ঠিকানা অনলাইন 
ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রকে একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছে ইরান। গাজা উপত্যকাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যেই ইসরাইলি ঘাঁটিতে হামলা করার অভিনয়ের ভিডিও প্রকাশ করেছে দেশটি। ইরানের ইসলামিক রেভুলশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) ইসরাইলি বিমান ঘাঁটিতে ওই হামলার অভিনয়টি ছিল তার নৌশক্তির সক্ষমতার প্রদর্শনী।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, আইআরজিসি রণতরী এবং সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
এতে দেখা যায়, ইসরাইলের পালমাচিম বিমান ঘাঁটির দুটি স্থানে আইআরজিসি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করছে। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার অন্যতম কেন্দ্র হলো এই ঘাঁটিটি। এখানে ইসরাইলি যুদ্ধবিমানের কয়েকটি হ্যাঙ্গার রয়েছে। তাছাড়া গাজায় আহত সৈন্যদের চিকিৎসার জন্য প্রথমে এখানেই আনা হয়।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত মাসে এই বিমান ঘাঁটিতে এসেই ঘোষণা করেন যে তারা ইরানে হামলা চালাতে দ্বিধা করবেন না।
ফুটে দেখা যায়, ইমাদ ও কদর নামের দূরপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হচ্ছে। আর এগুলো প্রায় নিখুঁতভাবে টার্গেটে আঘাত হানছে। রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলা হয়, মধ্য ইসরাইলের পালমাচিম বিমান ঘাঁটি হলো 'ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনীর বৃহত্তম বিমান ঘাঁটি।'
আইআরজিসির কমান্ডার-ইন-চিফ হোসেইন সালামি বলেন, তার বাহিনী প্রথমবারের মতো রণতরী থেকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সফল হয়েছে।
তিনি বলেন, এই নতুন সাফল্য যেকোনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে আমাদের নৌবাহিনীর প্রভাব ও শক্তির আঘাত হানার সক্ষমতা বাড়ল। আমাদের জন্য নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করতে চায়, এমন যেকোনো শক্তির জন্য কোনো নিরাপদ স্থান থাকবে না।
ফুটেজে দেখা যায়, ইরানের মাল্টি-পারপাস রণতরী শহিদ মাহদাবি থেকে দুটি দূরপাল্লার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই রণতরীটি একইসাথে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং রাডার সিস্টেম বহন করতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পাল্লা ১,৭০০ কিলোমিটার। ওমান সাগর থেকে থেকে পরীক্ষামূলক নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মধ্য ইরানের মরুভূমির নির্দিষ্ট টার্গেটে আঘাত হানে।
আইআরজিসি একইসাথে স্পিড বোট, কাটামারান এবং সাবমেরিনের মহড়াও প্রদর্শন করে।
ফুটেজে একটি সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপ করা টর্পেডোকে একটি জাহাজকে আঘাত করতে দেখা যায়। সেইসাথে নতুন একটি আত্মঘাতী ড্রোনকেও উড়তে দেখা যায়।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে এই প্রদর্শনী দেখা গেল। উল্লেখ্য, ইয়েমেনের হাউছিদের লোহিত সাগরে হামলার পেছনে ইরানের ইন্ধন আছে বলে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে আসছে।
সূত্র : আল জাজিরা
ঠিকানা/ছালিক
