মুশরাত শাহীন অনুভা 
ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি খায়রুল বাশার। কমিউনিটির বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি আইনি সহায়তা দিয়ে থাকেন।
অ্যাটর্নি খায়রুল বাশার ঠিকানাকে বলেন, আমি এখন থেকে ফুলটাইম আইন পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেছি এবং কাজ করছি। আমার অফিস জ্যাকসন হাইটসের ৭২৩২ ব্রডওয়েতে। উইন্ডিসের ওপর তিন তলায় স্যুট ৩০১-৩০২। অত্যন্ত ভালো যোগাযোগসম্পন্ন লোকেশন। আমার অফিস থেকে মানুষকে পূর্ণাঙ্গ সেবা দেওয়া হচ্ছে। আমি বলব, কেউ যদি তার ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ নিতে চান, তা নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে তারা আইনি কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলেও সহায়তা দেওয়া হবে। বিভিন্ন ধরনের আবেদন করার ক্ষেত্রে আমরা সব ধরনের আইনি সহায়তা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমার অফিসের নাম ইমিগ্রেশন ল’ অফিস, খায়রুল বাশার, ইএসকিউ, এমবিএ, অ্যাটর্নি অ্যাট ল’, ডুয়েল কোয়ালিফাইড এক্সিকিউটিভ ইমিগ্রেশন ফোকাস।
তিনি যেসব বিষয়ে আইনি সহায়তা দিয়ে থাকেন, এর মধ্যে রয়েছে পারিবারিক অভিবাসনÑস্বামী/স্ত্রী, শিশু, ভাইবোন, পিতামাতার জন্য আবেদন, আই-১৩০ পুনঃস্থাপন এবং বিশেষ জুভেনাইল ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস, নাগরিকত্ব ও বয়স সম্পর্কিত এবং অক্ষমতা ব্যতিক্রম পরীক্ষা মওকুফ, অগ্রহণযোগ্যতা মওকুফ আই-৬০১, আই-৬০১এ, আই-২১২, কনস্যুলার প্রসেসিং, এফ১, এম১ এবং জে১ ভিসা, আশ্রয়, নির্বাসন, ইউ-ভিসা এবং ভিএডব্লিউএ অ্যাপ্লিকেশন, করপোরেট ও ইনভেস্টমেন্ট ইমিগ্রেশন এল১, ই ভিসা, ইবি ভিসা, পিইআরএম, অসাধারণ গুণের অধিকারীসম্পন্ন ব্যক্তির জন্য গ্রিন কার্ড ইবি-১ এবং ইবি-২, এনআইডব্লিউ। আপিল ও মানদামুসের রিট, বর্ডার অ্যারেস্ট, আইস ডিটেনশন এবং বন্ড ছাড়াও বিমানবন্দর কাস্টমস ও সিজারস অব কারেন্সিীবাই সিবিপি। এ ছাড়া ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত যেকোনো আইনি সমস্যার জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ রয়েছে।
অ্যাটর্নি খায়রুল বাশার জানান, তার অফিস সপ্তাহে কেবল রোববার ছাড়া প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকে। নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের অফিস ছাড়াও ওয়াশিংটন ডিসিতেও তার একটি অফিস রয়েছে।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন অ্যাটর্নি ছাড়াও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বারের একজন আইনজীবী। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসএস পাস করেন এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এই ডিগ্রি অর্জন করার পর আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম বারের সদস্য হন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর বারুক কলেজে, পেস ইউনিভার্সিটিতে এবং সর্বশেষ টরো কলেজে লেখাপড়া করেন। এখানে প্রথমে তিনি বিবিএ, এরপর এমবিএ এবং পরে এলএলএম সম্পন্ন করেন। প্রথমে তিনি আলাবামা স্টেট বারের সদস্য হন। পরে ওয়াশিংটন ডিসি বারের সদস্য হন। তিনি ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত বিষয়ে আমেরিকার ৫০টি স্টেটেই মামলা পরিচালনা করতে পারেন।
অ্যাটর্নি খায়রুল বাশার আরও বলেন, আমি এখন যেহেতু ফুলটাইম ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করছি, তাই আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে সেবা দিতে পারব ও আইনি সহায়তা দিতে পারব। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদেরকে ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত বিষয়ে আবেদন করাসহ বিভিন্ন ধাপে আইনি সহায়তা দিতে পারব।
