Thikana News
০৪ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪
স্ক্যামারদের টার্গেট এবার ট্যাক্স রিটার্ন  * ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থে হানা

হাজারো প্রবাসীর মাথায় হাত

অপরিচিত ফোনকল রিসিভে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ 
হাজারো প্রবাসীর মাথায় হাত
খুব সকালে একটি ফোনকলে ঘুম ভাঙে শাহাদাত ইমনের। হ্যলো বলার পর অপর প্রান্ত থেকে জানতে চাওয়া হয় এটা জিসানের নম্বর কীনা। রং নম্বর বলে কল কেটে দেন ইমন। পরদিন সকালে একইভাবে ফোনকল রিসিভ করেন করেন তিনি। দিনের বেলায় আরো দুইবার একই ফোন নম্বর থেকে কল রিসিভ করেন ইমন। এভাবে এক সপ্তাহে তিনটি নম্বর থেকে ১৩ বার ফোন পান তিনি। সাত দিনের মাথায় ইমনের সিমটি অকার্যকর হয়ে যায়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তার ব্যাংক থেকে ২ হাজার ৭০০ ডলার নাই হয়ে যায়। 
আরেকটি ঘটনা- মাহবুবুর রহমান একটি প্রাইভেট জব করেন। অফিসের প্রয়োজনে প্রিন্টারের কালি অর্ডার করেছিলেন অ্যামাজন ডটকমে। যেদিন অর্ডার দিলেন পরদিন তার ইমেইলে একটি ইমেইল আসে যে অ্যামাজনের অর্ডারটি কমপ্লিট হয়নি। ইমেইলে একটি ফোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়। নিজের সক্ষমতার অভাবে হোক, আর ভুল করেই হোক, ওই নম্বরে কল করে ফেঁসে যান মাহবুব। হ্যাকড হয়ে যায় তার ইমেইলটি। পরদিন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট লগইন করে দেখতে পান, তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৯৫০ ডলার উধাও। অভিযোগ দেওয়ার পর ডলার ফেরত পেয়েছেন। কিন্তু এ ঘটনার তদন্ত চলছে।  
আরো একটি ঘটনা- সিরাজুল ইসলাম পেশায় ক্যাবি। চেজ ব্যাংকে তার একটি চেকিং ও বিজনেস অ্যাকাউন্ট আছে। হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে নোটিফিকেশন পান যে তার বিজনেস অ্যাকাউন্টে ৫০ ডলারের একটি লেনদেন হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়। তিনি তো সেখানে যাননি। আর কোনো অর্থ বেহাত হয়েছে কীনা সন্দেহ হলে তিনি চোখ রাখেন আগের ট্রানজেকশনগুলোতে। একার তিনি লক্ষ্য করেন বেশ কয়েকবার তার অ্যাকাউন্ট থেকে ছোট ছোট অ্যামাউন্টের অর্থ বেহাত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এ ঘটনা তিনি ব্যাংকে ফোন করে জানান। প্রতিটি বেহাত লেনদেনের অর্থ ফেরত পাওয়ার পেলেও ব্যাংক তার ডেবিট কার্ডটি চেঞ্জ করে দেয়। এরপর থেকে সতর্ক রয়েছেন সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে ছোট পরিমাণে অর্থ বেহাত হলে অনেকেই তা খেয়াল করেন না। এটাই স্ক্যামারদের এক ধরনের কৌশল। 
সর্বশেষ ঘটনা - আমিনুল ও রুহি দম্পতি ২৩ সালের ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেছেন। রিটার্ন পেয়েছেন প্রায় ৮ হাজার ডলার। এই অর্থ ব্যাংকেই রেখে দিয়েছেন- এ কারণে যে আগামী গ্রীষ্মে সন্তানদের নিয়ে বাংলাদেশে বেড়াতে যাবেন। কিন্তু ওই অর্থে কুনজর পড়েছে স্ক্যামারদের। প্রতিদিন নানান অফার নিয়ে অসংখ্য ফোন আসছে। সতর্কতা অবলম্বন করে ব্যাংক থেকে রিটার্নের অর্থ তুলে নিজের কাছে রেখেছেন। আমিনুল জানান, ব্যাংকে হাজার ডলারের বেশী অর্থ জমা থাকলেই স্ক্যামারদের উৎপাত বেড়ে যায়। এটা বার বার প্রমাণিত। কিন্তু এই তথ্যগুলো স্ক্যামারদের কাছে যায় কীভাবে? কারা দেয় এসব তথ্য? 
