Thikana News
০১ নভেম্বর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫





 

২১ হাজার সন্ত্রাসীর তালিকা পুলিশের হাতে

২১ হাজার সন্ত্রাসীর তালিকা পুলিশের হাতে





 
সুষ্ঠু, অবাধ ও ব্যাপক অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনবিরোধী যেকোনো কার্যক্রম কঠোর হাতে দমন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী সভা-সমাবেশ, মিছিলে বাধাদান, হামলা করা, ভোটদানে বিরত রাখা, হুমকি-ধমকি দেওয়া, ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধাদান, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানো, ভোটদানে বিরত রাখা, কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোটদানে বাধ্য করা প্রভৃতি কর্মকাণ্ড অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ভোটের আগের দিন রাতে টাকার খেলা হয়। দরিদ্র ভোটারদের ৫০০, ১০০০ টাকা দিয়ে ভোট কেনার ঘটনা চলে আসছে। নির্বাচন কমিশন এই অবৈধ প্রবণতা রোধে কঠোর কর্মপন্থা নেওয়ার কথা ভাবছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের এ ব্যাপারে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হবে। নগদ অর্থ নিয়ে মুভমেন্ট করা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশ, গোয়েন্দা নজরদারি ব্যাপকভাবে বাড়ানো হবে।
জানা যায়, নির্বাচনে ভোট গ্রহণ, কেন্দ্র দখল, কেন্দ্রে সন্ত্রাস, ভোট জালিয়াতি, জালভোট দেওয়া বন্ধ করতে পুলিশ, র‌্যাবকে বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগেই মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। নির্বাচনী এলাকার বাইরে লোকজনকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। নির্বাচনী এলাকার মধ্যকার এবং আশপাশে, ওই ইউনিয়ন ও পাশের ইউনিয়নের সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারীদের তালিকা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়নভিত্তিক তালিকা এরই মধ্যে করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী, অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের তালিকা এরই মধ্যে হয়েছে।
ইউনিয়নভিত্তিক এই তালিকার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উগ্রবাদী, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের পৃথক তালিকা করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার রাজনৈতিক পরিচয়ধারী ও অরাজনৈতিক ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের তালিকা পুলিশের হাতে রয়েছে। ভোটের আগেই তাদের গ্রেফতার করা হবে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, মিটিং-মিছিলে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে এরা ঘটাতে না পারে, সে জন্য তাদের এলাকাছাড়া করার বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী এলাকাধীন থানার পার্শ্ববর্তী থানার সন্ত্রাসী, সমাজবিরোধী, দুষ্কৃতকারীদের ব্যাপারে পুলিশ পারস্পরিক সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা নেবে। এক ইউনিয়ন বা থানা থেকে বিতাড়িত সন্ত্রাসীরা যাতে পাশের থানায় গিয়ে আশ্রয় নিয়ে অবৈধ কার্যক্রম চালাতে না পারে, সে জন্য সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে এ পর্যন্ত ২১ হাজার সন্ত্রাসী, সমাজবিরোধীর তালিকা করা হয়েছে। এদের বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দুষ্কৃতকারী, সন্ত্রাসী, সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চিহ্নিতদের পৃথক তালিকা করা হচ্ছে। এই তালিকায় বিএনপি-জাতীয় পার্টির পাশাপাশি সরকারি দলের লোকজনও রয়েছে।
 

কমেন্ট বক্স