নির্বাচনে অংশগ্রহণ না বর্জন-এ প্রশ্নে প্রবল সংশয়-শঙ্কায় রয়েছে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না। এ নিয়ে দলীয় ফোরামে আনুষ্ঠানিক কি অনানুষ্ঠানিক কোনো আলোচনাও হয়নি। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে মতামত রাখা হচ্ছে। এতে নেতাদের প্রচণ্ড দ্বিধা, অনিশ্চয়তাই প্রকাশ পায়। বিচারাধীন অবস্থায় ও দণ্ডিত হওয়ার পর খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের আন্দোলন নিয়ে খালেদা জিয়াসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আশাবাদী নন। এমনই অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া দলের ভবিষ্যৎ নিয়েই শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে তার মনোভাব অনমনীয়। উল্লেখযোগ্য ছাড় ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে নন খালেদা জিয়া।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলীয় আট সদস্যের প্রতিনিধি দেখা করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারী দুজন ছাড়া স্থায়ী কমিটির সব সদস্যই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে নেতাদের মনোভাব ও মতামত খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করতে বললে তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে বলেন, মোটামুটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ভোট হলে অর্থাৎ ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারলে ক্ষমতাসীন দলের ভরাডুবি নিশ্চিতভাবেই হবে।
সাক্ষাৎকারী ও আলোচনায় অংশগ্রহণকারী এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও জানান, বেগম খালেদা জিয়া সবার মতামত ধৈর্যসহকারে শোনেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে-বিপক্ষের বক্তব্য শোনেন। নির্বাচনে অংশ নিলে দল কীভাবে লাভবান হবে, অংশ না নিলে রাজনৈতিকভাবে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সে সম্পর্কে জানতে চান খালেদা জিয়া। অধিকাংশ নেতাই নির্বাচনের সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য পরিবেশ ও নিরপেক্ষ-প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের নিশ্চয়তা সাপেক্ষ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে মত দেন। দলগতভাবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে দলের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, জেলা, উপজেলার প্রভাবশালী নেতাদের নির্বাচনের বাইরে রাখা কঠিন হবে বলে উল্লেখ করা হয়। চেয়ারপারসনকে জানানো হয়, জাতীয়তাবাদী নাম ব্যবহার করে বিএনপির নির্বাচনমুখী নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের এক কাতারে শামিল করার প্রক্রিয়া চলছে।
দীর্ঘদিনের সহযোগীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখা বিএনপির পক্ষে কতটা সম্ভব হবে, আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা যায়। নেতৃস্থানীয় একাধিক নেতা জানান, বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রশ্নে বিএনপির মহাসচিব ও অপর কয়েকজন নেতার তীব্র নেতিবাচক ভূমিকা ও প্রকাশ্য বক্তব্যের সমালোচনা করেন। রাজনীতিতে এ রকম কঠোর অবস্থানের সুযোগ আছে কি না, তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। ঈদ-পরবর্তী আন্দোলনের সফলতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করা হয়। তবে তিনি সরকারের কৌশলে ধরাশায়ী না হয়ে, ফাঁদে পা না দিয়ে সতর্কতার সঙ্গে কথা বলা ও অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দেন বলে জানা যায়।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একাধিক নেতা ঠিকানাকে জানান, বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে শর্ত সাপেক্ষে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বলেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না-করার ব্যাপারে নেতাদের নিজেদের মধ্যে অধিকতর আলোচনা করে সম্মত সিদ্ধান্তে আসার আহ্বান জানান। তার পরই বেগম খালেদা জিয়া সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান। সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা না হলে এবং বিভিন্ন কৌশলে সরকার প্রভাব সৃষ্টি করলে নির্বাচন বর্জনের বিষয়েও আলোচনা হয় বলে জানা যায়। নির্বাচন বর্জন করে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বেগম খালেদা জিয়ার কথা, তার গলার আওয়াজ শুনতে পায় না দেশের মানুষ। প্রায় তিন বছর যাবৎ তিনি একরকম রুদ্ধবাক। শর্ত সাপেক্ষে মুক্ত হলেও প্রকাশ্যে কর্মী-জনতার সামনে কথা বলার অধিকার নেই। হাসপাতালের চিকিৎসক দেখানো ছাড়া বাইরেও আসতে পারেন না। নির্দিষ্ট সংখ্যক আত্মীয়-নেতারা ছাড়া অন্য কেউ তাকে দেখার সুযোগও পান না। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দুঃসহ জীবন কাটানো-সংক্রান্ত কোনো খবরও দেশের মানুষ পায় না। তিনিও কিছু বলার অধিকারহারা। সবই সরকারের মর্জির ওপর নির্ভরশীল।
