Thikana News
২১ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

রুশ যুদ্ধবিমানের আঘাতে কৃষ্ণসাগরে ভেঙে পড়ল মার্কিন ড্রোন

রুশ যুদ্ধবিমানের আঘাতে কৃষ্ণসাগরে ভেঙে পড়ল মার্কিন ড্রোন
রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমানের অপতৎপরতায় মার্কিন নজরদারি একটি ড্রোন কৃষ্ণসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এমন দাবি করেছে। স্থানীয় সময় ১৪ মার্চ (মঙ্গলবার) এ ঘটনা ঘটে। তবে রুশ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে মার্কিন ড্রোনের সংঘর্ষের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন।

এক বছর আগে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর প্রথমবারের মতো সরাসরি সংঘর্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আনলো দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভিন্ন মন্তব্য করেছে এ ঘটনায়। ওয়াশিংটনে মস্কোর রাষ্ট্রদূত বলেছেন তার দেশ মার্কিন এমকিউ-৯ ড্রোন এবং রাশিয়ান এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানকে ঘিরে ঘটনাটি উসকানি হিসেবে দেখছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে নিয়মিত নজরদারি ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। শুধু তাই নয় ইউক্রেনকে কয়েক বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়ে সমর্থন করেছে এই যুদ্ধে। তবে এটি সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি এখনো।

মার্কিন সামরিক বাহিনী বলছে, দুটি রাশিয়ান এসইউ-২৭ জেট বিমান আন্তর্জাতিক আকাশে উড়ার সময় আমেরিকান গুপ্তচর ড্রোনটিকে বেপরোয়াভাবে বাধা দেয়। রাশিয়ান যুদ্ধবিমানগুলো জ্বালানি তেল ফেলেছিল এসময়। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর, সকাল ৭টা ৩ মিনিটে একটি জেট ও ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ফলে এটি বিধ্বস্ত করা হয় কৃষ্ণসাগরে।

পেন্টাগন জানিয়েছে, রাশিয়া ড্রোনটি উদ্ধার করেনি এবং যুদ্ধবিমানও সম্ভবত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মার্কিন বিমানবাহিনীর জেনারেল জেমস হেকার, যিনি এই অঞ্চলে বিমান বাহিনীর তদারকি করেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাশিয়ার এটি একটি অনিরাপদ ও অপেশাদার পদক্ষেপ, যার ফলে দুটি বিমানই প্রায় বিধ্বস্ত হতে যাচ্ছিল।’

অন্যদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি অস্বীকার করে জানিয়েছে, রাশিয়ার বিমান ড্রোনটির সংস্পর্শে আসেনি বা অস্ত্র ব্যবহার করেনি। ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে ড্রোনটি সনাক্ত করা হয়েছে বলে জানায় মস্কো। ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের এই অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার রাতে বলেছেন তার দেশের সামরিক কমান্ডাররা সর্বসম্মতভাবে পূর্ব ফ্রন্টলাইন রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বাখমুতে তীব্র লড়াইয়ের কথা জানান তিনি, যেটি কয়েক মাস ধরে রাশিয়া অবরুদ্ধ করে রেখেছে। জেলেনস্কি তার রাতের ভিডিও বার্তায় আরও বলেছেন, তাদের মূল লক্ষ্য এখন বাখমুত।

জেলেনস্কি পূর্বে লুহানস্ক, দক্ষিণে কৃষ্ণসাগরের ওডেসা এবং পশ্চিমে খনেলনিটস্কির তিন আঞ্চলিক গভর্নরকে বরখাস্ত করেছেন।

ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেছেন রাশিয়া পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের পুরো ফ্রন্টলাইন জুড়ে ‘আক্রমণাত্মক’ ছিল। বাখমুতের সর্বত্র যুদ্ধ চলছে বলেও জানান তিনি। সূত্র: রয়টার্স

কমেন্ট বক্স