Thikana News
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা
‘গবেষণায় এক টাকাও ব্যয় করেনি ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়’ ২০২০ সালের ইউজিসির প্রতিবেদন এবং ‘দেশে উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ কী’ শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে একটি লেখা পড়েছিলাম অনেক দিন আগে। লেখাটি লিখেছিলেন নাসরীন সুলতানা, সহযোগী অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে তিনি কানাডায় পিএইচডি করছেন। তার প্রসঙ্গ যেহেতু এল, তখন তার লেখার দু’লাইন না বললেই নয়-

‘সারা বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায়, বিজ্ঞানের যত বড় বড় আবিষ্কার তার বেশির ভাগই বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে হয়েছে। তাই শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড হলে বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটি জাতির মস্তিষ্ক। উন্নত বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতার ক্ষেত্রে সাধারণত সর্বনিম্ন সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, যার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো পিএইচডি ডিগ্রি। অধ্যাপকরা সাধারণত বছরে এক সেমিস্টার পড়ান এবং বছরের বাকি সময়টা গবেষণার কাজে ব্যয় করেন, কনফারেন্সে পেপার প্রেজেন্ট করতে বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান।

‘অন্যদিকে আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রবেশের সর্বনিম্ন ধাপ লেকচারার পদ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করা মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। একজন লেকচারার সক্রিয় চাকরির অভিজ্ঞতা এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রকাশনা দিয়ে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে পিএইচডি তার পদোন্নতির জন্য সহায়ক মাত্র (পিএইচডি থাকলে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে পদোন্নতি পাওয়া যায়), আবশ্যক নয়।’

দেশে সরকারি-বেসরকারি ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৫টি ২০২০ সালে গবেষণা খাতে এক টাকাও ব্যয় করেনি। ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে ৪৪টি বিশ্ববিদ্যালয়। একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও বছরজুড়ে দু-চারটি প্রকাশনা ছাড়া অন্য কোনো গবেষণা করেনি। যার বেশির ভাগ আর্টিকেল মানহীন, নকল এবং রিভিউ আর্টিকেল বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ব্যয় ছিল মাত্র ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী কিংবা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও খারাপ।

কেউ কেউ পর্যাপ্ত অর্থের অভাবের কথা বললেও ইউজিসির তথ্যমতে প্রতিবছর গবেষণার অর্থ ফেরত যায়। সুতরাং অর্থ নয়, বরং অদক্ষ শিক্ষক এবং শিক্ষক রাজনীতি বাংলাদেশের মানসম্পন্ন শিক্ষার পথে বড় বাধা। এটা শুধু আমার কথা নয়, আমি এই লেখাটি লিখতে গিয়ে যতগুলো লেখা পড়েছি, তাদের সবারই একই মতামত। যেটা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোটেও কাম্য নয়। আবার কেউ কেউ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার নাম ভাঙিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে টাকা ইনকাম করছেন। যদিও সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার আগে বেতন কাঠামো, সুযোগ-সুবিধা দেখেই শিক্ষক হওয়ার জন্য সকল ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যান। আবার প্রথম দু-একজন নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হন, পরে কয়েকজন অন্য নতুন কিংবা পরের সারির কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হন, তারপর কয়েকজন সরকারি শিক্ষা ক্যাডার হন। তাহলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যারা হন, তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

সদ্য স্নাতকোত্তর পাস করা একজন ছাত্র কিংবা ছাত্রী শুধু রেজাল্টের কল্যাণে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে যাচ্ছে, যার নেই কোনো অভিজ্ঞতা, নেই কোনো গবেষণা, মানসম্পন্ন প্রকাশনার প্রশ্নই আসে না, কিংবা নেই কোনো প্রশিক্ষণ। বিষয়টি হাস্যকর। কেউ যখন শিক্ষা ক্যাডার হয়, তাদেরও একটি দীর্ঘ পরীক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যার নিয়োগ হয় একটি কলেজ শিক্ষক হিসেবে, এমনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও পরীক্ষা দিয়ে পাস করে পিটিআইতে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসব কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় না।