এই প্রথম সেই খালেদা জিয়ার একটি কথা প্রচারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিএনপির মহাসচিবের বরাতে প্রচারিত হয়েছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বেগম খালেদা জিয়া জনগণকে সঙ্গে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। দীর্ঘ কয়েক বছর জেলে, হাসপাতালে এবং শর্ত সাপেক্ষে মুক্ত থাকার পর এই প্রথম খালেদা জিয়ার জবানিতে একটি বক্তব্য রাখার ও তা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার সুযোগ দেওয়া হলো। এ নিয়ে রহস্যের জাল বিস্তৃত হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার কথা বলতে না পারার মতো শারীরিক অবস্থা গত কয়েক বছরে কোনো সময়েই ছিল না। তবে প্রচলিত আইন, বিধিনিষেধ এবং আইনগত বিধিবিধান মেনে চলার মানসিকতা তার মধ্যে রয়েছে। স্বৈরাচারী শাসনামলে যে রকম দৃঢ়চেতা বলিষ্ঠ মনোভাব তার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়, এখন বয়সের ভারে ক্লান্ত এবং শারীরিক নানা জটিলতা ও অসুস্থতা তাকে শারীরিকভাবে যেমনি, মানসিকভাবেও দুর্বল করে রেখেছে। খালেদা জিয়া সরকারের হিংসাশ্রয়ী নীতির শিকার বলেই বিএনপির নেতারা অভিযোগ করছেন।
সরকার বেগম খালেদা জিয়া, তার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদার ব্যাপারে দৃশ্যত কঠোর আইনগত অবস্থানের পাশাপাশি প্রকাশ্যে অনুরূপ মনোভাবও প্রদর্শন করছে। তারেক রহমান এমনিতেই দণ্ডিত। তারেক ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদার বিরুদ্ধে নতুন মামলা চালু করা হয়েছে। সরকারিভাবে অনুকম্পা প্রদর্শন করা না হলে তারেক ও তার স্ত্রীর এ মামলা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা মনে করেন। এই মামলারও দ্রুত নিষ্পত্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদার পক্ষে দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ না করে তাদের পক্ষে উচ্চতর আদালতের আশ্রয় নেওয়াও সম্ভব নয়। নির্বাচনের আগে তারা আইনগত এ সুবিধা না-ও পেতে পারেন। জেলে যাওয়ার ভয়ে তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর দেশে আসার সম্ভাবনা নেই। তারেক রহমান মোবাইলে দলের কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি দেশে না এলেও স্ত্রী ডা. জোবাইদাকে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। আত্মসমর্পণ ও জেলে থাকার ঝুঁকি নিয়েই জোবাইদার দেশে আসার পরিকল্পনা এখনো রয়েছে। সে সুযোগ যাতে তারা না পান, সে জন্য নতুন করে মামলা তালিকাভুক্ত করে স্বল্প সময়ে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন পর্যন্ত ঘরের ভেতরেই থাকতে হবে। পরে শর্ত সাপেক্ষে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন কেবল চিকিৎসার জন্য। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা দেশে আসতে পারছেন না। নেতৃত্বহীন থেকে বিএনপির পক্ষে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভালো ফলাফলের আশা ক্ষীণ। আবার নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচনমুখী দলের শতাধিক সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, কেন্দ্রীয় এবং জেলা, উপজেলা নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখাও সম্ভব হবে না। দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতাও প্রচণ্ড দ্বিধায় রয়েছেন। লন্ডন থেকে তারেক রহমান যে অতিনাটকীয় সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তে নিয়ে ড. কামাল হোসেনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছিলেন, তাতে বিএনপির শীর্ষস্থানীয়, কেন্দ্রীয় ও জেলার অনেক নেতাই অসন্তুষ্ট। যদিও তারা এখনো মুখ খুলছেন না। এবার তারা আর নীরব, নিষ্ক্রিয় না-ও থাকতে পারেন। দলে ভাঙন সৃষ্টি করতে চান না তারা। নিজেদের বর্তমান ভবিষ্যৎকেও আর ধুলোয় লুটাতে চান না।
