নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা আগামী ২৪ থেকে ২৭ মে অনুষ্ঠিত হবে। নিউইয়র্কের সবচেয়ে বড় আয়োজনের ৩৩তম এই আসরে বিশ্বের ৩০টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেবে। নিউইয়র্কের কুইন্সের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে আন্তর্জাতিক পরিসরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের বইমেলা। মেলায় ২ হাজারের ও বেশি নতুন বই থাকবে বলে জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান মুক্তধারা ফাউন্ডেশন।
গত ২৮ জানুয়ারি রোববার বিকালে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে এক মতবিনিময় সভায় আয়োজক কমিটি বইমেলা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে মেলা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানান মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন ও সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ, প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ফেরদৌস সাজেদীন, নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার সাবেক আহ্বায়ক সউদ চৌধুরী এবং গোলাম ফারুক ভূঁইয়া। কার্যনির্বাহী সদস্য রানো ফেরদৌস, ওবায়দুল্লাহ মামুন, সেমন্তী ওয়াহেদ এবং প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন।
মতবিনিময় সভায় মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন্নবী বলেন, ৩২ বছর আগে শুরু হওয়া বইমেলা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। গত বছর অজস্র দর্শকের অনুরোধে বইমেলার নতুন নাম করা হয়েছে নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বই মেলা। ঢাকা ও কলকাতার পর, বাংলা বইয়ের সবচেয়ে বড় এই মেলায় এবার বিশ্বের অন্তত ১০টি দেশ থেকে লেখক পাঠক এবং প্রকাশক অংশ নেবেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সিইও বিশ্বজিত সাহা বলেন, বাংলাদেশ, কলকাতাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অন্তত ৩০টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেবে। এই বই মেলায় প্রায় ২ হাজারেরও অধিক নতুন বই পাবেন পাঠকরা। মেলায় প্রতিবারের মতো এবারো থাকবে সেমিনার, কবিতা পাঠ, বই পরিচিতি, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।
৩৩তম নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার আহবায়ক হাসান ফেরদৌস অনুষ্ঠান সঞ্চালনার সময় বলেন, এবার মেলায় নতুন যুক্ত হবে উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে গানের আসর, প্রদর্শিত হবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, তারুণ্যের উৎসব নামে নতুন প্রজন্মের জন্য থাকবে পুরো একটি দিন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য মেলার পক্ষ থেকে দেয়া হবে জিএফবি-মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া প্রবাসী লেখকদের দেয়া হবে শহীদ কাদরী স্মৃতি পুরস্কার।