Thikana News
০৬ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪
ইভিএম-ব্যবস্থা আর থাকছে না

উপজেলা ভোট জমে উঠছে

উপজেলা ভোট জমে উঠছে
সংসদ নির্বাচনের দুই মাসের মাথায় উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। গ্রাম-গঞ্জে বইছে নির্বাচনের আমেজ। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে হাটবাজার, রাস্তাঘাট। প্রস্তুত রয়েছেন প্রার্থীরা। এবার দেশের ৪৮১ উপজেলা নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবে ইসি। কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলে এদিনই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
এর আগে চার ধাপে ভোটের সময় জানালেও তফসিল দেয়নি সংস্থাটি। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আইন-বিধি সংশোধনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি। তফসিল ঘোষণার আগেই আইন-বিধি সংশোধনের কাজ শেষ করতে চায় ইসি। কেউ বলছেন, আইন-বিধির সংশোধন প্রক্রিয়া শেষ না করে তফসিল ঘোষণা করলেও নতুন আইন-বিধি প্রয়োগ করা সম্ভব হবে না। তাই তফসিল ঘোষণার জন্য বৈঠক ডেকে তা স্থগিত করেছে কমিশন।
এদিকে অচল ১ লাখ ১০ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মধ্যে ৬০ হাজারটি পুরোপুরি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এগুলো স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি করা হবে। অবশিষ্ট ৫০ হাজার ইভিএম মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে দেওয়া হবে মেরামত করে ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইভিএমগুলো কেনা হয়। অকেজো হয়ে পড়া ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম কিনতে খরচ হয় আড়াই হাজার কোটি টাকা। মাত্র আট বছর আগে কেনা এই ইভিএমগুলো বিনষ্ট হয়ে গেছে শুধু দেখাশোনা ও যত্নের অভাবে। অযত্ন-অবহেলায় ইভিএমগুলো ইসির গুদামে, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের গুদামে ও ঘরে ফেলে রাখায় নষ্ট হয়ে যায়। স্যাঁতসেঁতে স্থানে, বাতাস চলাচল করে না এমন স্থানে ইভিএম রাখা যায় না। এসি, সারাক্ষণ বৈদ্যুতিক ফ্যান চালানো যায় এমন স্থানেই সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন যেসব স্থানে ইভিএমগুলো রাখে, তা উপযোগী নয় বলেই বিনষ্ট হয়েছে। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ইভিএমগুলো পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ইভিএমগুলোর মধ্যে ৬০ হাজারটি একেবারে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ার কথা জানিয়েছেন। ৫০ হাজার ইভিএম পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে সেনাবাহিনী পরিচালিত মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি দিয়ে চালু করার চেষ্টা করার সুপারিশ করেছেন।
জানা যায়, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির বিশেষজ্ঞরা বেশ কয়েকটি মেশিন নিয়ে সরেজমিনে পরীক্ষা করেছেন। তারা ২০০ ইভিএমের মধ্যে সাতটি সচল করার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। এ জন্য বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে হবে। ৫০ হাজার ইভিএমের মধ্যে ৩০-৩২ হাজার মেরামত করে পুনরায় চালু করা যেতে পারে। তবে এ জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয় বাবদ লাগবে ৬০ কোটি টাকা এবং মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিকে দিতে হবে ২৫ কোটি টাকা। মেরামত করার পর ইভিএমগুলো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে রাখতে হবে। অথবা সারাক্ষণ ফ্যান চালিয়ে, বাতাস অবাধে আসা-যাওয়া করতে পারে এমন স্থানে রাখতে হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে। তার পরও এই ইভিএমগুলো ছয় থেকে সাত বছরের বেশি সচল রাখা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তারা কী করবে। নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান সাপ্তাহিক ঠিকানাকে বলেন, কমিশন ইভিএমগুলো বিনষ্ট করতে চাচ্ছে না। যতগুলো সম্ভব চালু করে ব্যবহারের উপযোগী করার পক্ষে কমিশন। নতুন করে কিনতে গেলে প্রচুর অর্থ ব্যয় হবে। ২০১৮ সালে একটি ইভিএম কিনতে ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সেই মেশিনই এখন কিনতে ব্যয় হবে চার লাখ টাকা। গত সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন ইভিএম কেনার জন্য নয় হাজার কোটি টাকা চেয়েছিল। সরকার সে অর্থ দেয়নি বলে আর কোনো ইভিএম কেনা হয়নি। এদিকে যে ৬০ হাজার ইভিএম পুরোপুরি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, সেগুলো স্ক্র্যাপ করে লোহালক্কড় হিসেবে কেজি দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এগুলো গুদামে রাখা, বিভিন্ন স্কুলে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। অহেতুক গুদাম ভাড়া দেওয়ার পক্ষে নয় তারা।
 

কমেন্ট বক্স