প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ ২২ মে (সোমবার) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনেন রাষ্ট্রের এক আইন কর্মকর্তা। আদালত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষকে অবহিত করতে বলেন এবং পুলিশের সবশেষ পদক্ষেপও জানতে চান।
উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগ, গায়েবি মামলা ও গণগ্রেফতার বন্ধ, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ ও ১০ দফা দাবিতে গত ১৯ মে (শুক্রবার) রাজশাহীতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ‘কবরস্থানে’ পাঠানোর হুমকি দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আর ২৭ দফা-১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা- শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য যা যা করার দরকার, আমরা করব ইনশাআল্লাহ।’
আবু সাইদ চাঁদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান এবং প্রধান বক্তা ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক রাসিক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
এছাড়া রাজশাহী বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাইন সৌকত, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, সাবেক এমপি অ্যাড. নাদিম মোস্তফা, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ আলী ঈশা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মতিউর রহমান মন্টু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম মার্শাল প্রমুখ এতে উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ সঞ্চালনায় ছিলেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার ও মামুন অর রশিদ।
ঠিকানা/এসআর