আসলে স্ক্যামাররা খুবই বিচক্ষণ ও মেধাসম্পন্ন। তারা বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য কেনাবেচা করে। ফোনের দোকান, মেডিকেল অফিস এবং বিভিন্ন থার্ড পার্টির কাছ থেকে একজন নাগরিকের তথ্য পাচার হচ্ছে। অনেক সময় তথ্য বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। টি-মোবাইলের মত জায়ান্ট কোম্পানি গ্রাহকের তথ্যের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। এ পর্যন্ত ছয়বার তাদের তথ্যভাণ্ডারে হানা দিয়ে তছনছ করেছে হ্যাকাররা। এসব তথ্য জানান সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করা একজন পুলিশ কর্মকর্তা। 
এই প্রতিবেদনের প্রথম ঘটনাটি শাহাদাত ইমনের। তার সিম তুলে নিয়েছিল স্ক্যামাররা। এরপর ব্যাংকের অ্যাকাউন্ডে স্ক্যামাররা দখল নিয়ে তার গচ্ছিত ডলার তুলে নেয়। কীভাবে তুললো সিম? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে কোনো প্রিপেইড মোবাইল ফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। কথা বলার তিনটি নম্বর বলতে পারলেই সিম রিপ্লেস করে দেয় কোম্পানিগুলো। এর বাইরে তাদের আর কোনো নিরাপত্তা প্রশ্ন থাকে না। প্রবাসী ইমনের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। তিনটি নম্বর থেকে ১৩ বার কল রিসিভ করা মানে তিনটি নম্বরে তিনি কথা বলেছেন। ব্যস, সহজেই তার সিম নিয়ে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ডে ঢুকে পড়ে স্ক্যামাররা। 
মোবাইল ফোনের মতই ইমেইলের তথ্য চুরি হচ্ছে। কীভাবে ইমেইলের তথ্য চুরি হচ্ছে? জানা গেছে, অনেকেরই একাধিক ইমেইল অ্যাড্রেস আছে। কিন্তু সর্বোচ্চ ব্যবহার হয় যে কোনো একটি ইমেইল। কিন্তু স্ক্যামাররা টার্গেট করে ব্যক্তির পুরনো ইমেইল। পুরনো ইমেইলে অপেক্ষাকৃত কম নিরাপত্তা বুহ্য থাকে। এছাড়া পুরনো ইমেইলে থাকে ব্যক্তির জন্ম তারিখসহ অনেক গোপনীয় বিষয়। তাই পুরনো ইমেইল থেকে প্রাথমিক তথ্য নিয়ে এগিয়ে যায় স্ক্যামাররা। ব্যাটেবলে মিলে গেলে ঝাঁপিয়ে পড়ে সর্বস্বান্ত করতে। 
এদিকে প্রতিবছর ট্যাক্স রিটার্ন মওসুম শুরু হলে স্ক্যামারদের তৎপরতা বেড়ে যায়। তারা নাগরিকের ট্যাক্স রিটার্নের অর্থ হাতিয়ে নিতে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে। এমনকী আইআরএস-এর অ্যাকাউন্ড হ্যাকড করে রিটার্নের জন্য যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেওয়া হয় তার পরিবর্তন করে দেয় স্ক্যামাররা। এভাবে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে স্ক্যামাররা। 
ট্যাক্স রিটার্ন মওসুমে স্ক্যামাররা ট্যাক্স ফাইলিংয়ের পর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য চুরি করার জন্য নানাভাবে ওঁত পেতে থাকে। ফলে ট্যাক্স ফাইলিংয়ের পর ফোনে এ সংক্রান্ত যোগাযোগ না করার পরামর্শ দিচ্ছেন ট্যাক্স ফাইল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বলছেন, আইআরএস-এর কথা বলে স্ক্যামাররা লোকজনকে ভয়ভীতি দেখায়। কিন্তু আইআরএস কখনো ফোনে যোগাযোগ করে না।
