সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে তরুণদের বিদ্রোহী গোষ্ঠীতে যোগ দেয়া এবং দেশ ছেড়ে পালানো ঠেকাতে তৎপর মিয়ানমারের সেনারা। বিমান বন্দরে তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ ও ধর-পাকড় চালাচ্ছে তারা। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলায় কোনঠাসা মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী। রাখাইন, কাজিং মেগবে, সাগাইং এবং রাজধানীর নেপুডুতে জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে তুমুল লড়াই চলছে। সেখানকার সেনা ঘাঁটি ও পুলিশের তল্লাশি চৌকিগুলোকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালাচ্ছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন এলাকার লড়াইয়ে দেশটির অনেক সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইরাবতি।
সদস্য ঘাটতি ও পর্যাপ্ত রশদের অভাবে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জান্তা বাহিনীকে সহায়তা করতে পারছে না মিয়ানমারের নৌবাহিনী। দেশটির প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকদের বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগদানের আইন জারির পর তরুণদের দেশছাড়া ঠেকাতে বিভিন্ন এলাকায় ধর-পাকড় চালাচ্ছে তারা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে বিমানে করে ইয়াংগুন থেকে রাখাইন রাজ্যের চিত্তয়ে বিমানবন্দরে আসা অনেক তরুণদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে জান্তা বাহিনী। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ছেড়ে দিলেও এখনো অনেকে আটক রয়েছে।
মিয়ানমারের মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, ছাগাইং রাজ্যের মনোয়াও শহরের একটি থানায় অনেক মানুষ ধরে নারী শিশুসহ ৩৪৫ জন রাজনৈতিক বন্দিকে অবৈধভাবে আটকে রেখেছে জান্তা সরকার। সেসব বন্দিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। চাগাইংয়ে বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে রেখেছে জান্তা বাহিনী।
এদিকে সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে ইরাবতি জানিয়েছে, ২০২১ সালে মিঅংলাই মিয়ানমারে সেনা প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দেশটি সেনারা যেসব ব্যবসা থেকে লাভবান হতো একচেটিয়াভাবে এগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তার পরিবার। এসব ব্যবসার মধ্যে রয়েছে অসহায় সেনাদের জীবন বীমা, তাদের চিকিৎসা সেবা, সামরিক ভবন তৈরি ও মেরামত এমনকি মিয়ানমার সেনাদের জন্য সাজোয়া যান, ট্যাঙ্ক, গোলাবারুদ ও অস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানির মালিক মিংঅংলাইয়ের ছেলে অংপাইচুং।
ঠিকানা/এসআর