মুহম্মদ শামসুল হক
আধুনিক বিশ্বের অমরাবতী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সভ্যতা-সংস্কৃতি ও উন্নয়ন পারস্পরিক হাত ধরাধরি করে চলে। তাই ম্যাস শুটিংয়ে লাখ লাখ নিরীহ আমেরিকানের প্রাণহানি এবং মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও অদ্যাবধি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার প্রবল শৌর্যবীর্যের অধীশ্বর রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রেসিডেন্ট, সিনেটর এবং প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরাও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনে তেমন আন্তরিকতা প্রকাশ করেন না। ফলে বিনোদন কেন্দ্র, সাবওয়ে, গণপরিবহন কেন্দ্র, পার্কসহ সর্বসাধারণের বিচরণক্ষেত্রগুলোও বলতে গেলে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রধারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। তবে প্রতিটি ম্যাস শুটিংয়ের পর আমেরিকাজুড়ে স্বজনহারাদের যে গগনবিদারী আহাজারি এবং আগ্নেয়াস্ত্র-সহিংসতা বিরোধীদের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের মেদিনী কাঁপানো দাবি ওঠে, তা পুরোপুরি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছেÑঢালাওভাবে এটি বলার সুযোগ একেবারেই সীমিত।
সাম্প্রতিক কালের কয়েকটি রোমহর্ষক ম্যাস শুটিং অনেকগুলো স্টেটে যে আগ্নেয়াস্ত্র আইন সংস্কার ও কঠোর আগ্নেয়াস্ত্র আইন কার্যকরে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে ৫ নভেম্বর প্রকাশিত এবিসির এক প্রতিবেদনে তা গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের সামগ্রিক মানদণ্ডে পদক্ষেপগুলো অতীব তাৎপর্যমণ্ডিত না হলেও অগতির গতি হিসেবে এগুলোকে চিহ্নিত করলে সত্যের আদৌ অপলাপ হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। প্রতিবেদন অনুসারে :
মেইন : ২৫ অক্টোবর মেইনের লিউস্টনে বর্বরোচিত এক ম্যাস শুটিংয়ে ১৮ জনের প্রাণহানি এবং ১৩ জন গুরুতর আহত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনমনে বর্ণনাতীত অসন্তোষ ধূমায়িত হওয়ায় মেইনের আইনপ্রণেতারা বিদ্যমান আগ্নেয়াস্ত্র আইনের ফোকর বন্ধ এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তবে ডেমোক্র্যাটিক দলীয় গভর্নরের কার্যকালে এবং ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত আইন পরিষদে এ মুহূর্তে মেইনে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং কঠোর আইন প্রণয়ন ও কার্যকর সম্ভব হচ্ছে না। তবে স্বজনহারা এবং আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতাবিরোধী অ্যাক্টিভিস্টরা হাল ছাড়েননি। তারা দৃঢ় আশাবাদী, নিকট ভবিষ্যতে মেইনে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন মোটেই কষ্টসাধ্য হবে না। অবশ্য চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর লিউস্টনে একটি সাইনবোর্ড ঝোলানো হয়, যাতে লেখা আছে : ‘লিউস্টন স্ট্রং’।
ফ্লোরিডা : সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফ্লোরিডা ছিল ম্যাস শুটিংয়ের অভয়ারণ্য। ২০১৬ সালের জুনে মানুষের অবয়বধারী এক সাক্ষাৎ নরপশু-বন্দুকধারী অরল্যান্ডোর একটি লেসবিয়ান-গে-বাইসেক্সুয়াল-ট্রান্সজেন্ডার নাইট ক্লাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৪৯ ব্যক্তিকে খুন এবং কয়েক ডজনকে গুরুতর আহত করে। এরপর ২০১৮ সালে পার্কল্যান্ডের মেজরিটি স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুলে বর্বরোচিত এক ম্যাস শুটিংয়ে ১৭ জন নিহত এবং ১৭ জন গুরুতর আহত হয়। এর পরপরই ফ্লোরিডাজুড়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণবিরোধী যে বিদ্রোহ-বিক্ষোভ শুরু হয়, অল্প দিনে তা সমগ্র আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ফ্লোরিডা এক্সট্রিম রিস্ক প্রটেকশন অর্ডার ল’ (চরম ঝুঁকি প্রতিহত আদেশ আইন) কার্যকর করে। ওই আইনের আওতায় ব্যক্তিগতভাবে এবং অন্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা গোলাবারুদ হস্তগত করার কাজে অস্থায়ীভাবে বাধা দেওয়ার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আদালতে দরখাস্ত করার ক্ষমতা অর্জন করে। বিলটিতে স্বাক্ষরদানকালে ফ্লোরিডার গভর্নর রিক স্কট বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষার্জন এবং দিন শেষে সন্তানেরা বিদ্যালয় থেকে নিরাপদে বাড়ি ফিরবেÑস্কুলগামী প্রত্যেক অভিভাবকের এই প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির অধিকার রয়েছে। এ ছাড়া আইনপ্রণেতারা আগ্নেয়াস্ত্র ক্রেতার সর্বনিম্ন বয়স ২১ বছর নির্ধারণ এবং সেমি-অটোমেটিক রাইফেলকে দ্রুত গুলিবর্ষণে পরিবর্তনকারী বাম্প স্টকস মালিকদের কর্মকাণ্ডকে ফেলনী অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