আরও একটা মজার তথ্য হলো দেশের প্রথম সারির সকল বিশ্ববিদ্যালয় এখন শুধু নিজের ক্যাম্পাসের নিজের বিভাগকেই প্রাধান্য দেয়। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় কিংবা ইতিহাসে যে শিক্ষক হলো, সে কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগই পায়নি। আবার রাজশাহী কিংবা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশির ভাগই ঢাকা কিংবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ না পেয়ে ওখানে ভর্তি হয়েছে। সুতরাং সামগ্রিক মেধার বিচার তো এখানে হলো না। দুদিন পর যখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের ছাত্রদের শিক্ষক নিয়োগ দেবে, সামগ্রিক মেধাবীদের কাতারে সে কতটা যোগ্য? সে তো ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগই পায়নি।

নাসরীন সুলতানা তার ওই প্রবন্ধে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী কী সীমাবদ্ধতা এবং প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো তুলে ধরেন। তিনি শিক্ষক, তাই শিক্ষকদের কী কী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেটা তিনিই ভালো জানেন। তার লেখা থেকে স্পষ্ট, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষাবান্ধব নয়। তার মতে, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জাতির মস্তিষ্ক।’ আর আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় যদি জাতির মস্তিষ্ক হয়, তাহলে শিক্ষক হচ্ছেন মস্তিষ্কের নিউরন। আর সেই নিউরনে রয়েছে জটিলতা। যেমন অযোগ্যদের নিয়োগের কারণে শিক্ষার মান দিন দিন কমছে; পিএইচডি ছাড়াই অনেক শিক্ষক অধ্যাপক হচ্ছেন, শিক্ষকেরা গবেষণার চেয়ে রাজনীতির দিকেই বেশি ঝুঁকছেন।

এতে পারস্পরিক কোন্দল দিন দিন বাড়ছে। অন্যদিকে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যকার আন্তসম্পর্ক বলে কিছু থাকছে না। শিক্ষকেরা ছাত্রদের গবেষণায় কাজে না লাগিয়ে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। তথাকথিত ভালো ছাত্রদের শিক্ষক হওয়াই শেষ কথা। আর ভালো ছাত্র মানে সর্বোচ্চ জিপিএ কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সকলেই সমান মেধাবী।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা ছয় বছরে যে যার পথ বেছে নেয়। কিন্তু শিক্ষকতাকে ভালোবেসে শিক্ষক হয় কজন? আপাতদৃষ্টিতে এটা মনে হয় যে শুধু প্রথম শ্রেণিতে প্রথম যারা হয়, তারাই শিক্ষক হতে পারে কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সর্বোচ্চ জিপিএ পাওয়ার পর যার লবিং ভালো এবং চেয়ারম্যান স্যারের প্রিয়ভাজন, এমন অনেক যোগ্যতাসম্পন্নরা দৌড়ে এগিয়ে থাকেন।

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলি, ছাত্রজীবন শেষ হওয়ার পর অনেকের শিক্ষক হওয়ার খবর শুনে অবাক হয়েছিলাম। কারণ শিক্ষক হওয়ার মানদণ্ডের কোনো শর্তই তার পূরণ করার কথা নয়। তাদের শিক্ষক হওয়ার প্রায় এক যুগ হয়ে গেল কিন্তু তাদের আজ অবধি কোনো আর্টিকেল কিংবা গবেষণা প্রকাশ হতে দেখলাম না।

বরং তারা শিক্ষক রাজনীতি এবং বাড়ির উঠানে সবজি চাষ, বিভিন্ন আন্দোলনের নামে ফটোসেশন এবং টিভি টকশো নিয়েই বেশি ব্যস্ত। একজন শিক্ষক তার মতাদর্শের রাজনৈতিক দল এবং নেতাকে নিয়ে যে গবেষণা করেন, ফলে তার তথ্যবহুল লেখা পত্রিকায় এবং ফেসবুকে প্রকাশিত হয় কিন্তু তিনি যদি তার একই শ্রম ও মেধা শিক্ষা এবং গবেষণায় বিনিয়োগ করতেন, তাহলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মান পেত। গবেষণায় এদের আগ্রহ নেই, তাই শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে ক্লাস আর পরীক্ষার মধ্যে। চাকরির বাজারমুখী শিক্ষার্থী তৈরি করে দেশের গবেষণাকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। গ্র্যাজুয়েশন শেষে একটা সার্টিফিকেট ধরিয়ে দিয়ে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বেশির ভাগ শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি নেই। রাজনৈতিক প্রভাব ও তোষামোদিতে চলছে পদোন্নতি ও নিয়োগ বাণিজ্য।

এত সমস্যার ভিড়েও যে একেবারেই যোগ্য নিয়োগ হয় না, সেটা সত্য নয়। যোগ্যদের তো আর কেউ দমিয়ে রাখতে পারে না।

