দক্ষিণ কোরিয়ার লোকজন দেশটিতে থাকা মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের দক্ষিণে এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাশি সমস্ত ঘাঁটিও সরিয়ে নিতে হবে। তাদের মতে, দেশটিতে মার্কিন ঘাঁটি থাকার কারণেই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি একাধিক বৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। এর প্রতিবাদে একের পর এক ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়। কারণ ওয়াশিংটন ও সিউলের যৌথ সামরিক মহড়াকে পিয়ংইয়ং উত্তর কোরিয়ায় হামলার প্রস্তুতি হিসেবে দেখে থাকে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার শান্তিবাদী কর্মী এবং স্থানীয় নেতারা মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছেন। তারা রাজধানী শিউলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন।
মার্কিন সামরিক বাহিনী ২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘থাড’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করে। মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, উত্তর কোরিয়া থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের কবল থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষার জন্যই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েনের কারণেই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তাদের যুদ্ধকালীন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তাই তারা চান, এসব মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র সরিয়ে নেওয়া হোক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সিয়াংজু এলাকায় এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা করেছে মার্কিন বাহিনী। যা দেশটির রাজধানী থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে। সম্প্রতি ওই স্থানেই বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন এবং শান্তিবাদী কর্মীরা।
ঠিকানা/এসআর