প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দেশ জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের দ্বিতীয় ধাপে ২৮ এপ্রিল (শুক্রবার) স্থানীয় সময় ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি ওয়াশিংটন সময় বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় অনুসারে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৩৫ মিনিট) ওয়াশিংটনের ডুলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা এর আগে শুক্রবার বিকালে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ২৫ এপ্রিল থেকে জাপানে তার চার দিনের সরকারি সফর শেষ করে টোকিও ত্যাগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ১ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড আর ম্যালপাস তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তুলে ধরে আগামী ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে 'রিফ্লেকশন অন ৫০ ইয়ারস অব বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পার্টনারশিপ' শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বক্তৃতা করবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা এবং বিগত পাঁচ দশকে দেশটিতে বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।
এছাড়া ‘বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ৫০ ইয়ারস অব পার্টনারশিপ’ শীর্ষক মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তারা আগামী ২ মে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন।
এরপর ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুজান পি ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
একই দিন তিনি ইউএস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নিশা বিসওয়ালের আমন্ত্রণে মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের নির্বাহী গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন এবং মূল বক্তব্য পেশ করবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী দ্য ইকোনমিস্টকে সাক্ষাৎকার দেবেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
তিনি বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
৪ মে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী ৬ মে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজিত রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এর আগে ৫ মে সকালে তিনি বাকিংহাম প্যালেসে রাজা ও রানি কনসোর্টের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
একই দিনে কমনওয়েলথ মহাসচিবের আয়োজনে মার্লবরো হাউসে রাজার উপস্থিতিতে কমনওয়েলথ লিডারস ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
প্রায় ১৩০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানরা (বেশিরভাগ কমনওয়েলথ দেশের সরকার প্রধানসহ) ৭০ বছর পর যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠেয় রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের একটি হোটেলে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৯ মে ঢাকায় ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ঠিকানা/এম