দেশ তাদের মূল্যায়ন করতে না পারলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে তারা। কিন্তু তখন তার গবেষণার কৃতিত্ব আর বাংলাদেশের থাকে না। কারণ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক পিএইচডি করতে বিদেশে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। কেউ আবার এই প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করেই কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে যান। মূলত তাদের কারণেই ধুঁকে ধুঁকে হলেও চলছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম। কিন্তু গবেষণা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানই মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপ নিতে পারে না। দেশে গবেষণা শূন্যের কোঠায় যখন, তখন যদি কেউ বিদেশে গিয়ে পিএইচডি করতে চান, তাদের জন্য অর্থনৈতিক অবকাঠামো সবচেয়ে বড় বাধা।

মস্তিষ্ক এবং নিউরনের এমন হাজার সমস্যার কারণে বিশ্ব মানদণ্ডে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নয়, বরং হিসাবেই নেই। বিষয়টি সহজ, কারণ মস্তিষ্ক সমস্যা-সংবলিত কোনো মানুষকে আমরা সাধারণ মানুষের কাতারে ফেলব না-এটাই স্বাভাবিক।

এবার জাতির মেরুদণ্ড নিয়ে কিছু বলি। ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’ এটা নিয়ে এত রচনা আর ভাবসম্প্রসারণ লিখতে হয় ছাত্রজীবনে যে এর গভীরে আর যাওয়া হয়ে ওঠে না। ব্রিটিশ আমলের শিক্ষাব্যবস্থা আর শিক্ষা বাণিজ্যের কারণে বাংলাদেশে শিক্ষার মান তলানিতে ঠেকেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন আমলা তৈরির কারখানা মাত্র। আমার মতে, এই চাকরিমুখী শিক্ষাই শিক্ষার মান ধ্বংসের প্রধান কারণ। আমার ছাত্রজীবনের ছয় বছর তো আর এই ছোট্ট লেখায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। ছাত্ররাজনীতি করার কারণে হলের সকল ছাত্রকে খুব কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।

তখন দেখেছি, সকল ছাত্রই তিন ভাগে বিভক্ত। এক গ্রুপের প্রধান লক্ষ্য শিক্ষক হওয়া। তারা পাঠ্যপুস্তক আর শিক্ষকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ছাড়া দুনিয়ার কোনো কিছু নিয়ে তাদের চিন্তা নেই। এদের সংখ্যা খুবই কম। দ্বিতীয় গ্রুপের পরিধি অনেক বড়। এদের উদ্দেশ্য একটাইÑসেটি হলো বিসিএস, শিক্ষা অথবা একটি নন-ক্যাডার সরকারি চাকরি প্রাপ্তি। পাঠ্যপুস্তকের প্রতি তাদের মনোযোগ নেই বললেই চলে। পক্ষান্তরে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এবং সাধারণ জ্ঞান টাইপের সকল বই মুখস্থ। কারণ এখানে মুখস্থবিদ্যার কোনো বিকল্প নেই। আর এই দুই গ্রুপের বাইরে একটা গ্রুপ আছে, যাদের পড়াশোনা নিয়ে কোনো মাথাব্যথাই নেই। যা হবার হবে-কেউ ব্যবসা, কেউ রাজনীতি, কেউ সংগঠন কিংবা গান-বাজনা নিয়ে ব্যস্ত। এদের সংখ্যাও খুব কম নয়। তবে চাকরিপ্রার্থীদের তুলনায় অনেক কম।

অর্থাৎ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে চাকরি। শিক্ষার উদ্দেশ্য যে চাকরি, তার একটা উদাহরণ হলো প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কতজন এসআই হয়েছে, তার একটা প্রতিবেদন দেখেছিলাম দৈনিক পত্রিকায়, যার যোগ্যতা ডিগ্রি পাস এবং সাথে অভিনন্দনের বন্যা। বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যখন র‍্যাঙ্কিং করা হয়, তখন কি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার এই করুণ দৃশ্য দেখে না? তারই ফলে একটি র‍্যাঙ্কিংয়ে দেখলাম, বাংলাদেশের অবস্থান পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিচে। আমার কাছে এর কোনো সমাধান নেই। সমাধানের দায়িত্বে যারা আছেন, তারাও তো চাকরিমুখী শিক্ষায়ই বিশ্বাসী।

কমেন্ট বক্স