নেভাদা : নেভাদার লাস ভেগাসের মান্ডালেই বে রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনোর ৩২তম তলায় এক আগ্নেয়াস্ত্রধারী দানব নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫৮ জনকে খুন এবং শতাধিক লোককে গুরুতর আহত করে। বর্বরোচিত ওই হামলায় গুরুতর আহত দুই ব্যক্তি অদ্যাবধি অন্যের অনুকম্পানির্ভর জীবন নির্বাহ করছেন। এই পৈশাচিক গণহত্যার পটভূমিতে জনরোষ উথলে ওঠায় শেষ পর্যন্ত নেভাদা সরকার বিদ্যমান আগ্নেয়াস্ত্র আইন সংস্কার ও কার্যকরে বাধ্য হয়। নতুন আইনে শিশু-কিশোরদের নাগালের বাইরে আগ্নেয়াস্ত্র সংরক্ষণ, ক্রেতার ইউনিভার্সাল ব্যাকগ্রাউন্ড চেকসহ ফ্লোরিডার এক্সট্রিম রিস্ক ল’র মতো কঠোর আইন-কানুন পালন বাধ্যতামূলক করা হয়। ২০১৯ সালে কঠোর আগ্নেয়াস্ত্র আইনে স্বাক্ষরদানকালে তৎকালীন গভর্নর স্টিভ সিসোল্যাক বলেন, নেভাদার বাসিন্দারা বর্তমানে ঐক্যবদ্ধ। এখন থেকে সর্বসাধারণের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা প্রতিহত করা হবে। এ ছাড়া ২০১৭ সালের হামলায় ব্যবহৃত বাম্প স্টক নিষিদ্ধ করেছেন নেভাদার জনপ্রতিনিধিরা। অবশ্য ওই আইনের বিরুদ্ধে বর্তমানে আদালতে লড়াই অব্যাহত রয়েছে এবং অতি সম্প্রতি নেভাদায় কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ প্রচেষ্টা হোঁচট খেয়েছে। কিছুদিন আগে বায়াস বা বর্ণগত বৈষম্যের বশে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা বা করার প্রচেষ্টা চালানো ব্যক্তিদের নিকট আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি কিংবা তাদের দখলে আগ্নেয়াস্ত্র থাকা নিষিদ্ধকারী একটি বিলে গভর্নর জো ল্যাম্বার্ডো ভেটো দিয়েছেন। এ ছাড়া পোলিং স্থানের নিকট পরিস্থিতিতে আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখা কিংবা ২১ বছরের কম বয়সীদের নিকট সেমি-অটোমেটিক শটগান ও অ্যাসল্ট আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধকারী আরও দুটি বিলে গভর্নর ল্যাম্বার্ডো ভেটো দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গভর্নর ল্যাম্বার্ডো জোর গলায় দাবি করেন, উল্লিখিত বিলগুলো নেভাদার সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধায় তিনি সেগুলো সমর্থন করেন না এবং ভেটো দিয়েছেন।
টেক্সাস : ২০২২ সালের মে মাসে টেক্সাসের রব এলিমেন্টারি স্কুলে ১৮ বছর বয়সী এক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত এআর-ফিফটিন স্টাইলের রাইফেলের সাহায্যে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১৯ শিশু-কিশোর ও দুজন শিক্ষককে খুন করে। বর্বরোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের পর নিহতদের স্বজন এবং আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতাবিরোধীরা অ্যাসল্ট রাইফেল-স্টাইল আগ্নেয়াস্ত্র ক্রেতার বয়স ১৮ থেকে ২১ বছরে উন্নীত করাসহ কঠোর আগ্নেয়াস্ত্র আইন প্রণয়নের দাবিতে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট উল্লিখিত দাবিকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করায় কার্যত তাদের প্রচেষ্টা তেমন সফল হয়নি। অবশ্য স্টেট আইনসভার সদস্যরা একটি আইন পাস করেন, যাতে মানসিক বিকারগ্রস্ত কম বয়সীদের কেসগুলো পুনঃপর্যালোচনার জন্য ন্যাশনাল ইনস্ট্যান্ট ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড চেক সিস্টেমে প্রেরণ বাধ্যতামূলক করা হয়।
