শাহীন কামালী ও মইনুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের ‘জালালাবাদ ভবন’ ব্যক্তি মালিকানায় থাকছে না। ভবনটি শিগগির ট্রাস্টের হাতে যাচ্ছে। ৪ মার্চ সোমবার রাতে জালালাবাদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংগঠনের সাধারণ সভায় সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি শাহীন কামালীর সভাপতিত্বে এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক আতাউল গণি আসাদের যৌথ সঞ্চালনায় সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধনীসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়। এরমধ্যে রয়েছে- কার্যকরী পরিষদ ১৯ থেকে ২৫ করা এবং আগামী আগস্টে নির্বাচন সম্পন্ন করা।
এখানে উল্লেখ্য, আগে কার্যকরী পরিষদ ২৫ সদস্যের ছিল। জন ও জিল্লুর নেতৃত্বাধাধীন কমিটি তা কমিয়ে ১৯ সদস্য করেছিল। দীর্ঘদিন পর আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া হলো। সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম। এছাড়া সভায় আয়-ব্যয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করা হয়। পরে তা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
সভায় বিভিন্ন সংশোধনী ও প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট শেখ আকতারুল ইসলাম, ডা. জুন্নুন চৌধুরী, দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, ইয়ামিন চৌধুরী, ফজলুর রহমান, আব্দুল মালিক লায়েক, শাহ মিজানুর রহমান, আব্দুল করিম, বেলাল চৌধুরী, এবাদ চৌধুরী, হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী, এনায়েত হোসেন জালাল, রুমানা আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে ২০২৪ সালের সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, সংশোধন ও সংযোজন সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩ ও ৬, ধারা ২, ৩, ৪ ও ৫ (খ) ও (ঘ), ধারা ৯, অনুচ্ছেদ ৯ (ঘ), অনুচ্ছেদ ১৬ (১) ও (২)। এসব অনুচ্ছেদ, ধারা ও উপধারাসমূহের সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন উপকমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের সাবেক সভাপতি এম এ কাইয়ুম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলিম উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল মুকিত চৌধুরী, দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী. ডা. জুন্নুন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, আতাউল গণি আসাদ ও শাহাব উদ্দিনকে উপকমিটির সদস্য করা হয়।
সহ-সাধারণ সম্পাদক আতাউল গণি আসাদ জানান, সাধারণ সভায় জালালাবাদ ভবন ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মভাবে গৃহীত হয়েছে। এজন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে জালালাবাদ ভবন ট্রাস্টের সদস্য হওয়া যাবে। সদস্য ফি এককালীন সিলভার ৫ হাজার ডলার, প্লাটিনাম ১০ হাজার ডলার এবং গোল্ড ১৫ হাজার ডলার। যেহেতু ভবনের মর্গেজ দায়ভার মইনুল ইসলামের। মর্গেচ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত মইনুল ইসলাম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান থাকবেন। মর্গেজ শেষ হওয়ার পর সদস্যদের ভোটে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া ভবন বিক্রি অথবা যে কেনো পদক্ষেপ ৯৭ ভাগ ট্রাস্টি সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে পাস করে সাধারণ সভায় উপস্থিত ৬৯ ভাগ সদস্যের মাধ্যমে জালালাবাদবাসীর মতামতে কার্যকর হবে।
সভায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ইমাম কাজী কায়্যুম।



ঠিকানা রিপোর্ট