আমেরিকার মত উন্নত বিশ্বের সব নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্ক্যামাররা বহু প্রবাসীকে সর্বস্বান্ত করেছে।  তাদের ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তছনছ করছে। অভিযোগ করে মাসের পর মাস পার হলেও প্রতীকার মিলছে না। উদ্ধার হচ্ছে না অর্থ। বিভিন্ন সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। 
স্ক্যামাররা এতটাই ভয়ঙ্কর যে- তাদের খোঁজ পেলেও টিকিটিও ধরা যাচ্ছে না। প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্ক্যামাররা যুক্তরাষ্ট্রে জাল ফেলেছে। আর সেই জালে আটকা পড়ছে নিরীহ মানুষেরা। 
নিউইয়র্ক পুলিশের একটি সূত্র জানায়, স্ক্যামাররা দীর্ঘ সময় কোনো ব্যক্তিকে নজরে রাখে। নানান মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যক্তির ব্যবহৃত মোবাইল, ব্যাংক হিসাব ও ক্রেডিট কার্ডের প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর সাইবার আক্রমণ চালায়। স্ক্যামাররা প্রথমে মোবাইল ফোনের সিম তুলে নেয়। হ্যাক করে ইমেইল। এরপর একে একে ব্যাংক, শেয়ারবাজার ও ক্রেডিট কার্ডের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সরিয়ে নেয় অর্থ। এ পর্যন্ত যত অভিযোগ এসেছে, বেশিরভাগ ঘটনায় প্রথমে মোবাইল হ্যাক হয়েছে। অধিকাংশ মোবাইল ছিল প্রিপেইড অপারেটরের। সামান্য কিছু তথ্য দিয়ে সহজে সিমকার্ড পরিবর্তন করা যায় এসব অপারেটরের সিমকার্ড। এরপর স্ক্যামাররা ইমেইলের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে সাইবার লুটপাট শুরু করে। সবচেয়ে আতঙ্ক ও লজ্জার বিষয় হলো- এসব স্ক্যামে উঠে এসেছে বাংলাদেশিদের নাম। এর আগে ঠিকানা পত্রিকায় ‘স্ক্যামে জড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশিরা’ শিরোনামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশিদের স্ক্যামে জড়িয়ে পড়ার কিছু ভয়াবহ চিত্র উঠে আসে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সোসাইটির অর্থ আত্মসাতের চেষ্টায় মামুন আবু নামে এক বাংলাদেশির নাম উঠে এসেছে। তার বাসা কুইন্সের জ্যামাইকায়। পুলিশ তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে। মামুন আবু একজন পেশাদার স্ক্যামার। আগে স্ক্যামে পাকিস্তানিরা জড়িত ছিল বলে শোনা যেত। আর এখন আসছে বাংলাদেশিদের নাম। 
স্ক্যামের শিকার ভূক্তভোগী একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, স্ক্যামাররা অত্যন্ত সংঘবদ্ধ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো- এসব স্ক্যামের সঙ্গে অনেক বাংলাদেশির নাম এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ সংক্রান্ত কিছু প্রমাণও পেয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারা বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে স্ক্যামাররা। স্ক্যামে জড়িতদের মধ্যে ফিলিপিনো ও ভারতীয়দের নাম সবার আগে উঠে আসছে। এরপর রয়েছে পাকিস্তানিদের নাম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, দ্রুত ধনী হতে স্ক্যামিংয়ের সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশিদের নামও আসছে। এসব বাংলাদেশিরা নানাভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহ করে তা সরবরাহ করছে পেশাদার স্ক্যামারদের হাতে।
