গত ২৭ অক্টোবর ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এরপরে ২৯ ডিসেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডিজনি প্লাস হটস্টারে মুক্তি দেয়া হয়। অল্প বাজেটের এই সিনেমাটি মুক্তির পরে তেমন আলোচনায় না আসলেও এর কিছু দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়। এর পরেই সিনেপ্রেমীদের শুরু হয় ‘টুয়েলভথ ফেল’ বন্দনা। জীবনের গল্পটি নাড়া দেয় সিনেপ্রেমীদের।
‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিক্রান্ত ম্যাসি। বিধু বিনোদ চোপড়া পরিচালিত ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমাটির ইন্টারন্যাশনাল মুভি ডাটাবেজে (আইএমডিবি) রেটিং ১০-এর মধ্যে ৯ দশমিক ২। এছাড়া আইএমডিবির ভারতীয় সিনেমার শীর্ষ ২৫০ ফিল্মের মধ্যে এক নম্বর স্থান পেয়েছে।
২০২৩ সালের সর্বোচ্চ রেটিংয়ের সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘টুয়েলভথ ফেল’ আছে সবার উপরে। এর পরেই ৮ দশমিক ৬ রেটিং সহ এ তালিকায় আছে 'স্পাইডার-ম্যান: অ্যাক্রোস দ্য স্পাইডার-ভার্স'। অন্যান্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে 'ওপেনহেইমার' (৮ দশমিক ৪), 'গডজিলা মাইনাস ওয়ান' (৮ দশমিক ৪) এবং কন্নড় ছবি কাইভা (৮ দশমিক ২) রেটিং নিয়ে শীর্ষ ৫ এ অবস্থান করেছ।এছাড়া ‘টুয়েলভথ ফেল’ লেটারবক্সডি তে ২০২৩ সালের পর্যালোচনার সর্বোচ্চ রেটিংয়ের তালিকার শীর্ষ ১০ এ জায়গা করে নিয়েছে।
এর আগে সিনেমাটি ম্যাকাও এশিয়া-ইউরোপ ইয়ং ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সমাপনী চলচ্চিত্র হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমাটি অদম্য ইচ্ছাশক্তির উদাহরণ। মানুষ চাইলেই যেকোনো বাঁধা অতিক্রম করতে পারে। আর এ কারণে সিনেমাটি ভারত ও বাংলাদেশে তরুণদের কাছে কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের অস্কারের জন্য ‘টুয়েলভথ ফেল’ সিনেমাটি জমা দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে ঘোষণার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিক্রান্ত ম্যাসি।
ঠিকানা/এসআর