিডিপ্যাপের অধীনে অনেকেই তার বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, পরিবারের বয়স্ক সদস্যকে হোম কেয়ার সেবা দিচ্ছেন। সেবা প্রদানের বিণিময়ে প্রতি ঘণ্টায় পারিশ্রমিক পান সেবা প্রদানকারীরা। যারা সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা করে একজনের সেবা দিচ্ছেন, তারা ঘণ্টায় ২২ ডলার করে পাচ্ছেন ৮৮০ ডলার, যা ৫২ সপ্তাহে অর্থাৎ বছর শেষে দাঁড়ায় ৪৫ হাজার ৭৬০ ডলার। একই ব্যক্তি পরিবারের দুজনকে সেবা দিলে বছর শেষে ৯১ হাজার ৫২০ ডলার আয় করছেন। ফলে হোম সেবাদানকারীদের পরিবারগুলো সচ্ছলতার মুখ দেখছে। পাল্টে যাচ্ছে তাদের জীবন-জীবিকা। অন্যদিকে পরিবারের বয়স্ক নিকটাত্মীয়দের কদরও বেড়েছে দ্বিগুণ।
একটি সূত্র জানায়, অনেক সেবাদানকারী পরিবারের বয়স্ক মানুষের সেবা করে অর্জিত অর্থ দিয়ে বাড়িও কিনছেন। বাড়ি কিনে আবার মর্টগেজও দিচ্ছেন। যারা এই সেবার আয় দিয়ে বাড়ির মর্টগেজ শোধ করছেন, এই খাতে বিপর্যয় নেমে এলে তারাও কঠিন বিপদে পড়তে পারেন। বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করতে না পেরে বাড়ির মর্টগেজ দিতে ব্যর্থ হলে বাড়িও হাতছাড়া হতে পারে। ব্যাংক মর্টগেজ পরিশোধ না করার অভিযোগে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বাড়িটি ফোরক্লোজারে দিতে পারে। ওই সূত্র আরও জানায়, নতুন নিয়মে বাসায় এসে নার্স রোগীকে পরীক্ষা করে যতটুকু সেবা তিনি পাওয়ার যোগ্য, ঠিক ততটুকু সেবাই দেওয়া হবে। এর বেশি কেউ পেয়ে থাকলে সেগুলো কাটা হবে। এতে করে অনেকের কর্মঘণ্টা কমে যাবে। ফলে আয়ও কমে যাবে। যারা জালিয়াতির মাধ্যমে তথ্য দিয়ে সেবা দিয়েছেন তারা যেমন বিপদে পড়তে পারেন, তেমনি যারা সেবা গ্রহণ করেছেন, তারাও বিপদে পড়তে পারেন। কারণ সেবাগ্রহীতা কতটুকু সময় কার দ্বারা সেবা পেয়েছেন, এটা তাকে সার্টিফাই করতে হয়। কেউ মিথ্যা সার্টিফাই করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতা যেমন বিপদে পড়তে পারেন, তেমনি যে এজেন্সি এটির সুযোগ তৈরি করেছে, তারাও সমস্যায় পড়তে পারে। এ ধরনের এজেন্সির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গভর্নর ক্যাথি হোকুলের প্রস্তাবের প্রতিবাদে সাউথ এশিয়ান সিডিপ্যাপ অর্গানাইজেশন নিউইয়র্কের ব্যানারে আলবেনিতে গত ১৭ এপ্রিল সকালে গভর্নরের অফিস ভবন ও লবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এতে গোল্ডেন এইজ হোম কেয়ারের কর্ণধার লায়ন শাহ নেওয়াজ, ইমিগ্র্যান্ট এলডার হোম কেয়ারের কর্ণধার গিয়াস আহমেদ, আশা হোম কেয়ার ও আশা এডাল্ট কেয়ারের চেয়ারম্যান আকাশ রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ডিএইচ হোম কেয়ার, মার্কস হোম কেয়ার, সারা হোম কেয়ার, দাদা হোম কেয়ার, ফ্রিডম হোম কেয়ারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক প্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশকারীরা তাদের দাবি-দাওয়া সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, যেকোনো মূল্যে গভর্নরের প্রস্তাবটির বাস্তবায়ন প্রতিহত করা হবে।
