Thikana News
০৬ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪

জাপায় আগ্রহ নেই  কূটনীতিকদেরও

জাপায় আগ্রহ নেই  কূটনীতিকদেরও
গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৬ আসনে সমঝোতা, রওশনপন্থী নেতাদের মনোনয়ন না দেওয়া এবং দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নির্বাচনের পর থেকেই প্রকাশ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে জাতীয় পার্টি (জাপা)। রওশনপন্থীদের সম্মেলন ঘোষণার পর    
চলে অব্যাহতি-পাল্টা অব্যাহতি। ৯ মার্চ সম্মেলনের পর চূড়ান্ত হয়েছে বিভক্তি। জাপার উভয় অংশের নেতারাই বলছেন, তাদের লক্ষ্য সারা দেশে দলকে সুসংগঠিত করা। এক বছরের মধ্যেই দলকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে চান তারা।
রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জাতীয় পার্টির উভয় অংশের পেছনেই সরকারের ইন্ধন রয়েছে। নেতৃত্ব সুবিধাবাদী হওয়ায় নির্বাচনের আগে সরকারের দরকার ছিল জি এম কাদেরকে, তখন তাকে কাজে লাগিয়েছে। এখন জি এম কাদেরকে চাপে রাখার জন্য রওশন এরশাদকে দিয়ে একাংশ বানিয়েছে। যে কারণে জাপার জনভিত্তি দিন দিন দুর্বল হচ্ছে।
শুধু দেশের রাজনৈতিক দল এবং জনমানুষের গুরুত্বই হারাচ্ছে না জাপা, দলটির প্রতি আগ্রহ নেই বিদেশি কূটনীতিকদেরও। এর বড় প্রমাণ ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও বিভিন্ন রাজনীতিবিদের সম্মানে আয়োজিত জাতীয় পার্টির (জাপা-কাদের) ইফতার পার্টি। এতে উপস্থিত হননি দেশের উল্লেখযোগ্য কোনো রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিক। বিদেশি কূটনীতিকদের দাওয়াত দেওয়া হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার উপস্থিত হননি। গত ১৫ মার্চ শুক্রবার ঢাকার বনানীর শেরাটন হোটেলে জাপার (কাদের) ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, গত বছর রাজনৈতিক নেতা এবং কূটনীতিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যে উপস্থিতি ঘটেছিল, তার সিকি ভাগও এবার জাপার ইফতার পার্টিতে সাড়া দেননি।
দলটির দপ্তর সূত্র জানায়, এই ইফতার পার্টিতে শরিক হওয়ার জন্য রমজানের আগে থেকেই দাওয়াতপত্র বিলি শুরু করে জাপা। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, চীনসহ সকল দূতাবাসে জাপার দাওয়াতপত্র পাঠানো হয়। পাশাপাশি শতাধিক রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও সিনিয়র কূটনীতিককে ব্যক্তিগতভাবে দাওয়াত করা হয়। কিন্তু তাদের কেউ উপস্থিত হননি। তবে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ ও কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত এবং রুশ-তুর্কিসহ কয়েকটি দেশের দূতাবাসের কয়েকজন নিচের সারির কর্মকর্তা ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সুশীল সমাজের অসংখ্য ব্যক্তিবর্গকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান এবং ড. আসিফ নজরুল ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি। এমনকি জাতীয় পার্টি (জি এম কাদের) অংশের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বেশির ভাগই ইফতার মাহফিলে অনুপস্থিত ছিলেন।  
 

কমেন্ট বক্স