কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করা ছাড়াও ওজন কমাতে, দৃষ্টিশক্তি ও হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সহায়তা করে।
আকারে ছোট এই সবজির অনেক গুণ।
রক্তের শর্করা নিয়িন্ত্রণের পাশাপাশি হজমক্রিয়াও উন্নত করে।
হেল্থশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতীয় পুষ্টিবিদ অভনি কাউল বলেন, “খাবার তালিকায় ঢেঁড়স রাখা উপকারী। এই পুষ্টিকর সবজিতে ক্যালরির মাত্রা কম, উচ্চ আঁশ এবং অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে।”
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
ঢেঁড়স ডায়াবেটিস বান্ধব খাবার।
কাউল বলেন, “এতে থাকা উচ্চ আঁশ হজম ধীর করে এবং কার্বোহাইড্রেইট শোষণে সহায়তা করার মাধ্যমে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।”
খাবার মেনুতে ঢেঁড়স রাখা রক্তের শর্করার কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এতে ক্যালরির মাত্রা কম তবে আঁশের পরিমাণ বেশি যা পেট ভরা রেখে অপ্রয়োজনীয় খাবারের চাদিহা কমায়।
খাবার তালিকায় ঢেঁড়স রাখা পেট ভরা রেখে ওজন কমানোর যাত্রা সহজ করতে সহায়ত করে।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে
ঢেঁড়সে আছে আঁশ যা উন্নত হজম ক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
কাউল ব্যাখ্যা করে বলেন, “ঢেঁড়সের উচ্চ খাদ্যআঁশ পেট পরিষ্কার করতে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকার করে এবং হজম ক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে।
অন্ত্র সুস্থ রাখতে ও হজম ক্রিয়া উন্নত করতে খাবার তালিকায় ঢেঁড়স রাখা উপকারী।
সুস্থ হৃদপিণ্ড
খাবার তালিকায় ঢেঁড়স রাখা হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখাতে সাহায্য করে। পেক্টিন নামক এর দ্রবণীয় আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
অন্ত্রে কোলেস্টেরলের শোষণ কমিয়ে ঢেঁড়স হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে।
চোখের সুস্বাস্থ্য
“ঢেঁড়স ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন- লুটেইন ও ক্সিযান্থিন’য়ের ভালো উৎস যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে”, বলেন কাউল।
এই পুষ্টি উপাদানগুলোর অভাবে বয়সের কারণে হওয়া চোখের সমস্যা যেমন- ছানি সৃষ্টি করে।
এসআর