নরসিংদীতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর বুধবার রাতে মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ওই নারীর নাম নূরতাজ বেগম (৬০)। তিনি নরসিংদী পৌর শহরের দক্ষিণকান্দা পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত পিয়ার হোসেনের স্ত্রী।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. পলাশ মোল্লা বলেন, পেটে ব্যথা থাকায় রাতে ওই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা দেওয়ার পর তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তার বুকব্যথা শুরু হয়। পরে তিনি মারা যান। হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে।
এদিকে পুলিশ দাবি করছে, নূরতাজ এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপপরিদর্শক নইমুল মোস্তাকের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল নূরতাজ বেগমকে ১০ কেজি গাঁজাসহ নরসিংদী শহরের ভেলানগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাকে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে রাখা হয়। রাত তিনটার দিকে নূরতাজ বেগম অসুস্থ বোধ করলে তাকে নরসিংদীর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকাল পৌনে আটটার দিকে বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নরসিংদী জেলা পুলিশ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিন সদস্যের এই কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গাঁজাসহ গ্রেপ্তারের পর ডিবি হেফাজতে থাকা ওই নারী অসুস্থ বোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। আইন অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তার শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।
নিহত নূরতাজ বেগম মাদক ব্যবসায়ী স্বীকার করলেও তার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বজনেরা। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করার দাবি স্বজনদের।
ঠিকানা/এনআই