বাংলাদেশে হঠাৎ করে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করার হিড়িক পড়েছে। পাশাপাশি দেশের সম্পদ ও সম্পত্তি বিক্রির টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করে বিদেশে বাড়ি বা সেকেন্ড হোম কেনার ধুম লেগেছে। আর সেকেন্ড হোম কেনার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের একশ্রেণির অসাধু রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও এনজিও কর্মকর্তা। গত এক দশকে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের খবর এসেছে। কিন্তু গত কয়েক মাসে দেশ থেকে শত শত কোটি বৈধ টাকা অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যত নানান আশঙ্কা থেকে একশ্রেণির অসাধু রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও এনজিও কর্মকর্তা বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। প্রাথমিক ধাপ হিসাবে তারা নিজেদের নামে-বেনামে সম্পত্তি বিক্রি করছেন।
একাধিক সূত্র জানায়, ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানী এলাকার ধর্নাঢ্য ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। সোস্যাশ মিডিয়ার এসব বিজ্ঞাপন শুধু আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে দেখা যাচ্ছে। উচ্চমূল্যের এসব বাড়ি অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে, আবার কোথাও পানির দরেও বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গুলশান-২ এর একজন ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী প্রায় এক বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলা একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি ২৫ কোটি টাকায় বিক্রির আগ্রহ প্রকাশ করে গত ১২ নভেম্বর সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেন। বাড়িটির ছবি ও তথ্য প্রকাশ করা করার পর গত ১৯ নভেম্বর আরেকজন ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী ২২ কোটি টাকায় তা কিনেও নিয়েছেন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন বিষয়টি অনুসন্ধান করে জানতে পারেন যে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাড়ির মালিক বাড়ি বিক্রির টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। তবে কোন দেশে টাকা পাচার হয়েছে তা এখনো জানতে পারেনি গোয়েন্দা সংস্থা।
উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে ৫ কাঠা জমির ওপর ১০টি ফø্যাটের একটি ছয়তলা বাড়ি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন জনৈক ব্যবসায়ী। বাড়িটির দাম চাওয়া হয়েছে ১৭ কোটি টাকা। এই বাড়িটির বাজার দর রয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। কিন্তু তিন দিন পর এই বাড়িটিও বিক্রি হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে নির্বাচনের সময় কেন দামি বাড়ি বিক্রি হচ্ছে এর কারণ অনুসন্ধানে গোয়েন্দারা ভিন্ন ভিন্ন তথ্য উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্পত্তি বিক্রির তালিকায় একশ্রেণির অসাধু রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও এনজিও কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ অসাধু রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও এনজিও কর্মকর্তা বিদেশে সেকেন্ড হোম কিনেছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অসাধু রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও এনজিও কর্মকর্তারা সেকেন্ড হোম হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাই এবং এশিয়ার মালয়েশিয়াকে বেছে নিচ্ছেন। হুন্ডির মাধ্যমে দেশে সম্পত্তি বিক্রি করার টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোয়েন্দা শাখার সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাংলাদেশ ব্যাংক অতিসম্প্রতি নিউইয়র্কে দুজন সাবেক সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তার কেনা দুটি বাড়ি কেনার উৎস্য খতিয়ে দেখছে। নিউইয়র্কের জ্যামাইকা এস্টেটে কেনা ওই বাড়ি দুটির তথ্য রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায়।
