নদীতে হাত রেখেছিলাম স্রোতকে স্পর্শ করার লক্ষ্যে
স্পর্শে অনুভূত হলো যেন তার হাত আমার কপালে।
যখন সে শান্ত তার যত্নশীল শীতল প্রবাহ
কপালে হাতরাখা মায়ের হাতের উপচে পড়া স্নেহের মতো
বিপন্ন বিষণ্নতায় প্রসন্নতা দিয়ে প্রশমিত করেছিল।
যখন তাকে দেখলাম খরস্রোতায় উত্তাল উচ্ছলিত
তখনো তার পাশে গিয়েছি তাকে স্পর্শ করতে,
দেখলাম, ধরাছোঁয়ার বাইরে সে আর স্রোতস্বিনী নয়
ঢেউয়ের পরে ঢেউ সাজিয়ে যেন দুরন্ত মেঘনা নদী।
ভোর হয় দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সূর্য যায় অন্য দেশে,
মধ্যখানে অন্ধকার রাত সেখানেও চাঁদের হাসি।
সময়ের স্রোত করতলে নয় মনের স্পর্শে অনুভূত,
আবার অন্ধকারের রহস্যে কৃষ্ণপক্ষের রাত বড় ভয়াল!
দিনের আলোয় সবকিছু দৃশ্যমান হলেও
ঝড় আসে সতর্কসংকেতে কালো মেঘের তিমিরে,
তছনছ করে দেয় হাতের সক্ষমতা যে হাত
সুন্দরকে গ্রহণ করে হীনম্মন্যতাকে বর্জন করে।
নদীর বহে চলা আর চলমান সময় একই ছন্দে প্রবহমান
দুইয়ের সংস্পর্শে ভাঙা-গড়ার মোহনায়।
আগুনের পরশ পেয়ে দগ্ধ হওয়ার ভয় জেনেও
হাতগুলো বাড়িয়ে দিই বিদগ্ধ দৃষ্টির অবগাহনে।