Thikana News
১৮ অক্টোবর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪


 

চলে গেলেন ব্রাজিল কিংবদন্তি মারিও জাগালো

চলে গেলেন ব্রাজিল কিংবদন্তি মারিও জাগালো ছবি সংগৃহীত


খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতার কীর্তি মারিও জাগালোর। ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক জাগালো শনিবার (৬ জানুয়ারি) ৯২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। জাগালোর অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের পোস্টে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

১৯৩৮ ও ১৯৫০- টানা দুই বিশ্বকাপে হৃদয় ভাঙে ব্রাজিল। সে দুঃখ ব্রাজিল ১২ বছরে তিনটি শিরোপা জিতে ভুলেছে। যার শুরু ১৯৫৮ সালে।

সেবার সেলেসাওদের লেফট উইংয়ের ভরসা ছিলেন ‘বুড়ো নেকড়ে’ খ্যাত জাগালো। পরের বিশ্বকাপেও শিরোপা ধরে রাখে ব্রাজিল। খেলোয়াড় হিসেবে দুবার বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ পাওয়া জাগালো এরপর কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ব্রাজিল ফুটবলে।

১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের ডাগ আউটে দেখা যায় জাগালোকে। তার অধীনে ১৯৭০ সালে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতে জুলে রিমে ট্রফিটা নিজেদের দখলে নেয় লাতিন আমেরিকার দেশটি।

ব্রাজিলের সঙ্গে জাগালোর অধ্যায়টা এখানেই শেষ নয়। বিশ্বকাপে সেলেসাওরা চতুর্থ শিরোপার স্বাদ পায় ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে। সেবার ব্রাজিলের ডাগ আউটে ছিলেন কালোর্স আলবার্তো পেরেইরা। তার সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেন জাগালো। ১৯৯৪ সালে আবারও প্রধান কোচের দায়িত্ব পান জাগালো। এ দফায় ১৯৯৭ কোপা আমেরিকার শিরোপা এনে দেন ব্রাজিলকে।

ব্রাজিলের প্রথম চারটি বিশ্বকাপের সঙ্গে নাম জড়িয়ে থাকা জাগালো কিছুটা কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, ১৩ সংখ্যাটি তার সৌভাগ্যের প্রতীক। তিনি ১৩ অক্ষরের বাক্যাংশ তৈরি করতে পছন্দ করতেন। মাসের ১৩ তারিখে বিয়ে করেছেন। একবার রসিকতার ছলে বলেছিলেন, ২০১৩ সালের ১৩ জুলাই ১৩টায় (দুপুর ১টা) তিনি ফুটবলকে চিরতরে বিদায় বলবেন। 

১৯৩১ সালের ৯ আগস্ট ব্রাজিলের উত্তর-পূর্ব উপকূলের ম্যাসিওতে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জাগালো। তার বয়স এক বছর হওয়ার আগেই পরিবার রিও ডি জেনিরোতে চলে যায়। সেখানেই বেড়ে ওঠেন জাগালো।

প্রথম জীবনে স্বপ্ন দেখেছিলেন, বড় হয়ে পাইলট হবেন। কিন্তু দৃষ্টিশক্তি কম থাকায় সে সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে হিসাববিজ্ঞানে পড়াশোনা শুরু করেন জাগালো। পড়ার ফাঁকে সময় পেলে ফুটবল নিয়ে নেমে যেতেন মাঠে। ফুটবলের প্রতি ভালোবাসার সূত্রপাতও সেখান থেকেই। এর পরের অধ্যায়টা তো ইতিহাস।

ফুটবল মাঠের মতো দাম্পত্য জীবনেও সফল ছিলেন জাগালো। ১৯৫৫ সালে আলসিনা ডি কাস্ত্রোর সঙ্গে প্রণয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন জাগালো। ২০১২ সালে কাস্ত্রোর মৃত্যুর দিন পর্যন্ত এক ছাদের নিচে বাস করেছেন দুজন। স্ত্রীর মৃত্যুর এক যুগ পরে দুনিয়া ছাড়লেন জাগালো।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স