নিউইয়র্ক : বর্ণবৈষম্যে উদ্বেলিত এক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত ২০২২ সালের মে মাসে ১০ জন আফ্রিকান-আমেরিকানকে বাফেলোর একটি সুপারমার্কেটে নৃশংসভাবে খুন করে। ওই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের পটভূমিতে নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল স্টেটে আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতা দমনের লক্ষ্যে ১০ বিলের একটি প্যাকেজে স্বাক্ষরদান করেন। স্বাক্ষরদান অনুষ্ঠানে গভর্নর হোকুল বলেন, গান ভায়োলেন্স আমাদের দেশের জন্য অশ্রু ঝরানো মহামারি। শুধু চিন্তাভাবনা এবং প্রার্থনায় এই মহামারির ইতি ঘটবে না। এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নতুন আইনে শুধু সুনির্দিষ্ট পেশাদারদের জন্য বডি আর্মার এবং ২১ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে সেমি-অটোমেটিক রাইফেল খরিদ নিষিদ্ধ করা হয়। নিজেদের এবং অন্যদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অস্থায়ীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করার নিমিত্তে রেড ফ্ল্যাগ আইন জোরদার করা হয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক স্টেট ও ফেডারেল গান ডেটাবেস প্রতিবেদন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয় এবং বিদ্যমান আগ্নেয়াস্ত্র আইনের ফাঁক-ফোকর বন্ধ করা হয়। আবার অপরাধের বর্ণগত প্রকৃতির কারণে আইনপ্রণেতারা বিদ্বেষমূলক আচরণের ধরনের ভিত্তিতে হামলা মোকাবিলার নীতিমালার বিষয়াদি সোশ্যাল মিডিয়ার নেটওয়ার্কে সরবরাহের চাহিদা নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করেন। তদুপরি অনলাইনে উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাস-সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার প্রচার-প্রচারণা তদন্ত করার লক্ষ্যে নতুন আইনে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
কলারাডো : ১৯৯৯ সালের কলাম্বাইন হাই স্কুল ম্যাস শুটিংয়ের পর ২০২২ সালের নভেম্বরে ক্লাব কিউ নামে কথিত কলারাডো স্প্রিংস লেসবিয়ান-গে-বাইসেক্সুয়ারল-ট্রান্সজেন্ডার বারে এক পৈশাচিক আগ্নেয়াস্ত্র হামলায় পাঁচজন নিহত এবং ডজনাধিক লোক গুরুতর আহত হয়। এই বর্বরোচিত হামলার পর গভর্নর জারেড পলিস কয়েকটি যুগান্তকারী আইনে স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষরদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে গভর্নর পলিস বলেন, কলারাডোর কাউন্টিগুলোকে অধিকতর নিরাপদ করার প্রচেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক নিরাপদ ১০টি স্টেটের অন্যতম স্টেট হিসেবে কলারাডোর বাসিন্দাদের সামগ্রিক নিরাপত্তার খাতিরে আজ কতগুলো ঐতিহাসিক তাৎপর্যমণ্ডিত পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
সংশোধিত নতুন আইনে আগ্নেয়াস্ত্র ক্রেতার সর্বনিম্ন বয়স ২১ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়ের পর ক্রেতার অতীত যাচাই-বাছাই শেষে তিন দিন পর ক্রেতাকে নতুন আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করা হবে, যেসব লোক নিজেদের এবং অন্যদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে হবে, তাদের কাছ থেকে অস্থায়ীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করার নিমিত্তে স্টেটের বিদ্যমান রেড ফ্ল্যাগ আইন জোরদার করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, অতি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোনো কোনো স্টেটের আইনপ্রণেতারা গোপনে আগ্নেয়াস্ত্র বহন পারমিটের চাহিদা বাতিলসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনকে দুর্বল করার বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশের নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা সরকার এবং জনপ্রতিনিধিদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে আধুনিক বিশ্বের তিলোত্তমা যুুক্তরাষ্ট্র নিজের আইন মেনে চলা বাসিন্দাদের জানমালের পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে বহুলাংশে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এখনো প্রতিদিন বাংলাদেশি-এশিয়ান-আফ্রিকান-আমেরিকান-শ্বেতাঙ্গ নির্বিশেষে নিরীহ আমেরিকানদের প্রাণ ঝরছে আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতায়। প্রতিকারবিহীন এহেন মৃত্যুর মিছিল কবে নাগাদ থামবে, তা একমাত্র ভবিতব্যের বিচার্য।
লেখক : সহযোগী সম্পাদক, ঠিকানা, নিউইয়র্ক।
৭ নভেম্বর ২০২৩