অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফা ট্যাংক দিয়ে ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো মূল্যে এই হাসপাতালের সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন ‘আশা করি হাসপাতালে কঠোর অভিযান চালাবে না ইসরায়েল।’
আল-শিফা এখন প্রায় ‘একটি কবরস্থান’ বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। যার ভেতরে এবং বাইরে মরদেহ জড়ো করে রাখা হয়েছে। হাসপাতালটি গত কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে ফ্রন্টলাইন বা সম্মুখ সারিতে পড়ে গেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত আল-শিফা হাসপাতালটির নিচে সুড়ঙ্গে একটি কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল কেন্দ্র পরিচালনা করছে হামাস। তবে এ দাবি অস্বীকার করেছে হামাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমি আশা করি হাসপাতাল এলাকায় তারা কম আগ্রাসী অভিযান চালাবে।’
তিনি বলেন, ‘জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আমি আশাবাদী, তবে হাসপাতালকে অবশ্যই বাঁচাতে হবে।’
তবে বাস্তবে চলমান সংঘাত এবং ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ পৌঁছাচ্ছে না বলে জানা যাচ্ছে। চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন, হাসপাতালে মরদেহ জড়ো করে রাখা হয়েছে এবং সেগুলো পচতে শুরু করেছে। আল-শিফার চিকিৎসক ডা. মোহামেদ আবু সেলমিয়া বিবিসিকে বলেছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনো পচতে থাকা মরদেহগুলো হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে দাফন করার অনুমতি দেয়নি। এর মধ্যে কুকুরগুলো হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঢুকে মরদেহগুলো খেতে শুরু করেছে।
ডব্লিউএইচও-এর মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ান লিন্ডমিয়ার বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে হাসপাতালটিতে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষ আটকে পড়েছেন। হলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন আরও অনেক মানুষ।’
ঠিকানা/এম