শীতকালে বাইরের আবহাওয়ার থেকে ঘরে অনুভূত হয় জমাট ঠান্ডা। আর ঘরের ঠান্ডা কমাতে কিছুটা বাড়তি পদক্ষেপের প্রয়োজন পড়ে। এই বিষয়ে বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও অন্টারপ্রেনরশিপ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইফফাত জাহান বলেন, “ঘর গরম রাখতে সবচেয়ে সহজ ও দ্রুততম উপায় হল ‘রুম হিটার’ ব্যবহার করা।”
বাজারে বর্তমানে বেশ কম দামেই হিটার পাওয়া যায়। তাই যে কেউ ঘর গরম রাখতে রুম হিটার ব্যবহার করতে পারেন।
হিটার ব্যবহারে কিছুটা বাড়তি খরচ হলেও তা শতভাগ আরাম দেয়। এছাড়াও কিছু উপায় অবলম্বন করা যায় যা ঘর গরম রাখতে ভূমিকা রাখে।
“শীতকালে ঘর গরম রাখতে আরেকটি সহজ ও কার্যকর উপায় হল ‘রাগস’ অথবা কার্পেট ব্যবহার। এতে মেঝের ঠান্ডা সরাসরি উপরে উঠতে পারে না। ফলে অপেক্ষাকৃত কম ঠান্ডা অনুভূত হয়”- বলেন তিনি।
বাসায় আলো প্রবেশের ব্যবস্থা করা জরুরি।
“শীতকালে সূর্যের আলো থাকে খুব কম সময়। তাই ঘরে আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করলে জমাট ঠান্ডা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়”- বলেন এই অধ্যাপক।
ঘর উষ্ণ রাখতে শীতকালে মোটা পর্দা ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।
দিনে আলো বাতাসের জন্য পর্দা খোলা থাকলেও সন্ধার সময় অবশ্যই সব দরজা ও জানালার পর্দা টেনে দিতে হবে। অন্যথায়, দরজা জানালার ফাঁকা অংশ দিয়ে বাতাস প্রবেশ করে ঘরকে ঠান্ডা করে ফেলবে।
এছাড়াও প্লাস্টিক র্যাপ দিয়ে বাতাস প্রবেশ করতে পারে এমন ফাঁকা স্থান যদি ঢেকে দেওয়া যায় তাহলেও ঘরে তুলনামূলক কম ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করে।
ইফফাত বলেন, “ঘরে কড়া আলোর বা ‘টাংস্টান’ বাতি জ্বললে বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয়। তবে এগুলো গরম আলো ছড়ায়। তাই প্রয়োজনে বাসার যে ঘর বেশি ঠান্ডা থাকে সেখানে এই ধরনের বাতি ব্যবহার করে ঠান্ডা কমানো যায়।”
রান্নার সময় চুলার তাপে রান্নাঘর অনেকটাই গরম হয়ে যায়। এক্ষেত্রে রান্নাঘরের দরজা খোলা রাখলে সেই তাপ অন্য ঘরকেও উষ্ণতা দেয়।
এছাড়া গোসলের জন্য গরম পানি ব্যবহার করা হয়। সেই পানি ব্যবহারের আগে বাথরুমে নিয়ে কিছুক্ষণ দরজা খোলা রেখে অপেক্ষা করা যেতে পারে। এতে উষ্ণ বাস্প ঘরে ছড়িয়ে পড়ে ঠান্ডাভাব কমিয়ে সাময়িকভাবে ঘর গরম হয়, বলে জানান তিনি।
শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়া যদি অসুস্থতা বা অস্বস্তির কারণ হয় তবে উপরের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে আরাম পাওয়া যেতে পারে। ছবি: পেক্সেলস ডটকম।
ঠিকানা/এসআর