Thikana News
১৮ অক্টোবর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪


 

রেজা কিবরিয়া ‘আম্মো সুশীল’, নুরের ‘ভবিষ্যৎ সুবিধার না’

রেজা কিবরিয়া ‘আম্মো সুশীল’, নুরের ‘ভবিষ্যৎ সুবিধার না’ ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুর/ছবি: সংগৃহীত


গণঅধিকার পরিষদে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব চরমে। নতুন এ দলটি স্পষ্টত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দলের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে সরিয়ে যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খানকে নতুন ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করেছেন সদস্যসচিব নুরুল হক নুর। পাল্টা ঘোষণায় নুর ও রাশেদকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছেন রেজা কিবরিয়া। প্রতিক্রিয়ায় নুরের দাবি- রেজা কিবরিয়া গণঅধিকার পরিষদের কাউকে বহিষ্কার বা অব্যাহতি দেওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।

দলটির নেতৃত্বের এ দ্বন্দ্বে গত দুদিন দেশের রাজনীতিতে হঠাৎ আলোচনার কেন্দ্রে গণঅধিকার পরিষদ। রাজনীতিবিদ, ছাত্রনেতা, ব্লগারসহ বিভিন্ন মহল দলটির অস্থিরতা নিয়ে মতামত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।

ব্লগার আরিফ জেবতিক দলটির এমন ‘ভঙ্গুর’ রাজনীতি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, রেজা কিবরিয়াকে দলের আহ্বায়ক বা প্রধান ব্যক্তি করাটা নুরুল হক নুর এবং তাঁর অনুসারীদের জন্য একটা রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। রেজা কিবরিয়া ধরনের ‘আম্মো সুশীল’ লোকজনের সারাজীবনের ধারণা যে তাঁরা বাকি সবাত্তে বেশি বুঝেন, সুতরাং তাঁদেরকে ‘কোলে করে ক্ষমতায়’ বসিয়ে দিতে হবে।

আরিফ জেবতিক বলেন, সাধারণত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ ধরনের সুশীল লোকজন গা ঝাড়া দিয়ে ওঠেন। তারা ‘যোগ্য প্রার্থী আন্দোলন’, ‘দুধে ধোওয়া তুলসি পাতা নেতা মুভমেন্ট’ ইত্যাদি করে থাকেন। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, দুই সরকারের মাঝখানে যে চিপা সরকার আসে, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় একটু পান-তামুকের ভাগ পাওয়া।

‘রেজা কিবরিয়া নূরের দলে কোনো ভ্যালু এড করতে পেরেছেন বলে আমার মনে হয় না। হয়তো দুয়েকটা ইংরেজি চিঠি লিখে দিয়ে কিংবা ভিসা ফরম পূরণ করে নুরকে দেশ-বিদেশ ঘুরতে সহায়তা করেছেন। কিন্তু উনি যেভাবে আমি তো নুরের মতো পরিবার থেকে আসিনি বলে দম্ভোক্তি করেছেন, সেটাতে তার রেসিস্ট মনোভাব পুরোপুরি প্রকাশিত হয়েছে, এটি আপত্তিকর।’

তিনি আরও লেখেন, ‘নুরের নামে যে অভিযোগ আমি ফেসবুকে দেখছি, সেটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। মানে মোসাদ নুরকে শত কোটি টাকা দেবে, এত বেকুব লোক দিয়ে মোসাদ চলে না। মোসাদের তথাকথিত এজেন্ট নুরের সাথে যে বৈঠক করেছে, সেটার আদতে কোনো ভ্যালু নেই। কেউ ষড়যন্ত্র করার মিটিং ঢাকঢোল পিটিয়ে, ফেসবুকে ছবি দিয়ে করে না।’

‘আর্থিক অস্বচ্ছতার যে অভিযোগ, সেটি সত্য হওয়ার সম্ভাবনা আছে। নুর ভক্তরা তাঁকে কিছু টাকা-পয়সা দিয়ে হয়তো সহায়তা করেন। এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন কিছু না। রাজনৈতিক নেতারা এভাবে চাঁদাটাদা পেয়ে থাকেন এবং সেগুলোকে নিজের বলেই মনে করেন। যেকোনো দলের আয়-ব্যয়ের যে হিসাব উপস্থাপিত হয়, সেগুলো সঠিক বলে বিশ্বাস করার মতো লোক দেশে বিরল।’

আরিফ জেবতিক আরও লিখেছেন, ‘কিন্তু সব মিলিয়ে নুরুল হক নুরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ খুব সুবিধার মনে হচ্ছে না। শুরুর দিকে তিনি কিছু তরুণকে আকৃষ্ট করতে পেরেছিলেন, সেখানে নিবেদিতপ্রাণ কর্মীও আছেন যথেষ্ট; কিন্তু তাঁদেরকে নিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত পথে রাজনীতি চালানোর মতো প্রজ্ঞাবান এ দলে আছেন বলে আমার মনে হয়নি। রেজা-নুরের এ কাদা ছোড়াছুড়িতে নুরের দল আরেকটি প্যাড-সাইনবোর্ড সম্বল দল হয়ে এ জোটে ওই জোটে গড়াগড়ি খাবে; এর বেশি কিছু অর্জন করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।’

এসআর

কমেন্ট বক্স