জাতীয়তাবাদী সমমনারা মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করার প্রক্রিয়াও চলছে। বিএনপিকে দলগতভাবে নির্বাচনে আনাই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। এমনই অবস্থায় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য অত্যন্ত প্রণিধানযোগ্য। শারীরিক কারণে, আইনগত বাধ্যবাধকতায় তার পক্ষে বক্তব্য রাখা সম্ভব নয়। দলের মহাসচিবসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে তার বক্তব্য দলের নেতাকর্মী-সমর্থক, দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছরে তা হয়নি। নির্বাচন সামনে রেখে কেন তা হলো- সরকারের সদিচ্ছার বাইরে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাক্ষাৎ এবং মহাসচিবের মাধ্যমে বক্তব্য রাখার ঘটনা কাকতালীয়ও নয়। সরকারের পরিকল্পনামাফিকই তা হয়েছে। খালেদা জিয়া দলের নেতাকর্মী, দেশবাসীকে তাদের সঙ্গে থাকার জন্য বলেছেন। সঙ্গে থাকা বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ঈদের পর জোরদার আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা মহাসচিবসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা দিয়ে রেখেছেন। দেশবাসী, নেতাকর্মীদের এই আন্দোলনে শরিক হয়ে সরকার পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন? বিকল্প হিসেবে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে থাকার অর্থাৎ তাদেরকে জয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী পশ্চিমা শক্তির কাছে ধরনা দিয়ে বিএনপি যে কাক্সিক্ষত সফলতা পায়নি, তা এখন দৃশ্যমানভাবে স্পষ্ট। নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির জন্য অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে। বিগত দুই নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি বা ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, জালিয়াতির মাধ্যমে সরকার ফলাফল তাদের পক্ষে নিলে সরকার, সরকারি দল দেশের ও নিজেদেরও মহাসংকট ডেকে আনবে। বিদেশিরা এর বিপক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নেবে। বিএনপি তার সহযোগীদের নিয়ে সর্বব্যাপী আন্দোলনে অবতীর্ণ হবে। তাতে বিদেশি সমর্থনও আর অপ্রকাশ্য থাকবে না।
তবে সরকার এ ক্ষেত্রে কৌশলী পদক্ষেপ নেবে। তারা বিএনপিকে যথেষ্ট ছাড় দেবে। শীর্ষস্থানীয় নেতাদেরসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে নিয়মিত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলছেন। তবে দলগতভাবে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় বিএনপি ও তার সহযোগীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ওপর বিদেশিরা যেমনি, সরকারের নীতিনির্ধারকেরাও তেমনি আগ্রহী। দলের অভ্যন্তরীণ অবস্থা, দেশে বিরাজমান ও আগামীর সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা আগের মতো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিপক্ষে কঠোর অবস্থানে নেই।
বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে একান্ত আলোচনায় কয়েকজন নেতা মতপ্রকাশ করেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিকভাবে যতটা না ক্ষতিকর হবে, নির্বাচনে অংশ না নেওয়া হবে অনেক বেশি ক্ষতিকর সর্বনাশা সিদ্ধান্ত। এতে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী শীর্ষস্থানীয় এক নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে সাপ্তাহিক ঠিকানাকে বলেন, সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নেতাদের কথা গভীর আগ্রহের সঙ্গে শোনেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা ও না-করা দুটিই ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তাই সরকারের কাছ থেকে সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিজেরা বসে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বলেছেন বেগম খালেদা জিয়া। সময়মতো তাদের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জানানো হয়।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের মন-মানসিকতার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন এগিয়ে আনার পরিকল্পনা থেকে সরকার সরে আসতে পারে। কারণ বিএনপিকে নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট না হলেও মোটামুটি সময় দিতে হবে। ডিসেম্বরের কয়েক মাস আগে নির্বাচন হলে বিএনপি ও তার সহযোগীদের সময় সংকুচিত হয়ে আসবে। নির্বাচন কমিশন সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চায়।