এক ‘অতি স্পর্শকাতর তথ্যচিত্রে’ এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে বিবিসি। এতে এমন এক ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শোনা যাবে, যিনি মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন।
বিবিসি বলেছে, ওই ব্যক্তির পরিবারের ইচ্ছাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যেখানে এআই প্রযুক্তি ‘এমন এক কণ্ঠস্বর নতুন করে তৈরি করবে, যা এখন আর শোনার উপায় নেই’।
এর আগে বিবিসি’র মিউজিকাল শো ‘মাম্মা মিয়া!’ এবং ‘কাম ফ্রম অ্যাওয়ে’তে কাজ করা অভিনেত্রী সারা পয়জারকে জানানো হয়, শো’গুলোর ভয়েসওভারের জন্য তাকে আর লাগছে না কারণ তার পরিবর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে এতে।
বিবিসি’র শো বানানো প্রোডাকশন কোম্পানিটির ইমেইল বার্তা শেয়ার করেছেন পয়জার। এতে লেখা ছিল, “বিলম্বের জন্য দুঃখিত – আমরা বিবিসি’র কাছ থেকে এআইয়ের তৈরি কণ্ঠস্বর ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছি, তাই সারাকে আমাদের আর প্রয়োজন পড়বে না।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ তিনি ওই ইমেইল বার্তাকে ব্যাখ্যা করেছেন ‘সোবারিং’ বলে। এর পরপরই তার ওই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায় ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে অভিনেতাদের কাজ কেড়ে নিচ্ছে, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় অনলাইনে।
বিবিসি বলেছে, ‘ভয়েসওভারের কাজে আমাদের এআই প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে গত ২৪ ঘণ্টা যাবত যে আলোচনা চলছে’ তা নিয়ে ওয়ালিবহাল তারা।
সংবাদমাধ্যমটি আরও যোগ করে, এক্ষেত্রে ‘কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট’ বোঝা জরুরী।
বিবিসি’র দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা একটি অতি স্পর্শকাতর তথ্যচিত্র বানাচ্ছি, যেখানে এমন একজন আছেন যিনি মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ও তার পক্ষে কথা বলা সম্ভব নয়।”
“আমরা তার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি যে, সিনেমাটির শেষ অংশে আমরা কীভাবে সেরা উপায়ে ওই ব্যক্তির কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে পারি, যা পাণ্ডুলিপির অংশ।”
“এমন সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে তার পরিবারের সম্মতি নিয়ে আমরা ছোট পরিসরে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে একমত হয়েছি, যা এমন এক কণ্ঠস্বর তৈরি করবে যা এখন আর শোনা যায় না।”
“তবে, সিনেমার সে অংশটি চিহ্নিত করে দেব আমরা।”
ঠিকানা/এসআর