আবারও জটিল সমীকরণে জাতীয় পার্টি (জাপা)। রওশন এরশাদের স্বঘোষিত পদবি থেকে শুরু করে সম্মেলন। তবুও স্বস্তিতে নেই রওশনপন্থিরা। নতুন কমিটি ঘোষণার পর ঘটেছে পদত্যাগ কাণ্ডও। এরইমধ্যে অনেক নেতাই চলছেন দুই নৌকায় পা দিয়ে। রওশন এরশাদের পক্ষে নাম লেখালেও পদে নাম আছে জিএম কাদেরের পক্ষেও। আর এ নিয়ে অস্বস্তিতে জিএম কাদেরপন্থিরাও।
রাজনীতির মঞ্চে জাতীয় পার্টি যেন ছোটগল্প। শুরু আছে তো নাটকের শেষ যেন নেই। যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে প্রেক্ষাপট, যেন শেষ হয়েও হয় না শেষ।
প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই নিশ্চিতভাবেই অনিশ্চিত এই দলের ভাঙনের গল্প ক্ষণে ক্ষণে নেয় নতুন মোড়। ক্ষণিকেই বদলে যায় সব হিসাব-নিকাশ। নিজেদের গৃহদ্বন্দ্বেই অস্থির দলটি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেবর-ভাবির লড়াইয়ে যেন আরও অস্থির এরশাদের দল। দলের নিবন্ধিত চেয়ারম্যান জিএম কাদের নাকি স্বঘোষিত চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ- কার তীরে তরি ভেড়াবেন এই নিয়েই সংশয়ে নেতারা।
এরইমধ্যে অনেক নেতাই চলছেন দুই নৌকায় পা দিয়ে। রওশন এরশাদের পক্ষে নাম লেখালেও পদে নাম রয়েছে কাদেরের পক্ষেও। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শীর্ষ নেতাদের বহিষ্কার করলেও একই অপরাধে পদ হারাননি তারা। তাদের মন্তব্য, বহিষ্কার করতে করতে নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার ভয়েই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না চেয়ারম্যান-মহাসচিব।
যদিও কাদেরের পক্ষের যুক্তি, অন্য দলের পদ-পদবি ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গেই গঠনতন্ত্র মোতাবেক দলীয় পদ হারিয়েছেন তারা।
বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব রেজাউল করিম ভুঁইয়া সময় সংবাদকে বলেন, অন্য দলের পদ-পদবি ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্টরা এখানে নেই বলেই গণ্য।
জাপার যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহবুব আলম বলেন, অনেকে ভুল করে গেছেন। অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে গেছেন। তাদের ব্যাপারে কী করা যায়, তা মহাসচিব সিদ্ধান্ত নেবেন। ঢালাওভাবে সব কিছু করা সম্ভব না।
ঠিকানা/ছালিক