Thikana News
১৮ অক্টোবর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪


 

সংসদ বিলোপ চায় বিএনপি

সংসদ বিলোপ চায় বিএনপি


নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখেই নির্বাচনে আসতে চায় বিএনপি। তার নেতৃত্বেই হবে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসে বিএনপি নতুন করে এ দাবি করার পরিকল্পনা করছে। তবে এতেও শর্ত রয়েছে। বিএনপির প্রস্তাব আদৌ গ্রহণযোগ্য কি না তা নিয়ে সরকার ও সরকারি দলের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে কথা হচ্ছে। তারা এ দাবি গ্রহণযোগ্য নয় বলে সরাসরি এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের দৌড়ঝাঁপও বেড়েছে। তাদের যাবতীয় তৎপরতা কূটনৈতিক পাড়ায়। বিদেশিদের নিয়ে বৈঠক ও তাদের সঙ্গে সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাই হবে মুখ্য উদ্দেশ্য। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, ব্যবসায়ী নেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং আরো কয়েকজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ভারত, চীন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্কসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের বাসভবনে গিয়ে তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা করেন এবং সমস্যার সমাধানে বিদেশিদের সহায়তা চান। কোনো কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের বিএনপির নেতাদের বাসায়ও আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনেক অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন উপস্থিত থেকে আলোচনায় শরিক হন। এ সময় লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে মোবাইলে আলাপ করেন বিএনপির কয়েকজন নেতা। কূটনীতিকদের তারেক রহমানের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার অনুরোধও করা হয়। কিন্তু বিদেশি কোনো কূটনীতিকই এতে সম্মত হননি। তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে তারেক রহমানের ভাষ্য ও বিএনপির দাবিসমূহ বিদেশি কূটনীতিকেরা ধৈর্য ও গুরুত্বের সঙ্গে শোনেন। গত এক বছর যাবৎই বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা এই তৎপরতা চালিয়ে আসছেন। সাম্প্রতিককালে তা বহুগুণে বেড়েছে।
বিএনপির একাধিক নেতৃস্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, দলটি সর্বশেষ বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে। এই সরকার নির্বাচন করবে এবং নির্বাচিত নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ১০ থেকে ১২ সর্বাধিক ১৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। এই উপদেষ্টা পরিষদে বিএনপিরও প্রতিনিধিত্ব থাকবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধিত্ব থাকবে সমহারে। বড়জোর আওয়ামী লীগকে একটি উপদেষ্টার পদ বেশি দেওয়া হতে পারে।
জাতিসংঘের ঢাকাস্থ প্রতিনিধির মাধ্যমে বিএনপির এই প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে সমঝোতা প্রস্তাবের পক্ষে ওকালতি করেছেন বলেও জানা যায়। কিন্তু সরকার বিএনপির প্রস্তাব বিবেচনায় নিচ্ছে না। সরকার মনে করে, শেখ হাসিনা ও তার দলের পরাজয় নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই বিএনপি এই পরিকল্পনা নিয়েছে। তাদের এ পরিকল্পনা চীন, ভারত, জাপানসহ অনেক দেশই সমর্থন করছে না। সংসদ বিলোপ করার মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পতনঘণ্টা বাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণযোগ্য নয় বলে সরকারি মহল জোরালোভাবেই মনে করে। তারা বর্তমান সাংবিধানিক ব্যবস্থার বাইরে যেতে কোনো অবস্থাতেই রাজি নয়। সমঝোতার খাতিরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বিএনপির অধিক সংখ্যক প্রতিনিধিত্ব রাখতেও আপত্তি নেই তাদের। কিন্তু সংসদ ভেঙে দেওয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের মতো কোনো দাবি বা শর্ত মেনে নেবে না সরকার।
 

কমেন্ট বক্স