মটর ভেহিকেল অফিস, মোবাইল ফোন অপারেটর, গাড়ির ইন্স্যুরেন্স, ফুয়েল পাম্প, শপিং মল, সুপার মার্কেট ও অনলাইন শপিংসহ নানা মাধ্যমে গ্রাহকের তথ্য চুরি হচ্ছে। পরে এসব গ্রাহকের ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড থেকে অর্থ চুরি করছে। এতদিন এই অর্থ চুরিতে বিভিন্ন দেশের দুষ্টুচক্র জড়িত থাকলেও ইদানিং বাংলাদেশিদের নাম আসতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তদন্তে বেশকিছু বাংলাদেশির নাম এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি) টেলিফোন স্ক্যামের বেশকিছু ঘটনা তদন্ত করছে।
এদিকে মটর ভেহ্যিকেল বিভাগ নিউইয়র্ক স্টেট আইডি নিয়ে ‘স্ক্যাম এলার্ট’ জারি করলেও প্রতিকার পাচ্ছেন না। হ্যাকাররা ফোন কল, টেক্সট, ই-মেইল এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক বা টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রতারণা করেই চলেছে।
ডিএমভি সতর্ক বার্তায় বলেছে, স্টেট ড্রাইভার লাইসেন্স বা স্টেট আইডি’র ওপর ভর করেছে স্ক্যামাররা। যদি কেউ ডিএমভি’র নামে টেক্সট পেয়ে থাকেন তাতে রেসপন্স করবেন না। বিভিন্ন মাধ্যমে মেসেজ পেলেও ইগনোর করুন বা ট্রাসবক্সে ঢুকিয়ে দিন। কোনভাবেই ওপেন করবেন না।
নিউইয়র্ক স্টেট বলেছে, স্ক্যামাররা ডিএমভি’র নামে ফোন কল, টেক্সট, ই-মেইল ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে বলছে, ‘আপনার রিয়েল আইডি রেডি তো?’ দ্রুত তা দেবার জন্য চাইছে ব্যক্তিগত তথ্য। অথচ ডিএমভি এই ধরনের কোন যোগাযোগ নিউইয়র্কারদের সাথে করছে না। চাইছে না কোন তথ্য। রিয়েল আইডি’র ব্যাপারে সরাসরি স্থানীয় ডিএমভি অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
প্রতি বছর লাখ লাখ অনলাইন অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয় কেবলমাত্র স্ক্যামিংয়ের শিকার হয়ে! অনলাইন স্ক্যাম, ইন্টারনেটে প্রতারণা হতে পারে বিভিন্নভাবে- লটারি, অনলাইনে আয় করার উপায়, ভুয়া চাকরি, ডেটিং পার্টনার কিংবা ই-কমার্স ডিসকাউন্ট ইত্যাদি বিজ্ঞাপন থেকে। করোনাভাইরাসের কারণে অনলাইনে স্ক্যামিং আরো বেড়েছে। এই অবস্থায় নিরাপদ থাকার উপায় জানালো সার্চ ইঞ্জিন গুগল।
এদিকে ঘরে বসে টাকা আয়ের লোভ দেখিয়ে অনেকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে হ্যাকাররা। তারা ফাঁদ পাততে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনও দিচ্ছে। তারা বলছে যে আপনাকে কিছুই করতে হবে না শুধু ভিডিও দেখলেই চলবে, এই লিংকে ক্লিক করুন। যদি এই কাজটা করেন তবে আপনি ফেঁসে গেছেন। এ ধরনের স্ক্যামিংয়েও বাংলাদেশিদেরও নাম এসেছে বিভিন্ন সময়ে।

কমেন্ট বক্স