জানা গেছে, নিউইয়র্কে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনমুতি নিয়ে প্রায় আড়াই মিলিয়ন টাকা যুক্তরাষ্ট্রে আসা হয়েছিল। টাকা আনার পরই নগদ টাকায় জ্যামাইকার বাড়ি দুটি কেনা হয়। এরপর ছয় মাস যেতে না যেতেই প্রতিষ্ঠান দুটিকে আর্থিক লোকসান দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর পানি অনেক দূর গড়ালেও তদন্ত থেমে যায়। তবে নতুন করে এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন সদস্যের একটি কমিটি নিউইয়র্ক ঘুরে গেছেন।
একটি সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমের আওতায় সম্পত্তি কেনা নাগরিকদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা। দেশের বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলারা মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোমের বাসিন্দা হয়েছেন। মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম প্রোগ্রাম (এমএম ২ এইচ) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে এই সম্পত্তি হস্তান্তরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৪৯৯টি ইউনিট সেকেন্ড হোমের অধীনে বিক্রি করা হয়েছে। আর এই সম্পত্তি কেনায় চায় না এবং ইংল্যান্ডের নাগরিকদের পরেই বাংলাদেশিদের অবস্থান।
বাড়ি কেনায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে চায়না এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নিবাস গড়তে বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে অর্থ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফলে সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে যারা অংশ নিয়েছেন তারা টাকা পাচার করেছেন। এই সুবিধা পেতে হলে একজন ব্যক্তিকে ৭ হাজার, স্বামী-স্ত্রীর জন্য সাড়ে ৭ হাজার এবং একটি পরিবারের জন্য ৮ হাজার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা) মালয়েশীয় রিঙ্গিত ফি দিতে হয়। পরিবার বলতে স্বামী ও স্ত্রী ছাড়া তাদের দুজনের সন্তানকে নিয়ে একটি পরিবার বিবেচনা করা হয়। পরিবারের সদস্য এর চেয়ে বেশি হলে প্রতিটি সন্তানের জন্য বাড়তি আড়াইশ’ মালয়েশীয় রিঙ্গিত ফি দিতে হয়।
এদিকে নিরাপত্তার অজুহাতে চলছে অবৈধভাবে অর্থপাচার। মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোমে বসবাসকারী অনেকের কাছেই এটি ওপেন সিক্রেট। বিষয়টি জানে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও। তারপরও থামছে না এ অর্থ পাচার।
কী পরিমাণ অর্থ মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা জানা যায়নি। তবে গড়ে ২০ লাখ টাকা ব্যয় ধরে হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশিরা নিয়ে গেছেন প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এই টাকা কেবল সরকারকে দিতে হয়েছে।
তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জন প্রতি ১২ কোটি টাকা করে প্রায় ৪২ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা সেকেন্ড হোমধারীরা মালয়েশিয়ায় অবৈধ পথে নিয়ে গেছেন। সেকেন্ড হোমধারীদের অর্থপাচার ও কর ফাঁকির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এনবিআর মালয়েশিয়াতে যোগাযোগ অব্যাহত রেখলেও সঠিক কোনো সুরাহা হয়নি এখনও।
মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম ও কানাডার বেগমপাড়ার পর এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত কয়েক বছরে বাড়ি কেনায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন বাংলাদেশিরা। ২০২০-এর জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশিরা দুবাইয়ে ১২ কোটি ৩০ লাখ দিরহাম বা ২৮৮ কোটি টাকার জমি-বাড়ি কিনেছেন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যারাবিয়ান বিজনেস এমন তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সিএডিএস) সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রপার্টি (সম্পদ) কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রপার্টি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার।
অ্যারাবিয়ান বিজনেস জানিয়েছে, দুবাইয়ে যেসব দেশের মানুষ জমি-বাড়ি কিনছেন, তাদের মধ্যে বাংলাদেশিরা সামনের সারিতে। এই অর্থ বৈধ পথে দেশ থেকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। ফলে তা অবৈধ পথেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুবাইভিত্তিক ২০টি বাংলাদেশি আবাসন কোম্পানির ৩০ জন এজেন্টের মাধ্যমে এসব সম্পদ কিনেছেন বাংলাদেশিরা। এই তালিকায় আছেন ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ও আমলারা। দুবাইয়ের এসব বিনিয়োগের গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। এ ছাড়া দেশটিতে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হলে গোল্ডেন ভিসা দেয়া হয়।
