সূর্য ডোবায় অন্ধকারে ঢেকে দেয় গোটা পৃথিবী
আলোয় আলোয় ভরে যায় পিনপতন নীরবতা ধর্ষিতা অবলা নারীর
ভয় শঙ্কার অভিজ্ঞতা পৃথিবী বুঝে নিল নীরবে
মৃত্তিকা ভিজে চোখের অশ্রুকণার সমাহারে জানায় মর্মব্যথা।
মনে হয় এ যেন বাপ-মা মরা এতিম শিশু মোরা বিধাতার সৃষ্ট
এহেন মনোবেদনায় আমরা হাঁপিয়ে উঠি মানুষকুল
দৃশ্যমান শীতের মরা গাছ শিকড়ে জোর নেই
বেঁচে থাকার অদম্য ইচ্ছা পত্রপল্লবে ফুলে-ফলে।
একাকিত্বে অন্ধকার ভার করে ডোবা তারা চোখের সামনে খসে পড়ে
বেঁচে থাকার ক্ষীণতম ইচ্ছা গহিন সাগরে ডুব দেয়, বাঁচার তরে হাত-পা ছুড়ি
চারদিকের অবিচার, অনাচার, লুণ্ঠন, ঘুষখোর, চাঁদাবাজদের তাণ্ডবের খেসারত
এই পাঁঠার বলি এই আমি, আমরা আর বাঁচতে চাই না ডোবা হতে।