Thikana News
০৬ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪

সেলফোন থেকে দূরে থাকলে দুশ্চিন্তায় ভোগে ৯১ শতাংশ শিশু

সেলফোন থেকে দূরে থাকলে দুশ্চিন্তায় ভোগে ৯১ শতাংশ শিশু
বর্তমান যুগে স্মার্টফোন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এর অত্যধিক ব্যবহার পারিবারিক বন্ধনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। সম্প্রতি পরিচালিত এক গবেষণা সমীক্ষার তথ্যানুযায়ী, ৯১ শতাংশ শিশু সেলফোন থেকে দূর বা আলাদা থাকলে দুশ্চিন্তা অনুভব করে। খবর : গ্যাজেটস নাউ।

সম্প্রতি ভিভো ও সাইবার মিডিয়া রিসার্চ এ সমীক্ষা পরিচালনা করে। দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, আহমেদাবাদ ও পুনের মতো শহরের ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর ওপর এ সমীক্ষা চালানো হয়। স্মার্টফোন কীভাবে পিতা-মাতা বা অভিভাবকদের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক ও তাদের মানসিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করে সে বিষয়টিই সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ৭০ শতাংশ বাবা-মা তাদের জ্ঞান বাড়ানোর ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের ভূমিকা স্বীকার করেছেন। ৬০ শতাংশেরও বেশি পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষার্থে স্মার্টফোনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। একইভাবে প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু এক মত যে স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্ব সম্পর্কে তথ্য অর্জন সহজ করেছে। ৫৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারীরা জানায়, স্মার্টফোন দূরবর্তী বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সহজ করে তুলেছে।

শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার সম্পর্কিত প্যাটার্নগুলো উদ্বেগ তৈরি করেছে। গড়ে শিশুরা ১২ বছর বয়সে স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করে থাকে। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা তারা স্মার্টফোনে ব্যয় করে। যার মধ্যে প্রধানত গেমিংয়ে বেশি সময় দিয়ে থাকে তারা। উদ্বেগজনকভাবে ৯১ শতাংশ শিশু তাদের ফোন থেকে আলাদা হওয়ার সময় উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা অনুভব করে। এতে বোঝা যায় যে শিশুদের মাঝে স্মার্টফোনের প্রতি অতি গভীর এক মানসিক নির্ভরতা তৈরি হয়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়িতে স্মার্টফোনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা প্রকাশ পেয়েছে।

পিতা-মাতারা তাদের শিশুদের স্মার্টফোনের অভ্যাস, বিশেষত মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক দক্ষতা এবং সামগ্রিক বিকাশ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৪ শতাংশ বাবা-মা তাদের শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে চিন্তিত। ৯১ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যকার সম্পর্ককেও নেতিবাচক রূপে প্রভাবিত করছে। প্রায় ৯০ শতাংশ বাবা-মা তাদের শিশুদের স্মার্টফোন ব্যস্ত থাকায় মাঝে মাঝে বিরক্তি প্রকাশ করেন। ৯০ শতাংশ বাবা-মা স্বীকার করেন যে তারা তাদের শিশুদের সঙ্গে কম সময় কাটান। এছাড়া ৯১ শতাংশ শিশু তাদের বাবা-মার অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে নিজেরা একাকিত্ব বোধ করে বলেও তথ্য উঠে এসেছে।

স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ে গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ৯৩ শতাংশ বাবা-মা ও সন্তান তাদের সম্পর্কের গুণগত মান নিয়ে অপরাধবোধে ভুগেন। আশাব্যঞ্জক বিষয় হলো, ৯৪ শতাংশ বাবা-মা স্মার্টফোনে সময় কাটানোর চেয়ে সন্তানদের সঙ্গে অর্থপূর্ণ সময় দেয়াকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ৯৬ শতাংশ পরিবার তাদের পারিবারিক সংযোগকে আরো দৃঢ় করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে।


ঠিকানা/এম

কমেন্ট বক্স