দুবাইয়ে এ প্রবণতা চালু থাকার দুটি কারণ। প্রথমত, দুবাই সরকারও শুধু বাংলাদেশিদের নয়, সেখানে যেকোনো দেশ থেকে অর্থ নিয়ে আসাকে উৎসাহ দেয়। তারা নানাভাবে এর সুযোগ দেয়। কোনো বিদেশি বিনিয়োগ হলেও সেটির অর্থের উৎস সম্পর্কেও জানতে চায় না। এ জন্য দুবাইয়ে বিনিয়োগের অবাধ সুযোগ তৈরি হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশেও এর প্রতিকার বা প্রতিরোধমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। কারণ বিনিয়োগকারী বা অর্থ পাচারকারীরা কোনো ছোট ব্যক্তি নয়। তারা ধনী ও প্রভাবশালী। এ জন্য এ বিষয়টি নিয়ে এখানকার কর্তৃপক্ষ খুব একটা উচ্চবাচ্য করে না।
বিশ্বের ধনীদের দ্বিতীয় ঘর হয়ে উঠছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। কয়েক বছর ধরেই এই বাড়বাড়ন্ত চলছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে দুবাইয়ের রেকর্ডসংখ্যক জমি-বাড়ি বেচাকেনা হয়েছে। দেশটির সরকারি নথি অনুসারে, গত বছর দুবাইয়ে মোট ৯০ হাজার ৮৮১টি জমি ও বাড়ি কেনাবেচা হয়েছে। এর আগে ২০০৯ সালে ৮১ হাজার ১৮২টি জমি-বাড়ি বেচাকেনা হয়েছে। শুধু ডিসেম্বরেই দেশটিতে আট হাজার আবাসন লেনদেন হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৩ শতাংশ বেশি। খালি জায়গা বিক্রি বেড়েছে ৯২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং প্রস্তুতকৃত বাড়ি বিক্রি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ।
চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুবাইয়ে আবাসনের দামও বেড়েছে। গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত গড়ে সম্পদের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। এর মধ্যে ভিলা বা সুরম্য বাড়ির দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং অ্যাপার্টমেন্টের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশ।
বিশ্বের ধনকুবেরদের প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার অতি ধনীদের দীর্ঘমেয়াদে ‘গোল্ডেন ভিসা’ দিচ্ছে। বিদেশিদের বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধও শিথিল করা হচ্ছে। লেনদেনের ৭০ শতাংশ হচ্ছে নগদ অর্থে। পৃথিবীর সব দেশের ক্ষমতা ও সামর্থ্যবানরা সেখানে বাড়ি কিনছেন। রাশিয়ার তেল ব্যবসায়ীরা পশ্চিমা দেশগুলোতে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে যেমন দুবাইয়ে বাড়ি কিনছেন, তেমনি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ফুলেফেঁপে ওঠা পার্শ্ববর্তী আরব দেশগুলোর ব্যবসায়ীরাও পাড়ি জমাচ্ছেন সেখানে। ফলে দুবাই এখন বহুজাতিক ও বহু সাংস্কৃতিক নগর হয়ে উঠছে। ব্রিটিশ ফুটবলার ডেভিড বেকহাম, বলিউড তারকা শাহরুখ, আম্বানি- তারা এখন পরভূমে পরস্পরের প্রতিবেশী।
ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির হিসাব অনুযায়ী, দুবাইয়ে মোট প্রপার্টির বাজার ব্যাপ্তি ৫৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের। এর মধ্যে ২৭ শতাংশ আছে বিদেশি মালিকানায়। তথ্য গোপনের কারণে এর মধ্যে ৭ শতাংশ প্রপার্টি মালিকের জাতীয়তা নিশ্চিত করা যায়নি। সার্বিকভাবে প্রপার্টি খাতের বিদেশি মালিকের হার চিহ্নিত ২৭ শতাংশের চেয়েও অনেক বেশি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুবাইয়ে বিদেশিদের মালিকানাধীন প্রপার্টির মূল্য অন্তত ১৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। দুবাইয়ের অফশোর প্রপার্টির বাজার ব্যাপ্তির দিক থেকে এখন লন্ডনের অফশোর প্রপার্টির বাজারের দ্বিগুণেরও বেশিতে দাঁড়িয়েছে। যদিও দুবাইয়ের মোট জনসংখ্যা লন্ডনের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশের কিছু বেশি।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, গত ৪৪ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৯ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। ধনাঢ্য ব্যক্তিরা দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগে সবকিছু পাচার করছেন। দেশ থেকে বিদেশি ব্যাংকে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। ধনাঢ্য ব্যক্তিরা আজকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, মালয়েশিয়া, মরিশাসসহ বিভিন্ন দেশে ‘সেকেন্ড হোম’ কিনছেন।