প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন।
৩ এপ্রিল (বুধবার) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ওই সাক্ষাতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে এরইমধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। আমি চাই, চীন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সহায়তা করুক।
প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দিচ্ছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
মো. নজরুল ইসলামের মতে, শেখ হাসিনা চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চল এতদিন অবহেলিত ছিল, কারণ আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) ছাড়া আর কোনো সরকারই এ এলাকার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
সহযোগিতার দিকে ফিরে চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
ইয়াও ওয়েন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পেয়ে শেখ হাসিনাকে আগামী জুলাইয়ে চীন সফরের আমন্ত্রণও জানান।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রীকে চীনা রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দুই দেশের নেতাদের অভিন্ন যত্ন ও প্রচারের মাধ্যমে চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্ব ক্রমাগত গভীর হয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতা ফলপ্রসূ ফলাফল অর্জন করেছে। যা দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুফল বয়ে এনেছে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ আলোচনায় ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন দুই দেশের মধ্যে শাসনব্যবস্থায় অভিজ্ঞতা বিনিময় জোরদার করতে ইচ্ছুক। বাংলাদেশের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে চায় চীন। চীনা উদ্যোগকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চীন। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে বৃহত্তর ভূমিকা পালনে বাংলাদেশকে সমর্থন করে চীন, যেন বাংলাদেশকে ভিশন ২০৪১ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জন করতে পারে।
রাষ্ট্রদূত ওয়েন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনসহ অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়ে মতবিনিময় করেন।