এ বিষয়ে ইমিগ্র্যান্ট এলডার হোম কেয়ারের সিইও গিয়াস আহমেদ বলেন, সিডিপ্যাপ বন্ধ হচ্ছে না। দু-একটি হোম কেয়ার ষড়যন্ত্র করে অন্য হোম কেয়ারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমরা সমন্বিত ও ব্যক্তিগতভাবে আরএফওর জন্য আবেদন করেছি। ব্যক্তিগত আরএফও অনুমোদন না হলেও সমষ্টিগতভাবে পাঁচটি কোম্পানি অনুমোদিত হয়েছে। আমরা যে কারও সঙ্গে অনায়াসে কাজ করতে পারি। এতে করে হোম কেয়ার বা গ্রাহকদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি আরও বলেন, যেসব হোম কেয়ার কোম্পানি অনিয়ম কিংবা জালিয়াতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অবশই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিছু এজেন্সির কারণে সব এজেন্সি কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু সব প্রতিষ্ঠানকে একটি কোম্পানির অধীনে নিয়ে গেলে সেবার মান ব্যাহত হবে। বারী হোম কেয়ারের সিইও আসেফ বারী টুটুল বলেন, নিউইয়র্কে হোম কেয়ার এজেন্সির সংখ্যা ৭ শতাধিক। তার মধ্যে মাত্র ৪২টির নাম এসেছে। বাকি কোম্পানিগুলোর প্রক্রিয়া চলছে। আমরা ডিওএইচের চাহিদা অনুযায়ী সব কাগজপত্র জমা দিয়েছি। এতে কারও বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। প্রয়োজনে অর্ডিন্যান্স ৭৬ ধারায় আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে। এ ছাড়া যারা হোম কেয়ার সেবা পাচ্ছেন, তাদের সেবাও অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, আমরা এখন যে সেবা দিচ্ছি, একটি কোম্পানির হাতে নিয়ন্ত্রণ গেলে সেটি সম্ভব হবে না। আরএফও তালিকাভুক্ত এম অ্যান্ড এন হোম কেয়ারের ডিরেক্টর অব বিজনেস কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন জানান, আরএফও অনুমোদন পাওয়া আমাদের হোম কেয়ার ব্যবসার জন্য একটি বড় সাফল্য। আর অনুমতি না পাওয়া হোম কেয়ারগুলো ঝুঁকিতে আছে। তিনি আরও বলেন, কোনো হোম কেয়ারের মালিক আমাদের কাছে সহযোগিতা চাইলে আমরা তাদের অবশ্যই সহযোগিতা করব।
সিডিপ্যাপ নিয়ে গর্ভনর হোকুলের প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহবান বাংলা সিডিপ্যাপ ও আলেগ্রা হোম কেয়ার এর প্রধান ড. আবু জাফর মাহমুদ। তিনি সিপ্যিাপের হোম কেয়ারের বিষয়ে বলেন, হোম কেয়ার সেবা নিয়ে নিউইয়র্ক স্টেট গর্ভনর ক্যাথি হোকুলের কথিত পদক্ষেপে ২ লক্ষাধিক ডিসএবলড ও বয়স্ক নিউইয়র্কারের সেবা প্রাপ্তি হুমকির মুখে পড়বে। প্রায় লক্ষাধিক এই সেবাদানকারি চাকুরি হারাবেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে নিউইয়র্ক স্টেটের আমলা ও কতিপয় রাজনীতিকদের দ্বারা পবিত্র হোম কেয়ার ব্যবসার ওপর হামলা এসেছে। যেমনটি গতবার এসেছিল লিড এফআই এর নামে। আমাদের তীব্র আপত্তিতে তা এগুতে পারেনি। অবারও এমন একটি আঘাত আসতে পারে আমি আগ থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম। আমাদের কমিউনিটির বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী সম্প্রতি হোম কেয়ার ব্যবসায়ী আলবেনিতে গিয়ে গর্ভনর হোকুলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আমি ইতোমধ্যেই এ আন্দোলনে রয়েছি। গর্ভনরের উদ্যোগ নিউইয়র্ক স্টেটের জনগনের স্বার্থের পরিপন্থী। নিউইয়র্ক স্টেট এর আইনপ্রণেতারা তার এ উদ্যোগে সায় দিচ্ছেন না। নিউইয়র্ক স্টেট এ বসবাসকারী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির প্রবীন সদস্যদের জন্য সিডিপ্যাপ ও হোম কেয়ার সেবা অন্যতম মানবিক সহযোগিতা। এই সহযোগিতা বাতিলের পক্ষে কাজ করছে বড় বড় কর্পোরেট পুঁজির মালিক। নিউইয়র্ক স্টেট এর এই সহযোগিতা রক্ষার জন্য সকল জনপ্রতিনিধির সমর্থন লাগবে। 

কমেন্ট বক্স