নিউইয়র্কে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার সভাপতি বদরুল খান অভিযোগ করেছেন, সংগঠনের ৩ লাখ ৩২ হাজার ডলার আত্মসাৎ করে বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম যে বাড়ি কিনেছেন সেটিতে ফোরক্লোজারের নোটিশ এসেছে। গত ৮ মাস মর্গেজ পরিশোধ না করায় তা এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর একে লিন করা হয়েছে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকাকে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সংগঠনের তহবিল। গত ১০ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, মইনুল ইসলাম জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জালালাবাদের অর্থ তুলে ‘কথিত জালালাবাদ ভবন’ ক্রয় করেন। এই অর্থ আদায়ে তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। সংগঠনের নেতারা আশা করছেন- আদালতের সুবিচারে জালালাবাদবাসী এই অর্থ ফেরত পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জালালাবাদের ৩ লাখ ৩২ হাজার ডলার তুলে মইনুল ইসলাম যে বাড়িটি ক্রয় করেছিলেন তা নিলামে উঠতে যাচ্ছে। ব্যাংক গত ৮ মাসে মইনুল ইসলামের কাছ থেকে মর্গেজ না পাওয়ায় তা ফ্লোরক্লোজারে যাবার পথে। এমতাবস্থায় জালালাবাদের প্রায় সোয়া ৩ লাখ ডলার নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। বিষয়টি বৃহত্তর সিলেটবাসীকে অবহিত করার জন্যই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন। এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম বলেন, মইনুল ইসলামের অর্থ কেলেংকারির বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আশা করি সহসাই তার নিষ্পত্তি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদের ট্রাস্টি বদরুন নাহার খান মিতা ও ছদরুন নুর, সহ সভাপতি মোহাম্মাদ লোকমান হোসেন লুকু ও সফিউদ্দিন তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলিম, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক ফয়সাল আলম, ক্রীড়া সম্পাদক মান্না মুনতাসির, কার্যকরী সদস্য শামীম আহমদ, সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজবাহ মজিদ, আহমেদ জিলু, জুনেদ এ খান, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আতাউর রহমান সেলিম, সাবেক ট্রাস্টি এডভোকেট নাসির উদ্দীন প্রমুখ।
এদিকে জালালাবাদের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামের সমর্থকেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মর্গেজ পরিশোধের রশিদের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, মর্গেজ নিয়মিত পরিশোধ করা হয়েছে। আর মর্গেজ পরিশোধ থাকলে ফোরক্লোজারে যাবার খবর ভিত্তিহীন।